কখন কোন রঙের পোশাক পড়া উচিৎ

স্টাফ রিপোর্টার: 

রং দিয়ে যায় চেনা। রং সিদ্ধান্ত নিতে প্রভাবিত করে। একেক মুডে আপনি একেক রঙের পোশাক বেছে নেন। আবার উল্টোটাও সত্যি। একেক রং আপনার মনে একেক অনুভূতির সৃষ্টি করে। এই যেমন গোলাপি রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। সবুজ মন শান্ত রাখে। হলুদ আর লাল রং ক্ষুধার উদ্রেক করে।

প্রতিটি রঙের রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন তরঙ্গদৈর্ঘ্য। তাই প্রতিটি রং আমাদের মস্তিষ্কে ভিন্ন উদ্দীপনা আর অনুভূতি সৃষ্টি করে। বড় পর্দার চরিত্রগুলোর কস্টিউম ডিজাইনে পোশাকের রং দিয়ে ব্যক্তির চরিত্র নির্মাণ করা হয়। শীতকাল ফ্যাশনিস্তাদের পছন্দের সময়। এই সময় তাঁরা নানা রঙের পছন্দসই নকশাদার পোশাকে নিজেদের মেলে ধরেন।

চট করে জেনে নেওয়া যাক কোন রঙের পোশাকে আপনাকে কেমন দেখাবে।

কালোঃ শীতে অনেকেই নির্দ্বিধায় কালো রঙের পোশাকের দিকে হাত বাড়ান। কালো রঙের পোশাকে আপনাকে প্রভাব বিস্তারকারী, ক্ষমতাবান আর রহস্যময় দেখাবে।

লালঃ নিজেকে অন্য সবার চেয়ে আলাদা করতে, আসরের মধ্যমণি হতে লাল পরুন। লাল রঙের তরঙ্গদৈর্ঘ্য বেশি হওয়ায় এটি দূর থেকে দেখা যায়। সহজেই আলাদা করে ফেলা যায়। ফলে লাল রঙের পোশাকে আপনাকে সবাই ‘নিরাপদ দূরত্ব’ থেকে লক্ষ্য করবে, তবে ভাব জমাতে আসবে না। লাল সাহস, যৌনতা ও উত্তেজনার রং। আপনি বিপজ্জনক, এমনও বার্তা দিতে পারে লাল রঙের পোশাক।

 

সাদাঃ সাদা রঙের পোশাকে কোথাও উপস্থিত হলে অন্যরা আপনাকে দেখবে নিষ্পাপ, নির্ভেজাল একজন ব্যক্তিত্ব হিসেবে।  

হলুদঃ হলুদ রঙের পোশাকে আপনাকে অন্যরা দেখবে আশাবাদী, সৃজনশীল, ফুরফুরে মেজাজের একজন মানুষ হিসেবে। কারও সঙ্গে ভাব জমাতে চাইলে হলুদ রঙের পোশাকে হাজির হোন।

 

সবুজঃ আপনি যদি রোগে ভোগেন আর দ্রুত সুস্থতা চান, তাহলে সবুজ রঙের পোশাক পরুন। রোগী দেখতে গেলেও সবুজ রঙের পোশাকে হাজির হতে পারেন। সবুজ নার্ভ শান্ত রাখতেও সাহায্য করে। ঠিক এ কারণেই অপারেশন থিয়েটারে ডাক্তারদের অ্যাপ্রনের রং সবুজ। সবুজ পোশাকে আপনি প্রকৃতির প্রতিনিধিত্ব করেন, নির্মলতার বার্তা দেন।

 

সবা:স:জু- ৪১৬/২৪

 

ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

স্টাফ রিপোর্টার: বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক স্টেশন এলাকায় রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা। এতে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, বঙ্গবন্ধু ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির (বিডিইউ) নাম পরিবর্তন করে গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ রাখতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার কবির বলেন, গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা ও পরিচয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরে না। তারা চান, বিশ্ববিদ্যালয়টি ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামে স্বীকৃতি পাক, যা একাডেমিক ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত হবে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা নেন শিক্ষার্থীরা।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করার ঘোষণা দেওয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত না মেনে শিক্ষার্থীরা ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামকরণের দাবি জানিয়ে আসছেন। সেই দাবিতে কয়েকদিন ধরেই মানববন্ধন, বিক্ষোভসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

গত শনিবার দুপুরে শিক্ষার্থী গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার চন্দ্রা-কালিয়াকৈর আঞ্চলিক সড়কে মানববন্ধন করেন। এরই অংশ হিসেবে সোমবার সকাল ৯টা থেকে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে মিছিল নিয়ে কালিয়াকৈর হাইটেক রেলস্টেশন এলাকায় গিয়ে রেললাইনে অবরোধ সৃষ্টি করেন। সেখানে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি আটকা পড়ে।

আটকা পড়া ট্রেনে বেশ কিছু রোগী থাকায় তাদের স্বজনদের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা সকাল পৌনে ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি ছড়ে দেন। তবে শিক্ষার্থীরা রেললাইনের ওপর বসে অবরোধ সৃষ্টি করেছেন।

হাইটেক স্টেশনের টিকিট বুকিং কর্মকর্তা মো. আলম বলেন, জয়দেবপুর-যমুনা রোডে ট্রেন চলাচল বন্ধ। অবরোধের কারণে মৌচাক স্টেশনে বুড়িমারি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থেমে আছে। এতে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছেন।

জয়দেবপুর জংশনের স্টেশন মাস্টার আবুল খায়ের চৌধুরী বলেন, শিক্ষার্থীরা হাইটেক স্টেশনে সিরাজগঞ্জ এক্সপ্রেসটি বেশ কিছু সময় আটকে রেখে পরে যাত্রীদের অনুরোধ ছেড়ে দিয়েছেন। তবে রেললাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম