শাহজাদপুরে কথিত খ্যাতিমান ফেসবুক সাংবাদিকদের দখলে, দিশেহারা পেশাদার সাংবাদিকরা

মোঃ ইব্রাহিম হোসেন:

সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর উপজেলায় কথিত খ্যাতিমান ফেসবুক সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্য ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।এলাকার গুণিজন ও সুশিল সমাজ ধিক্কার দিয়ে খ্যাতিমান সাংবাদিক হিসেবে এদেরকে হলুদ উপাধি দিয়ে এ কথা বলেছেন। নিছক পত্রিকার পাতায় এমন একটি সংবাদ প্রকাশ পায়না বা করছে দেখাতে পারবে না কেউ,অথচ এরাই আবার উপজেলায় সাংবাদিক হিসেবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এদের পাড়ায় প্রকৃত সাংবাদিকদের ঐতিহ্য হাড়িয়ে যাচ্ছে। এরা সাংবাদিকতা পেশার ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত করছে।

তৈলাক্ত দালাল প্রকৃতির কিছু স্বার্থন্বাষী সাংবাদিক ক্ষমতাকে ব্যবহার করে সাংবাদিক সাংবাদিকে দ্বন্দ লাগিয়ে দিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিল করছে। মতলববাজ ধান্দাবাজরা যার যা মর্যাদা সেটা না দিয়ে মানুষের চরিত্র হরনে ব্যস্ত থাকে এরা।
এদের কখনো কখনো দেখা যায়, বিয়ে বাড়ীর ভিডিও করতে আবার কখনো দেখা যায়,কার স্ত্রী কি করছে! আবার কখনো সরাসরি ফেসবুক লাইফ শুরু করে দিয়েছে,কোথায় লাইফ করা যাবে আর কোথায় করা যাবে না এর কোন নিময়নীতির তোয়াক্কা এরা একবিন্দু ও করছে না। এর কারন তাঁরা নিজেই মস্ত বড় প্রকাশক ও সম্পাদক এবং রংবেরঙের সাংবাদিক সংগঠনের নেতা ঐ সব সংগঠনের নেই কোন সরকারি রেজিষ্ট্রেশন আবার তাদের ফেসবুকেও লাগে কোন রেজিষ্ট্রেশন,মানতে হয় না সাংবাদিকতার আইন এ-র জন্যই তারা মস্ত বড় সাংবাদিক এবং একাধারে সাংবাদিক নেতা এদের জন্য সমাজের অসংখ্য মানি ব্যক্তির মানহানী হয়েছে এছাড়া অসংখ্য সুখের সংসার মিনিশেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। এ-সব কথিত খ্যাতিমান ফেসবুক সাংবাদিকদের মূল উদ্দেশ্য সাংবাদিকতার সাইনবোর্ড লাগিয়ে প্রকাশ্যে করছে মাদক ব্যবসা এছাড়াও এদের মধ্যে বেশিরভাগই অবৈধ ভেজাল পণ্য উৎপাদনসহ প্রতিনিয়ত করে বেড়াচ্ছে নানান অপরাধ। আবার কেউ করছে উপজেলায় দালালি, এদের মধ্যে বেশিরভাগই রয়েছে স্বৈরাচার সরকারের দোসর তবে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরপরই এদের খোলস পাল্টে গেছে এখন আবার অন্যদের দোসর হওয়ার লাইনে সিরিয়াল দিয়ে বসে আছে। এ-সব সুযোগ সন্ধানী সাংবাদিকদের নাম শুনলে আতকে ওঠে এলাকাবাসি নীতিহারা,আত্মসম্মান বোধ হারা,চরিত্র হারা,অন্যের বাসার বেড রুমে ডুকতে ফেসবুক লাইফ করতে,করছে না কোন দ্বিধাবোধ। আবার রাস্তা,ঘাটে নদীতে মাছ ধরা জেলেদের থেকেও তারা ২০০/৩০০ টাকা চাঁদাবাজি করতে মহা ফাঁদ পেতে বসে থাকে।প্রায়ই দেখা যায়,ফেসবুক লাইফ শুরু করে টানছে বিড়ি এ-সব অনৈতিক কাজে জড়িতদের অপসাংবাদিকতার আক্রমনাত্বক আক্রমনে দিশেহারা পেশাদার সাংবাদিকরা ও দেশের মূলধারার গণমাধ্যম গুলো। সাংবাদিক লেবাস পড়ে নানা কুকর্ম করার পরেও নিজেদেকে বিশাল মনে করে।

ইজ্জত ওয়ালা সাংবাদিকদের নিয়ে উপহাস আর কটাক্য,কটুক্তি করে। কথায় বলে,“খাটাশের গায়ে আতর দিলেও যায়না গন্ধ আর শোকুন গোস্ত যতই খাকনা কেন,হয় না তো তাজা-মোটা”। খ্যাতিলাভের আশায় চতুরতার সহিত প্রশাসন বা রাজনৈতিক নেতার সাথে সেলফি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট দিয়েই হয় এরা সাংবাদিক।এদের অপকর্ম আর অপরাধের ক্ষয়িষ্ণু খোলসটাকে ভেঙ্গে ফেলা প্রয়োজন বলে মনে করেন শাহজাদপুরের সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ।

এই বিষয়ে,দেশের সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত বড় বড় পেশাদার সাংবাদিক সংগঠনের সিনিয়র সাংবাদিক নেতা-কর্মীদের সাথে কথা জানান,বর্তমান সাংবাদিকতার নামে টিকটক মার্কার ফালতুমি কর্মকান্ড আর গ্রাম্য চাতাল নারীদের মতো পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে কুটনামি করাটাই এখন সাংবাদিকতার প্রধান নিয়ামক হয়ে উঠেছে। সারাদেশের কৃষক সমাজ সার, কীটনাশকের অভাবে যখন কপাল চাপড়িয়ে কাঁদেন,আমরা তখন পরীমনির মাদক কাউকে লিড স্টোরি হিসেবে প্রকাশ করে বিকৃত আনন্দে মেতে উঠি রিপোর্টিং বিভাগ, নিউজ ডেস্ক, তারও উপরে থাকা নীতি নির্ধারক পর্যায়ের কর্তা ব্যক্তিরাও এখন টিকটকারদের মতো শুধু লাইক, কমেন্ট,শেয়ার খুঁজেন।দেশ, দেশের মানুষ কিংবা ভুক্তভোগী জনগোষ্ঠী এখন কী গণমাধ্যমের কাছে কাঙ্খিত সাড়া পাচ্ছেন? নাকি সমাজ ও মানুষের জন্য কোনরকম ম্যাসেজ না
দিয়েও শুধু বিকৃত অঙ্গভঙ্গি দেখিয়ে,গ-মূর্খতা ছড়িয়ে।সাংবাদিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বলেন, এবিষয়ে বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিল ও সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত সাংবাদিক সংগঠন গুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করে যাচ্ছি।

বিটিভিতে ফরিদ-তাসমিনা-শামসুল যুগের পতন শুরু: শাস্তির আদেশ বাতিলে কোটি টাকা বরাদ্দ

স্টাফ রিপোর্টার॥

বিটিভি বার্তা বিভাগের অপ্রতিরোধ্য ফ্যাসিস্ট-দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সিন্ডিকেট ‘ফরিদ-তাসমিনা-শামসুল’ গংয়ের পতন শুরু হয়েছে। অবশেষে আওয়ামী সরকারের আস্থাভাজন মুখ্য বার্তা সম্পাদক মুন্সী ফরিদুজ্জামানকে শাস্তিস্বরূপ বদলি আদেশের মাধ্যমে এই কার্যক্রম শুরু করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। এতদিন এইসব কর্মকর্তারা নিজেকে জামাত-বিএনপির ট্যাগ লাগিয়ে সদ্দবেশে কর্মরত ছিলেন। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও প্রমাণের ভিত্তিতে আপাতত মুন্সী ফরিদুজ্জামানকে ঢাকা কেন্দ্র থেকে ঠাকুরগাঁও উপকেন্দ্রে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।

১১ সেপ্টেম্বর তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের টেলিভিশন-১ শাখা থেকে উপসচিব মো. ইব্রাহিম ভূঞা স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে নির্দেশনা দেওয়া হয়, যাতে বলা হয়েছে আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তিনি বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হয়ে নতুন কর্মস্থলে যোগ দেবেন। অন্যথায় উক্ত তারিখ থেকে তাকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্ট্যান্ড রিলিজড হিসেবে গণ্য করা হবে।

২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত শেখ হাসিনার প্রেস উইং এর সক্রিয় সদস্য একমাত্র রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম বিটিভিতে ৫ আগস্ট পরবর্তী কিভাবে বার্তা প্রধান হিসেবে কার মদদে টিকে ছিলেন তা নিয়েও এখন চলছে অনুসন্ধান। শুধু তাই নয় ফখরুদ্দিন -মইনুদ্দিনের সময়কালেও এই মুন্সী ফরিদুজ্জামান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এ বিটিভির হয়ে যুক্ত ছিলেন।

দাম্ভিকতা দেখাতেন কেউ তাকে রুখতে পারবে না। হাছান মাহমুদ ও এ আরাফাতের আস্থাভাজন এই কর্মকর্তা ৫ আগস্টের পর নিজেকে কখনও বিএনপি , কখনও জামাত কখনও এনসিপি অনুসারী দাবি করে পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রাখেন বিটিভির বার্তা বিভাগ। দেরিতে হলেও তার এই অবমুক্তের আদেশে বিভিটিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

সম্প্রতি রাজধানীতে ‘ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন’ সংগঠনটি বিটিভির বার্তা বিভাগের ফ্যাসিস্ট-দুর্নীতিবাজ ‘ফরিদ-তাসমিনা-শামসুল’ গংয়ের বিরুদ্ধে মানবন্ধন করেছে। মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ১ বছর পরও ফ্যাসিস্ট হাসিনা, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহমুদ এবং আরাফাতের আস্থাভাজনরা কিভাবে বিটিভিতে বহাল তবিয়তে রয়েছেন? এছাড়া তারা অভিযোগ করেন যে, গোয়েন্দা সংস্থাসহ বিভিন্ন তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত ফ্যাসিস্ট দুর্নীতিবাজদের কোটি কোটি টাকার বিনিময়ে এদের রক্ষার জন্য একটি চক্র কাজ করছে। তাই অবিলম্বে প্রশ্রয়দাতাদেরসহ ফ্যাসিস্ট দুর্নীতিবাজদের বিচারের আওতায় আনতে সরকারের প্রতি আহবান জানান ফ্যাসিবাদ প্রতিরোধ আন্দোলন।

সূত্র জানায়, মুন্সি ফরিদুজ্জামানের বদলির আদেশ স্থগিত করতে কিংবা তার স্থলে একই সিন্ডিকেটের এক কর্মকর্তাকে বসানোর জন্য বিটিভির মহাপরিচালক মাহবুবুল আলম ও জেনারেল ম্যানেজার নুরুল আজম পবন মন্ত্রণালয়ে জোর তদবির এবং বিএনপি-জামাত নেতাদের দিয়ে চাপ প্রয়োগ করছেন। তবে তার অতীত কর্মকান্ডের জন্য তেমন সাড়া মিলছে না। অন্যদিকে, বদলি আদেশ হলেও মুন্সী ফরিদ বিটিভি ছাড়বে না বলে চ্যালেঞ্জ করছে তার আস্থাভাজনদের কাছে। তবে কি টাকার জোরে এবারও পার পেয়ে যাবেন মুন্সী ফরিদুজ্জামান ? প্রশ্ন এখন সবার মুখে মুখে।

উপমহাপরিচালক(বার্তা) ড. তাসমিনা আহমেদ, মুখ্য বার্তা সম্পাদক মুন্সি ফরিদুজ্জামান এবং নির্বাহী প্রযোজক শামসুল আলম আওয়ামী লীগের ১৬ বছরে বার্তা শাখাকে আওয়ামী লীগের প্রচার সেলে পরিণত করেছিলেন। এমনকি জুলাই গণ অভ্যুত্থানের সময় ছাত্র ছাত্রী, বিএনপি-জামাতকে সন্ত্রাসী হিসেবে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছে। এই চাটুকারিতার জন্য তারা পতিত সরকারের সাবেক মন্ত্রী এবং প্রধান মন্ত্রীর অতি আস্তাভাজন ছিলেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা