টিকটকের আড়ালে রেদোয়ান আহাম্মেদ ইফতির নারী পাচার

স্টাফ রিপোর্টর্টারঃ
টিকটক মডেল বানানোর লোভ দেখিয়ে সারাদেশে মানবপাচারের নেটওয়ার্ক গড়ে তুলেছে মানবপাচার চক্রের সদস্যরা। দেশের প্রতিটি জেলা, থানা, এমনকি গ্রাম পর্যায়েও তাদের নিয়োজিত লোকজন রয়েছে। পাশাপাশি ভারতে পাচার করা নারীদের বিষয়েও নতুন তথ্য দিচ্ছে ইফতির গ্রুপের সদস্য্যরা এই চক্রের সদস্যরা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে বলেছে, তারাই বিভিন্ন এলাকার নারীদের কৌশলে নানা প্রলোভনে ফাঁদে ফেলে ভারতে পাচার করে আসছিল।

নরী পাচার নিয়ন্ত্রণে গত অভিযানে গ্রেফতার হওয়া সাত জনকে মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্য পেয়েছে পুলিশ। তারা  হাতিরঝিল থানা পুলিশ হেফাজতে থাকা কালে এ তথ্য দেন

হাতিরঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বলেন, নারী পাচারের ঘটনায় হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত চলছে। দুই মামলায় গ্রেফতার সাত জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছসে সময় এই রেদোয়ান আহাম্মেদ ইফতি রয়ে যায় ধরাছোযার বাহিরে। জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য এসেছে। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা চলছে।

তিনি বলেন, চক্রটি শুধু মানবপাচারই করছে না, প্রলোভনের জাল বিস্তার করে প্রতারণা করছে চাকরি কিংবা মডেল হওয়ার স্বপ্নে বিভোর তরুণ-কিশোরীদের সঙ্গে। এই বার্তা সমাজের জন্য খারাপ। এই ধরনের প্রতারণা বন্ধে সব পর্যায়ের মানুষের সহযোগিতা ও সচেতনতা প্রয়োজন।

সারাদেশ থেকে টিকটকের আড়ালে এই চক্রের মাধ্যমে অসংখ্য মেয়ে এরই মধ্যে পাচার হয়েছে। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এই সংখ্যা পাঁচ শতাধিক।

ইতোপূর্বে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পাচারের শিকার নারীদের সম্পর্কে নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। এর মধ্যে ময়মনসিংহের দুই বোনের পাচার হওয়ার ঘটনা তদন্ত পর্যায়ে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।

টিকটকের আড়ালে নারী পাচারের আলোচিত দুই মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, দুই বছর আগে ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার দরিদ্র পরিবারের দুই তরুণী চাকরি নেয় শ্রীপুর উপজেলার জৈনা বাজার এলাকার একটি বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে। পাশেই বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করত তারা। সেখানেই টিকটক চক্রের নারী পাচারকারী চক্রের সঙ্গে সখ্যতা গড়ে ওঠে তাদের। চক্রের সদস্য সুজন নেত্রকোনার ও অপরজন ইউসুফ ময়মনসিংহের বাসিন্দা হিসেবে পরিচয় দিয়ে সম্পর্ক উন্নয়ন ও বিশ্বাস অর্জনের জন্য পাশাপাশি বসবাস, দেখা-সাক্ষাত শুরু করে। একপর্যায়ে বড় বোনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে ইউসুফ। মাসে ৫০ হাজার টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে তারা দুই তরুণীকে নিয়ে টিকটক ভিডিও বানায়। এরপর জীবননগর সীমান্ত দিয়ে ভারতের রানাঘাট এলাকায় নিয়ে দুই বোনকে তিন লাখ টাকায় নারী কারবারীদের কাছে বিক্রি করে দেয়।আর এদের গডফাদার ইফতি মিমি নামের এক মেয়েকে মডেল বানানোর কথা বলে ভারতের পাচার করে দেয়।ইফতি মগবাজার ও মহাখালীতেরবসবাস করলেও বেড়ে ইঠেছে বস্তিতে

ওই কর্মকর্তা জানান, পশ্চিমবঙ্গের দিঘা এলাকার বিভিন্ন বাসায় ও হোটেলে রেখে তাদের দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানো হচ্ছিল। তবে করোনার প্রাদুর্ভাবে গত ১৬ মে লকডাউন শুরু হওয়ার পর পাচারকারীদের নজরদারি এড়িয়ে দুই বোন পালিয়ে যায়। শিয়ালদহ এলাকায় ভারত সরকার পরিচালিত সেফ হোম পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠানে এক বোন, আরেক বোন রয়েছে ভারতের বোঝাপড়া সীমান্ত এলাকায় বিএসএফ’র সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের কাছে। তারা এখন দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।

ঠিক একইভাবে ভারতে পাচার হওয়া তরুণী দুই মাসের অমানুষিক নির্যাতনের পর গত ৭ মে পালিয়ে দেশে ফিরে আসেন। তিনি মঙ্গলবার (১ জুন) হাতিরঝিল থানায় মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে ১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।

তখন এই মামলা থেকে রেদোয়ান আহাম্মেদ ইফতি োোরফে রাজি বিএল রয় যায় ধরাছোযার বাহিরে।গতকাল ডিএমপির একটি থানায় এক মহিলাকে অপহরন করে নিয়ে যাবার সময় তার স্বামী বাদা দিলে তাকে মেরে আহত করার কারনে মামলা দাযেরকরা হয়।

মামলার পর পুলিশ জানিয়েছিল, ওই নারীকে পাচারে জড়িত ১২ জন। তাদের মধ্যে ভারতীয় সাত জন, দেশীয় পাঁচ জন। ওই পাঁচ জনের মধ্যে মেহেদি হাসান, মহিউদ্দিন ও আবদুল কাদের নামে তিন জনকে মঙ্গলবার (১ জুন) দিবাগত রাতে সাতক্ষীরার সীমান্তবর্তী দাবকপাড়া কালিয়ানী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও বিভাগ পুলিশ। এর মধ্যে দোষ স্বীকার করে মেহেদি হাসান পুলিশকে জানিয়েছে, ওই কিশোরীসহ প্রায় দেড় হাজারের বেশি নারীকে ভারতে পাচার করেছে তারা।

এ ব্যাপারে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বলেন, টিকটকের কার্যক্রম শুরুর পর থেকে এই পাচারকেন্দ্রীক অপচেষ্টারও শুরু। উঠতি বয়সী কিশোরী-তরুণীদের মডেল বা স্টার বানানোর প্রলোভন দেখিয়ে ফাঁদে ফেলে পাচার করছে এই চক্র। পাচারের শিকার ও পাচারকারীরা অবৈধভাবে ভারতে যায়।

তিনি জানান, ভারতে পাচার হওয়া নারীদের দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলার তদন্তে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে।

এর আগে সোমবার (৩১ মে) টিকটকের মডেল বানানো ও উচ্চ বেতনে চাকরির প্রলোভনে নারী পাচারকারী চক্রের অন্যতম মূলহোতা আশরাফুল মন্ডল ওরফে বস রাফিসহ চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। হাতিরঝিল থানার মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১ জুন) সন্ধ্যায় রাজশাহীতে টিকটিক ভিডিও বানিয়ে ইউটিউবে ছাড়ার প্রস্তুতির অপরাধে তিন তরুণীসহ আরও নয়জনকে গ্রেফতার করেছে আরএমপি গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

সম্প্রতি ভারতের বেঙ্গালুরুতে বাংলাদেশি এক তরুণীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়। ওই ঘটনায় বেঙ্গালুরু পুলিশ ছয় জনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে টিকটক হৃদয়সহ দুজন পালানোর সময় গুলিবিদ্ধ হয় বলে জানিয়েছে ভারতের পুলিশ।

বাংলাদেশি ওই তরুণীকে যৌন নির্যাতন ও ভিডিও ধারণ করে অনলাইনে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ২৭ মে হাতিরঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী মেয়ের বাবা। প্রায় এক বছর ধরে নিখোঁজ থাকা মেয়েকে ভিডিও দেখে শনাক্তের পর মামলা দায়ের করেন তিনি।

 

কে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী?

স্টাফ রিপোর্টার॥
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। ফলে নতুন সরকার গড়তে জোটের বিকল্প নেই। এ অবস্থায় সম্ভাব্য জোট শরিক পিপিপি থেকে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারিকে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। আলোচনায় রয়েছে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়টিও।

পিএমএল-এন সূত্র বলছে, তাদের সুপ্রিম নেতা নওয়াজ শরিফ আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে চান। গড়তে চান চতুর্থবার সরকারপ্রধান হওয়ার রেকর্ড।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পিএমএল-এনের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, জাতীয় ও পাঞ্জাবের বিধানসভায় ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে গত সোমবার দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন এবং তার নাম অনুমোদনের জন্য পিপিপির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়েও কথা হয়েছে সেখানে।

সূত্রটি বলেছে, নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার চিন্তা এখন পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়নি। যেহেতু পিএমএল-এনকে কেন্দ্রীয় জোটের নেতৃত্ব দিতে হবে, তাই মরিয়ম নওয়াজ শিবিরের অনেকে মনে করছেন, চালকের আসনে নওয়াজ শরিফেরই বসা উচিত।

জানা যায়, নির্বাচনের আগেই চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ্রহপ্রকাশ করেছিলেন নওয়াজ। কিন্তু গত ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলাফল তাকে ভিন্ন চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। এখন লোভনীয় পদটির জন্য তার ছোটভাই শাহবাজ শরিফের নাম ‘জনপ্রিয়’ হিসেবে উঠে আসছে।

সম্প্রতি পিএমএল-এন নেতা খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছিলেন, বড় ভাই নওয়াজ নন, শাহবাজই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন।

আসিফের ওই মন্তব্যের বিষয়ে দলের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন, পিএমএল-এন এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেনি। সোমবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, জোটের শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে এবং তাদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এসময় পিপিপির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন পিএমএল-এন মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দলের মধ্যে নীতিগত একটি চুক্তি হয়েছে মাত্র।

বিভেদের শঙ্কা?
পিএমএল-এন আগে বলেছিল, কেন্দ্রে সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে দলটি মাত্র ৭৯টি আসন পেতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর জিতেছেন ৯২টি আসনে। এই পটভূমিতে পিএমএল-এন আগের অবস্থান পর্যালোচনা করেছে এবং জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, দলটির একাংশ মনে করে, নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী এবং শাহবাজ শরিফকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। এভাবে কেন্দ্র এবং বৃহত্তম প্রদেশ উভয়কে ভালোভাবে পরিচালনা করা যাবে।

পিপিপি যেন কোনো আপত্তি বা ‘অগ্রহণযোগ্য দাবি’ উত্থাপন না করে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন সে বিষয়ে পিএমএল-এনের শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

সূত্র বলেছে, আসিফ আলি জারদারি এবং বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠকের সময় ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী স্লটের নাম নিয়ে নয়।

সূত্র আরও জানায়, নওয়াজ শিবির প্রধানমন্ত্রিত্বের বিনিময়ে বেশ কয়েকটি লোভনীয় পদ— যেমন- প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং সিনেট চেয়ারম্যানের কার্যালয়— পিপিপি’র হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হতে পারে।

এমন প্রেক্ষাপটে পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে দুটি কারণে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে; প্রথমত, পিপিপি যদি বিলাওয়ালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্লট চায় এবং দ্বিতীয়ত, তারা যদি প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজের নাম নিয়ে একমত না হয়।

সূত্র বলেছে, নওয়াজকে যদি প্রধানমন্ত্রী করা না হয়, তবে তার মেয়ে মরিয়মকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করার জোরালো দাবি উঠতে পারে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম