সিভিল অ্যাভিয়েশনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা জড়িয়ে পরছেন মানব পাচারে, গড়ে তুলছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়

স্টাফ রিপোর্টার:

সিভিল অ্যাভিয়েশনের তৃতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা জড়িয়ে পরছেন মানব পাচারে, গড়ে তুলছেন অবৈধ সম্পদের পাহাড়।
সরকার মানব পাচারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিলেও
কাউছার আলম মোল্লা উচ্চমান সহকারী (প্রশাসন) বিভিন্ন দেশে শ্রমিক পাঠানোর নামে একদল আদম পাচারকারীদের সাথে আঁতাত করে ইমিগ্রেশন পার করে দিচ্ছেন। এ সকল পাচারকারী দালালদের সাথে কন্ট্রাক্ট করেই পাচার করা হচ্ছে আদম।
খোঁজ নিয়ে জানাযায় কিছুদিন আগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মানব পাচারের তালিকা তৈরি করা হয়, অর্থের বিনিময়ে নিজের নাম কাটিয়ে নেন মানব পাচারের হোতা কাউছার আলম মোল্লা।কিছু ওয়াটসএপের ম্যাসেজের সূত্র ধরে তার বিষয়ে তদন্ত করতে গিয়ে বেরিয়ে আসে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য তার অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ। একজন তৃতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তার বেতন ও সরকারি সকল সুযোগ সুবিধা যোগ করেও মিলছেনা কাউছার মোল্লার সম্পদের হিসেব। নামে বেনামে করেছে অনেক সম্পদ তার মধ্যে সামান্য কিছু সম্পদের হদিস মিলে –
১)ঢাকা এয়ারপোর্ট পাকঘর শাখায় নিজ নামে ৩০ লক্ষ টাকার ফিক্সড ডিপোজিট এবং স্ত্রী মোসাঃ নাসিমা আক্তারের নামে ৩৫ লক্ষ টাকা।
২) নীলাচল ৩৭০/২ কাওলার জামতলা, দক্ষিণ খান ঢাকায় ২ য় ও ৬ ষ্ঠ তলায় রয়েছে ২ টি বিশাল বিলাসবহুল ফ্ল্যাট যার বাজার মূল্য পায় ২ কোটি টাকা।
৩) পুলিশ হাউজিং সোসাইটি -৩, পূর্বাচলে ১ কোটি টাকা মূল্যের ৫ কাঠার একটি প্লটের সন্ধান মিলে।
৪) নিজ গ্রামের বাড়িতে ৪ তলা ইমারত নির্মাণ সহ কিনেছেন চাষের জমি।
৫) নিজের নামের ব্যাংক একাউন্ট বন্ধ রেখে ব্যবহার করছেন তার ব্যবসায়ীক বোনজামাইয়ের ব্যাংক একাউন্ট।
এ বিষয় বিস্তারিত জানার জন্য ফোন করা হয় কাউছার আলম মোল্লাকে কিন্তু সে ফোন রিসিভ করছেনা।
এর পরে সিভিল অ্যাভিয়েশনের চেয়ারম্যান জনাব এম মফিদুর রহমান এয়ার ভাইস মার্শালের কাছে জানতে চাইলে  তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

অপূর্বের অপূর্ব কেরামতি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ বানিজ্য সহ একাধিক নারীর সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ সহ স্ত্রী থেকে যৌতুক দাবী করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠছে বরিশালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারীর নামে।

তিনি নানান দুর্নীতি অনিয়ম করে নামে বেনামে গড়েছেন সম্পদের পাহড়। দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা হিসেবে নিজ দপ্তরে সুপরিচিত তিনি, তিনি যেখানেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছেন সেখানেই দুর্নীতির পাশপাশি জড়িয়েছেন নারী কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছেন, তার এহেন ব্যবহারের কারনে নারী কর্মীরা অফিসে আসতেও এতত্সত্ত্বেও বোধ করেন এসব ঘটনা দপ্তরের সবার জানা। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগের যেন শেষ নেই।

নারী কেলেঙ্কারির খবর তার প্রথম স্ত্রী পাওয়ার পরে তাকে বিভিন সময় নির্যাতন করতেন এবং বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক দাবী করতেন। নির্যাতনের একপর্যায়ে অপূর্বর প্রথম স্ত্রী তার বিরুদ্ধে যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অভিযোগ দায়ের করেছেন, অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলেও তার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষ নিচ্ছে না কোনো ধরনের ব্যবস্থা।
অভিযোগ আছে, উল্টো মামলা চলমান রয়েছে দাবি করে দিনের পর দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠছেন নারীলিপ্সু বলে সর্বজন পরিচিত এই কর্মকর্তা। আর ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করেই তিনি ভবিষ্যতে আরো প্রভাবশালী হয়ে উঠবেন বলেও তার একাধিক সহকর্মীর কাছে দাবি করে থাকেন বলেও রয়েছে আলোচনা।

জানা গেছে, অপূর্ব অধিকারী বেশ কয়েক বছর ধরেই বরিশাল অঞ্চলে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। তার আগে দীর্ঘ সময় ছিলেন রাজশাহীতে। দায়িত্ব পালনের শুরু থেকেই তার বিরুদ্ধে অনিয়ম. দুর্নীতির অভিযোগ উঠতে থাকে। আগে যেই সকল দপ্তরে দায়িত্ব পালন করেছেন সেখানেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগের পাশাপাশি নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ।
যেখানেই তিনি দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছেন সেখানেই কোনো না কোনো নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কে স্থাপন করেছেন। বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিজের অসৎ উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করেছেন বলে আলোচনা রয়েছে। সর্বশেষ বরিশালের কর্মস্থলে এক নারী সঙ্গে ‘সু-সম্পর্ক’ নিয়ে খোদ তার সহকর্মীরাও বিব্রত এবং অস্বস্তিতে রয়েছেন। পাশপাশি অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ তো আছেই। তার স্ত্রীর কাছে বিয়ের দীর্ঘ সময় পর ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেছেন বলেও রয়েছেন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ, যার সত্যতা এরই মধ্যে প্রমাণিতও হয়েছে। এরই মধ্যে মামলা তুলে নিতে তার স্ত্রীকে একাধিকবার হুমকিও দিয়েছেন যা এখন তার কর্মস্থল ও পরিবারের সবাই জানেন। এই নিয়ে ওই নারী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও একাধিক স্বজন স্বীকার করেছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অপূর্ব অধিকারীর বিরুদ্ধে তার স্ত্রীর কাছে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দাবির অভিযোগের সতত্য প্রমাণিত হয়েছে। তবে মামলাটি এখনো চলমান রয়েছে এবং সাক্ষ্য গ্রহণ চলছে। তবে তার স্ত্রী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, সামাজিক সম্মানের কথা বিবেচনা করে অনেক কিছুই বলতে পারছি না। কারন অপূর্ব সাহেব নানাভাবে আমাকে হয়রানি করার চেষ্টা করছেন। এটি এখন পর্যন্ত সবাই কমবেশি জানে। তবে অভিযোগ যেহেতু প্রমাণিত হয়েছে আমি এই ধরনের মানুষের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি যথাযথ বিচার চাই। তার সঙ্গে আপোষের কোনো ধরনের প্রশ্নই আসে না। আর তার এত লোভ মেটানোও আমার ও আমার পরিবারের পক্ষে সম্ভব না।

দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র জানায়, অপূর্ব অধিকারীর আচরনে খোদ তার দপ্তরের কর্মকর্তারাই অতিষ্ট। তার বিরুদ্ধে দিনের পর দিন জমছে অভিযোগের পাহাড়। এই ধরনের নারীলিপ্সু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ি ব্যবস্থা না নেওয়া গেলে প্রাতষ্ঠানটির ভাবমূর্তি দিনদিন ক্ষুন্ন হবে। তিনি যেই সমস্ত দপ্তরে দায়িত্ব পালন করতে যাবেন সেখানে কাজ করতে নিরাপদবোধ করবেন না তার নারী সহকর্মীরা। তাই সার্বিক দিক বিবেচনায় এই বিতর্কিত কর্মকর্তার অপসারণ চান বলে জানান নাম প্রকাশ না করা একাধিক দায়িত্বশীল কর্মকর্তা। তবে তাদের প্রশ্ন এই ধরনের কর্মকর্তার প্রভাব খুটির জোর কোথায়! কোন ম্যাজিকে এই কর্মকর্তারা এখনো রয়েছেন বহাল তবিয়তে।

অভিযোগ তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করা কর্মকর্তা রাজশাহীর বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন তার প্রতিবেদনে বাদীকে একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের কন্যা দাবি করে বলেন, ২০১৩ সালের ৫ জুলাই সনাতন হিন্দু ধর্মের বিধান মতে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় বাদীর পিতা অপূর্ব অধিকারীকে নগদ অর্থসহ ৩০ লাখ টাকা মূল্যমানের জিনিসপত্র প্রদান করেন। বিয়ের পর তিনি যৌতুকের দাবিতে বাদীর উপর মানসিক নির্যাতন করে আসছেন। এই নিয়ে একাধিক সালিশ বেঠকও অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২৪ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি দুপুর ১২টায় বোয়ালিয়া মডেল থানা এলাকায় বাদীনির বাবার বাড়িতে বাদীনির বাবা অপূর্ব অধিকারীকে তার কন্যার সঙ্গে সংসার করার জন্য অনুরোধ জানালে অপূর্ব অধিকারী জানান বিয়ের পণ হিসেবে তাকে ৩০ লাখ টাকা যৌতুক দিলে তিনি সংসার করবেন, তা না হলে সংসার করবেন না। ওই সময় উপস্থিত লোকজন তাকে সংসার করার জন্য বারবার অনুরোধ জানালেও তিনি রাজি হননি। তার ৩০ লাখ টাকা চাই ই চাই।

মামলার সার্বিক তদন্তে, ঘটনার পারিশাশ্বিকতায় ও সাক্ষ্য প্রমাণ পর্যালোচনায় জানা গেছে, অপূর্ব অধিকারী অন্যায়ভাবে লাভবান হওয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে বাদিনীকে বিবাহ করে বাদিনীর কাছে যৌতুক দাবি করায় তার বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের যৌতুক নিরোধ আইনের ৩ ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়। সাক্ষীগণ বিজ্ঞ আদালতে হাজির হয়ে সাক্ষ্য প্রদান করে মামলার ঘটনা প্রমাণ করবেন। বাদিনীকে বিধি মোতাবেক তদন্তের ফলাফল জানানো হয়েছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন পুলিশ কর্মকর্তা ইফতেখার মোহাম্মদ আল আমিন।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক অপূর্ব অধিকারীর কাছে তার অনিয়ম, দুর্নীতি, নারী কেলেঙ্কারি ও স্ত্রীর করা যৌতুকের মামলার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে: তিনি একাধিকবার মোবাইল ফোন রিসিভ করে বারবার জানতে চান কে তার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগগুলো এই সাংবাদিককে জানিয়েছেন। এরপর কোনো ধরনের মন্তব্য না করেই তিনি বারবারই মোবাইলের লাইন কেটে দেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন