২০৫ প্রভাবশালীর নেটওয়ার্ক ধ্বংস করে শেয়ারবাজার

স্টাফ রিপোর্টার:

আওয়ামী লীগ আমলে পুঁজিবাজার থেকে এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ

২০৫ প্রভাবশালীর নেতৃত্বে গড়ে ওঠেবড় নেটওয়ার্ক

সবচেয়ে বিতর্কিত সিদ্ধান্ত ছিল ফ্লোরপ্রাইস পদ্ধতি

পুঁজিবাজারে আস্থা নেই বিনিয়োগকারীদের

এশিয়ায় শুধু কম্বোডিয়ার চেয়ে এগিয়ে

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গত ১৫ বছরে কারসাজির সঙ্গে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ার পরও চক্রের সদস্যদের নির্লজ্জ দায়মুক্তি পুঁজিবাজারকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে নিয়ে এসেছে বলে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। কারসাজি চক্রের সদস্যরা আওয়ামী লীগ সরকারের সময় প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে কোম্পানি বাজারে আসার সময় জালিয়াতি করেছে। নামে-বেনামে প্রতারণা, প্লেসমেন্ট-বাণিজ্য এবং শেয়ার কারসাজি করেছে। এসবের মাধ্যমে জনগণের এক ট্রিলিয়ন বা এক লাখ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বিগত বছরে যা হয়েছে, বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সহযোগিতায় হয়েছে। বিএসইসি সরকারের বিভিন্ন মহলকে সুবিধা দিতে বাজারে এত বেশি হস্তক্ষেপ করেছে; যা বলার মতো নয়। এমন কিছু নির্দেশ সকালে এক রকম এসেছে, বিকেলে আরেক রকম। ২০১০ সালের ধসের পর দুটি কমিশন বাজার দেখভাল করছে, তারাই ভুয়া কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছে। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য করায় উৎসাহিত করেছে। আর শেয়ার কারসাজিতে জড়িতদের দায়মুক্তি দিয়েছে। বাজার পরিচালনায় ব্যর্থ হয়েছে। তার ফলই হচ্ছে বাংলাদেশের পুঁজিবাজার, এশিয়ার খারাপ বাজারের একটি।

তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরে অনিয়মের কারণে পুঁজিবাজারের প্রতি আস্থা হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। তাঁরা এখন স্তব্ধ হয়ে আছেন। কারণ, ২০১০ সালের তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে কোনো আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি; বরং তদন্ত প্রতিবেদনে যাঁদের নাম এসেছিল, তাঁদের দায়মুক্তি দেওয়া হয়েছে, তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। ক্ষতি শুধু বিনিয়োগকারীদেরই নয়; বরং বাজার মূলধনের দিক থেকে এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শুধু কম্বোডিয়ার চেয়ে এগিয়ে আছে দেশের পুঁজিবাজার।

বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ২০২৩ সালের গবেষণায় দেখা গেছে, ৫০ শতাংশ ব্যবসায়ী বলছেন, পুঁজিবাজারে কারসাজির মাধ্যমে লেনদেন হয়। ৫৩ দশমিক ১ শতাংশ ব্যবসায়ী মনে করেন, বাজার পরিচালনায় বিএসইসির কার্যক্রমে দুর্বলতা রয়েছে। বাজারের ৫০ শতাংশ কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনে অনিয়ম রয়েছে। এ ছাড়া আইপিওর মাধ্যমে বাজারে আসা কোম্পানির মধ্যে ৫৬ দশমিক ৩ শতাংশ দুর্বল কোম্পানি। দুর্বল কোম্পানি আসার শীর্ষে থাকা বছরটি হলো ২০২২ সাল।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শ্বেতপত্র প্রতিবেদনে ১৫ বছরের দুর্নীতি, অনিয়ম তুলে ধরায় কমিটিকে ধন্যবাদ। আগের সরকারের সময় দুর্বল কোম্পানিকে আইপিও অনুমোদন না দেওয়ার পাশাপাশি শেয়ার কারসাজি চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে সব স্টেকহোল্ডার কথা বলেছি, কিন্তু কর্ণপাত করেনি; বরং নিয়ম-নীতির কোনো তোয়াক্কা না করে অধ্যাপক খায়রুল হোসেন এবং শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের কমিশন অসাধু চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে খারাপ কোম্পানির আইপিও অনুমোদন দিয়েছেন। শেয়ার কারসাজি চক্রকে দায়মুক্তিও দিয়েছেন। পুঁজিবাজার খারাপ হওয়ার পেছনে এই দুই ব্যক্তি দায়ী। আমি তাঁদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিগত বছরে পুঁজিবাজারে ২০৫ প্রভাবশালী উদ্যোক্তা গোষ্ঠী, ইস্যু ম্যানেজার, নিরীক্ষক ও বিনিয়োগকারীর মধ্যে কারসাজির একটি বড় নেটওয়ার্ক গড়ে ওঠে। বাজারের মধ্যস্থতাকারী দেউলিয়া হয়েছে, তাদের ইক্যুইটি ৩০ হাজার কোটি টাকা নেতিবাচক হয়েছে। যারা ব্যাংক খাতের অপরাধী, তারা পুঁজিবাজারে আস্থা নষ্ট করার পেছনেও ছিল।

কারসাজি সম্পর্কে শ্বেতপত্রে বলা হয়, শক্তিশালী ব্যবসায়িক গোষ্ঠী ও রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালীরা কীভাবে শেয়ারের দাম কারসাজির মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের ব্যাপক ক্ষতি করে, তা এই বিপর্যয়ের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। জনরোষ এবং তদন্ত সত্ত্বেও এই কারসাজির পেছনের মূল খেলোয়াড়দের অনেকে রাজনৈতিক সুরক্ষায় বিচার এড়িয়ে গেছেন।

কীভাবে পুঁজিবাজারে কারসাজি করা হয়, সে বিষয়ে শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, বেশ কিছু প্রভাবশালী বিনিয়োগকারী ও প্রতিষ্ঠান সিকিউরিটিজ আইন লঙ্ঘন করে নিজেদের মধ্যে একের পর এক লেনদেন করে কৃত্রিমভাবে শেয়ারের দাম বাড়ায়। তারা ‘টার্গেটেড’ কোম্পানির শেয়ারের লেনদেন করে, যেখানে কিছু বিনিয়োগকারী শেয়ার বিক্রি করে এবং তাদের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এমন বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কেনেন। এভাবেই ওই কোম্পানির শেয়ার লেনদেনের সক্রিয় চেহারা দেখানো হয়। বুক বিল্ডিং প্রক্রিয়ায় এমনভাবে কারসাজি করা হয়, যাতে কোম্পানির মূল্যায়ন বোঝা না যায়।

শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী কিছু বড় মিউচুয়াল ফান্ড দখল করেছে। এ ক্ষেত্রে বিএসইসি অন্যদিকে তাকিয়ে ছিল। খায়রুল কমিশন বন্ধ থাকা মিউচুয়াল ফান্ডের সময়কাল অতিরিক্ত ১০ বছর বর্ধিত করে। এতে বিনিয়োগকারীদের আস্থা তলানিতে নামে।

শ্বেতপত্রে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে সূচক বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মার্জিন ঋণের অনুপাত বাড়ানোর নিয়ম করা হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের উত্থানে ইন্ধন দেওয়া হয়। বিএসইসি প্রায়ই শেয়ারের মূল্যবৃদ্ধিকে উপেক্ষা করে সূচক বজায় রাখার চেষ্টা করে। যখনই দাম কমতে শুরু করে, তখনই নিয়ন্ত্রক সংস্থার কার্যকলাপ শুরু হয়। সবচেয়ে বিতর্কিত ফ্লোর প্রাইস পদ্ধতি আন্তর্জাতিকভাবে পুঁজিবাজারের সুনামকে কলঙ্কিত করেছে। এর মাধ্যমে ভালো কোম্পানির লেনদেন ক্ষতিগ্রস্ত হলেও বাজারে কারসাজিকে উৎসাহিত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শ্বেতপত্রের মাধ্যমে দেশ-বিদেশের সবাই পুঁজিবাজারে গত ১৫ বছর কী হয়েছিল, তা জানতে পারল। বিগত সময়ের অরাজকতার ফলে বিনিয়োগকারী এবং পুঁজিবাজার যে ক্ষতির সম্মুখীন হলো, তা পোষাতে সরকার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। নতুন পরিকল্পনায় বাজার কীভাবে ভালো রাখা যায়, বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো যায়, সেই নির্দেশনা থাকতে হবে। তাহলেই আমরা বিনিয়োগকারী আনতে পারব।’

সবা:স:জু-১৭৭/২৪

কাজী সাইফুরের প্রতিষ্ঠান-স্বজনদের আছে ৩ কোটি ১৫লক্ষ অবৈধ প্লেসমেন্ট শেয়ার

 

স্বপ্ন রোজঃ

নিয়ন্ত্রণ সংস্থার নিয়ন্ত্রণে নেই ১০ নভেম্বর ২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ হওয়া কাজী সাইফুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের দুর্নীতি ও অবৈধ প্লেসমেন্ট শেয়ার বাণিজ্য। বর্তমান পুঁজিবাজারের অবৈধ প্লেসমেন্ট শেয়ার কারসাজির সবচেয়ে শক্তিশালী সিন্ডিকেট হল- কাজী সাইফুর ও তার স্ত্রী শাহানা তাসনিন লোপা,মা -নুরজাহান বেগম, বাবা -মোঃ আরিফুর রহমান, ভাই-মোঃ আফজালুর রহমান,বোন-রোকসানা বেগম প্লেসমেন্ট শেয়ার বাণিজ্যের অন্যান্য সদস্যরা হলেন – কাজী সাইফুর রহমানের স্ত্রীর ৩ ভাই – আতাউর রহমান মন্ডল,মোঃ মাহবুবুর রহমান,মোঃ বজলুর রহমান,বোন – হেলেন রহমান, মোঃ বজলুর রহমানের মেয়ে-নাদিরা আক্তার

এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড শেয়ার হোল্ডারের তালিকায় আছে – কাজী সাইফুর রহমানের দুই মেয়ে ও এক ছেলে।মেয়ে ১/- কাজী আয়েশা জেরিন ফালাক, জন্ম -২০ জুলাই ২০১৬। ২/-কাজী আলিশা ইবনাথ রাইসা, জন্ম- ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯।ছেলে কাজী রাশেদ শাহনেওয়াজ এবং শালী হেলেন রহমান।এছাড়া কাজী সাইফুর রহমানের স্ত্রী শাহানা তাসনিন লোপা এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের পরিচালক।


শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড শেয়ার হোল্ডারের তালিকায় আছে-রূপালী ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড। রূপালী ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট এর মালিক কাজী সাইফুরের পিতা মোঃ আরিফুর রহমান ও কাজী সাইফুরের স্ত্রীর ভাই মোঃ বজলুর রহমান

এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
১/-কাট্টালি টেক্সটাইল লিমিটেড,২/-ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড,৩/-একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড ও ৪/-এগ্রো অর্গানিকা পিএলসি (কিউআইও)উক্ত ৪ টি কোম্পানির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল আর সেই সুযোগে কোম্পানিগুলো থেকে অবৈধভাবে হাতিয়ে নিয়েছে বিপুল পরিমাণে প্লেসমেন্ট শেয়ার।

কাজী সাইফুর রহমান এর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে- ৩১,৫৪২,২৫৯ প্লেসমেন্ট শেয়ার

কাট্টালি টেক্সটাইলে কাজী সাইফুর রহমান এর পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে-৮৬ লক্ষ ২৩ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ার।

কাট্টালি টেক্সটাইলের প্লেসমেন্ট শেয়ার হোল্ডার -মোঃ বজলুর রহমান এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-২,৭০৭,৩৬০। নাদিরা আক্তার এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-২,৬১১,৮২০।
মোঃ রুহুল আজাদ এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-১,৬০৩,৮৯০। গ্লোবাল সুজ লিমিটেড এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-৭০০,০০০ ও শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-১,০০০,০০০
কাট্টালি টেক্সটাইল লিঃ কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে
এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড

ডমিনেজ স্টিলে কাজী সাইফুর রহমান এর ভাই এবং প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে-৯০ লক্ষ ৫০ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ার।

 

ডমিনেজ স্টিল এর প্লেসমেন্ট শেয়ার হোল্ডার-মোঃ আফজালুর রহমান এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-৮৭৫,০০০।
গ্লোবাল সুজ এন্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-১০০০,০০০।হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-৯৭৭,৫০০।বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিংস লিমিটেড এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-২,১৯৭,৫০০।চিটাগাং পেস্টিসাইড এন্ড ফিশারিজ লিঃ এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-৩,০০০,০০০। এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ এর প্লেসমেন্ট শেয়ার সংখ্যা-১,০০০,০০০। ডমিনেজ স্টিল বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেড কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করেছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট।

একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেডে কাজী সাইফুর রহমান এর ভাই, ও শালী এবং প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে প্রায় – ১ কোটি ৩২ লক্ষ প্লেসমেন্ট শেয়ার।

একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড এর প্লেসমেন্ট শেয়ার হোল্ডার-মোঃ আফজালুর রহমান এর নামে রয়েছে -৪৯,৮৬০ প্লেসমেন্ট শেয়ার। হেলেন রহমান এর নামে রয়েছে-২৫০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার। এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড (এমডিএ)এর নামে রয়েছে-১,০০০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার।বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিংস লিমিটেড এর নামে রয়েছে-১,১৩৪,১৪০ প্লেসমেন্ট শেয়ার।
চিটাগাং পেস্টিসাইড এন্ড ফিশারিজ লিঃ এর নামে রয়েছে-৬,০৩০,৫৮১ প্লেসমেন্ট শেয়ার।হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর নামে রয়েছে-৪,১৭৯,৬০৮ প্লেসমেন্ট শেয়ার।এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর নামে রয়েছে-৫০০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার।একমি পেস্টিসাইডস লিমিটেড কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

এগ্রো অর্গানিকায় কাজী সাইফুর রহমানের পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজন এবং প্রতিষ্ঠানের নামে রয়েছে – ৭ লক্ষ ২৫ হাজার প্লেসমেন্ট শেয়ার।

এগ্রো অর্গানিকার এর প্লেসমেন্ট শেয়ার হোল্ডার-মোঃ আফজালুর রহমান এর নামে রয়েছে -৬৫,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার। শাহানা তাসনিন লোপা এর নামে রয়েছে-১০০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার।মোঃ মাহাবুবুর রহমান এর নামে রয়েছে-১০০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার। হেলেন রহমান এর নামে রয়েছে-১০০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার। বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিং লিমিটেড এর নামে রয়েছে -৩৬০,০০০ প্লেসমেন্ট শেয়ার। এগ্রো অর্গানিকা পিএলসি (কিউআইও)কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।

অভিযোগ আছে কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন গ্রাহক কতৃক পন‍্য বিক্রির জমাকৃত টাকাকে শেয়ার মানি ডিপোজিট দেখিয়ে ঐ টাকা নিজের আত্নীয় ও প্রতিষ্ঠানের নামে দেখিয়ে শেয়ার ইস‍্যু করেছেন কাজী সাইফুর রহমান। মূলত তার প্রতিষ্ঠান বা আত্নীয়রা কোন টাকা বিনিয়োগ করেননি।

৮টি কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে কাজী সাইফুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যরা।আর এই কোম্পানিগুলোর মাধ্যমেই সুকৌশলে হাতে নিয়েছে প্লেসমেন্ট শেয়ার।

১/-এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
২/-শাহজালাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড।
৩/-হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
৪/-এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লি.
৫/-গ্লোবাল সুজ লিমিটেড/গ্লোবাল সুজ এন্ড টেক্সটাইল লিমিটেড

৬/-ইউনিভার্সাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড ও রূপালী ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
৭/বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিংস লিমিটেড.
৮/-চিটাগাং পেস্টিসাইড এন্ড ফিশারিজ লি.

হেরিটেজ ক্যাপিটাল ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড
মালিকগন হলেন কাজী সাইফুর রহমানের স্ত্রী ও তার দুই ভাই

মোঃআতাউর রহমান পিতাঃ-মৃত হাবিবুর রহমান ,মোঃ মাহবুবুর রহমান পিতাঃ-মৃত হাবিবুর রহমান ,শাহানা তাসনিন পিতাঃ-মৃত হাবিবুর রহমান

এসকে ট্রিমস অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লি.মালিকানা রয়েছে – গ্লোবাল সুজ লিমিটেড,এর মনোনীত পরিচালক মোসাদ্দিক হুসাইন রিজভী
গ্লোবাল সুজ লিমিটেড এর কোম্পানির মালিকানায় রয়েছে কাজী সাইফুর রহমান ও তার ভাই আফজালুর রহমান

গ্লোবাল সুজ লিমিটেড/গ্লোবাল সুজ এন্ড টেক্সটাইল লিমিটেড এর মালিকানায় রয়েছে কাজী সাইফুর রহমান ও তার ভাই আফজালুর রহমান।

ইউনিভার্সাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড এর মালিক কাজী সাইফুরের পিতা মোঃ আরিফুর রহমান ও কাজী সাইফুরের স্ত্রীর ভাই মোঃ বজলুর রহমান পিতাঃ-মৃত হাবিবুর রহমান । পিতা মোঃ আরিফুর রহমানের পাশে ইমেইল ও মোবাইল নাম্বার কাজী সাইফুর রহমানের।

ইউনিভার্সাল ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড নাম পরিবর্তন করে রূপালী ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেড রাখা হয়েছে

বেঙ্গল অ্যাসেট হোল্ডিংস লিমিটেড এর মালিক কাজী সাইফুর রহমানের মা নুরজাহান বেগম ও কাজী সাইফুরের স্ত্রীর ভাই মোঃ আতাউর রহমান মন্ডল পিতাঃ-মৃত হাবিবুর রহমান

চিটাগাং পেস্টিসাইড এন্ড ফিশারিজ লি.এর মালিক কাজী সাইফুরের পিতা মোঃ আরিফুর রহমান ও রাহুল আজাদ। কাজী সাইফুর ১৫.০৬.২০১৯ তারিখ হতে পরিচালকের পাশাপাশি চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত।

২০১৫ সালের পাবলিক ইস্যু রুলসের ৩(২)(ডি)-তে বলা হয়, ইস্যু ম্যানেজার ইস্যুয়ারের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকতে পারবে না এবং শেয়ার ধারণ করতে পারবে না। একই কথা বলা আছে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর রুলসের ৮ এর ৩-এতেও।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান জনাব শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন – দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত আছে। দুর্নীতিবাজ যেই হোক না কেন, আইন অনুযায়ী কমিশন ব্যবস্থা নিবে।

প্লেসমেন্ট শেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শাহজালাল ইকুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের সিইও জনাব মোঃ আলমগীর হোসাইন বলেন-আমি এসেছি অল্প কিছুদিন হলো। আমার জানামতে প্লেসমেন্ট শেয়ার নেওয়ার এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে কাজী সাইফুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

প্রতিবেদক এনআরবি ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের মাহমুদুল হাসান স্বপন এর সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করেন তিনি বলেন – কাজী সাইফুরের নাম্বার দেওয়া নিষেধ। কাজী সাইফুরের নিজের নামে প্লেসমেন্ট শেয়ার থাকলে আপনি নিউজ করেন। (মাহমুদুল হাসান স্বপন কাজী সাইফুরের আত্মীয় )
কাজী সাইফুর রহমানের প্লেসমেন্ট শেয়ার বাণিজ্যের প্রকৃত রহস্য কিভাবে উদঘাটন হবে জানতে চাইলে –

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অডিটর বলেন -কাজী সাইফুরের আত্নীয় স্বজনের এত শেয়ার কেনার অর্থের উৎস কি?এই অর্থ বা শেয়ারগুলো কি তাদের ইনকাম ট‍্যাক্স ফাইলে দেখানো হয়েছে কিনা? এই অর্থ সমূহ কি তাদের ব‍্যাংক একাউন্ট এর মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে কিনা? ঐসব ব‍্যাংক একাউন্ট কি তারাই খুলেছিল? নাকি তাদের স্বাক্ষর দিয়েছেন কাজী সাইফুর নিজেই।কোম্পানিগুলোতে বিভিন্ন গ্রাহক কতৃক পন‍্য বিক্রির জমাকৃত টাকাকে শেয়ার মানি ডিপোজিট দেখিয়ে ঐ টাকা নিজের আত্নীয় কিংবা প্রতিষ্ঠানের নামে দেখিয়ে শেয়ার ইস‍্যু করেছে কিনা তা বিস্তারিত যাচাই করলে তদন্তে বেরিয়ে আসবে ঐসব শেয়ার বিক্রির টাকা তার আত্নীয় শেয়ারের মালিকদের একাউন্টে ঠুকেছে কিনা, নাকি কাজী সাইফুরের বেনামী একাউন্ট এ ঢুকেছে?কমিশন তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে কে মূল বেনিফিশিয়ারি।

এক মার্চেন্ট ব্যাংকের প্রধান নির্বাহি কর্মকর্তা বলেন- কাজী সাইফুরের প্লেসমেন্ট শেয়ার বাণিজ্য এখন ওপেন সিক্রেট ব্যাপার। সবাই সবকিছু জানে, যারা কাজী সাইফুরকে নিয়ন্ত্রণ করবে তারাই মূলত কাজী সাইফুরের কাছে নিয়ন্ত্রিত। সুতরাং নিউজ করে কোন কিছুই হবে না।নিউজ করে শুধু শুধুই আপনি শত্রু হবেন।

যাইহোক অনেক প্রশ্নের উত্তরই অজানা থেকে যায় যেমন – পুঁজিবাজার থেকে ৫ বছরের জন‍্য নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও এবং কোন চাকরি বা ব‍্যবসা না করেও কিভাবে শত শত কোটি টাকার মালিক হলেন কাজী সাইফুর রহমান আর কিভাবে পুঁজিবাজারে নিষিদ্ধ থাকা অবস্থায় নিজের কর ফাইলে র্ফাষ্ট সিকিউরিটি সার্ভিসে চাকরী করেন বলে দেখালেন?

একজন বাজার গবেষক জানালেন কাজী সাইফুরের ব‍্যাপারে বাজারে ব‍্যাপক গুনজন ও অভিযোগ পাওয়া যায়। অবৈধভাবে বিভিন্ন ভাবে প্লেসমেন্ট শেয়ার নিজের আত্নীয়দের নামে নিয়ে তা অনেক জানা অজানা লোকের কাছে বিক্রি করে আবার জাল সই দিয়ে নিজের অন‍্য আত্নীয় বা প্রতিষ্ঠানের নামে সরিয়ে ফেলার অভিযোগ রয়েছে। হারুন কামাল নামে একজন এসোসিয়েট অক্সিজেনের শেয়ার হোল্ডার বিএসইসি তে এমনটি অভিযোগ করেছেন।

উল্লেখ্য এর আগে পুঁজিবাজারের ইতিহাসে প্রথম অবৈধ কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য কাজী সাইফুর রহমানকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। এবং দেশের পুঁজিবাজারে দ্বিতীয় ব্যক্তি শাস্তি হিসেবে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বানকো ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হামদুল ইসলাম।

চলবে………..

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের