তারিখ লোড হচ্ছে...

কার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল

স্টাফ রিপোর্টার: 

জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় তথ্য প্রবাহকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং গণহত্যার ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছিলো বলে স্বীকার করেছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার ‘সেফহোম’ বা নিরাপদ স্থানে জিজ্ঞাসাবাদে পলক এমন জবানবন্দি দিয়েছেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম। পলক স্বীকার করেছেন, ভবনে আগুন লাগার কারণে নয়, হাসিনার নির্দেশে ইন্টারনেট বন্ধ রাখা হয়েছিল।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বৃহস্পতিবার চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় কোনো দুর্ঘটনার কারণে বা কোন ভবনে আগুন লাগার কারণে ইন্টারনেট বন্ধ ছিল না। সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক নিজে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশের ও আন্তর্জাতিক ইন্টারনেটের সব গেটওয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল। ইন্টারনেট বন্ধ রাখার উদ্দেশ্য ছিল গণহত্যার বিষয় যেন কেউ জানতে না পারে।

জুলাইয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ইন্টারনেট বন্ধ করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গত ১২ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে বুধবার তাকে তদন্ত সংস্থায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।

ট্রাইব্যুনালকে বিতর্কিত করার জন্যই বিচারের বৈধতা নিয়ে সাবেক সেনাকর্মকর্তা জিয়াউল আহসান প্রশ্ন তুলেছেন বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর। তিনি বলেন, জুলাই গণহত্যার বিচারে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।

জুলাই গণহত্যায় বিভিন্ন মামলায় সাবেক এসপি আব্দুল্লাহেল কাফি ২৬ ডিসেম্বর, সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলামকে ২৫ ডিসেম্বর ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে ৩০ ডিসেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

সবা:স:জু- ৪২৭/২৪

রবিবার হারতালের ডাক সারাদেশে-বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক।

আগামীকাল (রোববার) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি। শনিবার (২৮ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনের মহাসমাবেশ থেকে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ ডাক দেন।
অপরদিকে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ, নৈরাজ্য,অপরাজনীতি ও অব্যাহত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে’ ‘শান্তি ও উন্নয়ন’ সমাবেশ করছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। জাতীয় মসজিদ বায়তুল ​মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এ সমাবেশের আয়োজন করেছে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির যৌথ উদ্যোগে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী মহাসমাবেশ করছে বিএনপি। নির্ধারিত সময়ের সোয়া এক ঘণ্টা আগে নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ মহাসমাবেশ শুরু হয়।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক ও দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব লিটন মাহমুদের যৌথ সঞ্চালনায় মহাসমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত রয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটি, ভাইস চেয়ারম্যান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত রয়েছেন।
এদিকে অনুমতি না পেলেও আরামবাগে সমাবেশ করছে জামায়াতে ইসলামী। সেখানে দলটির হাজার হাজার নেতাকর্মী যোগ দিয়েছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম