সাজেকের গোলাগুলিতে ৫ শতাধিক পর্যটক আটকা

স্টাফ রিপোর্টার: 

পার্বত্য শান্তি চুক্তির অনুষ্ঠানে আসা না আসা নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক দুটি দলের মধ্যে দফায় দফায় বন্দুকযুদ্ধ চলছে। ফলে সাজেকে পাঁচ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছেন।

মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জোবায়দা আক্তার এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিনের জন্য সাজেক ভ্রমণে নিরুসাহিত করেছে জেলা প্রশাসন।

আঞ্চলিক এই দলের গোলাগুলির ১ জন নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রকার তথ্য নিশ্চিত করতে পারেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এলাকা নিয়ন্ত্রণে বিগত কয়েকদিন ধরে সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমা জেএসএস ও প্রসীত দলের ইপিডিএফ দুই অঞ্চলিক দল দফায় দফায় গোলা বর্ষণ করেছে। তবে আঞ্চলিক দুই দলের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এক জনের প্রাণহাণির খবর পাওয়া গেলেও দুর্গম এলাকা হওয়ায় প্রশাসনের কেউ তা নিশ্চিত করতে পারেনি।

সাজেকে আটকা পড়া চালকরা বলেন, সকালে খাগড়াছড়ি থেকে ২৭টি গাড়ি সাজেক গিয়েছে। এই গাড়িগুলোতে করে আসা প্রায় ৪ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছে।

দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। তবে মঙ্গলবার সকাল থেকে এই গোলাগুলির ঘটনা আরও বেড়ে যায়। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকালে কোনো পর্যটক গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি আসেনি।

সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা জানান, সাজেক ও মাচালং সড়কের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের শীপপাড়া নামক এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। এই গোলাগুলির ঘটনার কারণে কোনো গাড়ি ছেড়ে যায়নি। রাতে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন।

রাঙ্গামটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে  একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুসাহিত করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। যারা আছেন তাদের পরিস্থিতি বিবেচনা করে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

সবা:স:জু-১৮৬/২৪

মধ্যরাতে বয়সভেদে শীতবস্ত্র বিতরণ করল দূর্বার তারুণ্য

স্টাফ রিপোর্টারঃ

“কেবল কম্বল নয়, বয়স ভেদে শীতবস্ত্র করবো দান, বেঁচে থাকুক সব প্রাণ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য তারুণ্য ‘শীতের আমেজ’ নামক শীতবস্ত্র বিতরণ প্রজেক্ট উদ্বোধন করেছে।

আজ মধ্য রাত (৮ জানুয়ারি) রবিবার নগরীর জামালখানস্থ প্রেস ক্লাব এর সামনে শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দূর্বার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু। এসময় আশেপাশের বিভিন্ন রাস্তা প্রদক্ষিন করে বিভিন্ন বয়স ও পেশার শতাধিক মানুষকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। এই প্রজেক্ট এর বিশেষত্ব হল- বিভিন্ন বয়সের মানুষকে তাদের সাইজ অনুযায়ী শীতের পোশাক দেয়া হয়। যা গায়ে জড়িয়ে তারা নিজেদের কার্যক্রম নির্বিঘ্নে চালাতে পারবে।

এ সম্পর্কে দেবাশীষ পাল দেবু বলেন, আমাদের যুবলীগের মাননীয় চেয়ারম্যান জনাব শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক জনাব মাইনুল হাসান নিখিল ভাইয়ের নির্দেশনায় অনুযায়ী আমরা সবসময়ই মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছি। আমরা চাই তরুণরা সমাজসেবায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করুক। দূর্বার তারুণ্য বরাবরের মতো এবারও ভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করায় তাদের স্বাগত জানাতেই আজ এখানে উপস্থিত হয়েছি। সমাজের প্রতিটা স্তরের মানুষের উচিৎ এই তীব্র শীতে মানুষের পাশে থাকা। আমাদের এই উদ্যোগ কেবল একটি পথ দেখিয়ে দেয়া মাত্র। পুরো বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যখন এগিয়ে আসবে, তখনই আমাদের এই উদ্যোগ সফল হবে।

প্রজেক্ট নিয়ে দূর্বার তারুণ্য এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ বলেন, আমরা সবাই মোটামুটি শীতে কম্বল দিয়ে থাকি। তারা অবশ্য ই প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু বিকাল থেকে ঠান্ডা হাওয়া ইদানীংকালে বইতে শুরু করেছে। খেটে খাওয়া মানুষদের এখন শীত নিবারন করা প্রয়োজন, তার সাথে সেই শীতবস্ত্র দিয়ে তারা যেন নিজেদের কাজকর্ম চালাতে পারে সে বিষয়ও নিশ্চিত করা দরকার। আমরা এই প্রজেক্টটি শীত যতদিন আছে, ততদিনই চলমান রাখব। কম্বল থেকে শুরু করে শীতের যত পোশাক আছে, সবই এই প্রজেক্ট দিয়ে আমরা ঐ রাস্তার মানুষগুলোর জন্য উপহার হিসেবে নিয়ে যাবো।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নাজমুল হুদা,জিহাদুল ইসলাম, মারুফ উল ইসলাম, বিভূ দেবনাথ, মোঃ আরাফাত, রবিউল ইসলাম, এইচ এম মোবারক, মোঃ আলাউদ্দিন কামরুল ইসলাম, মোঃ শোয়েব, রিয়াদ, মুশফিকুর রহমান অপুসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম