
স্টাফ রিপোর্টার:
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক সকল সমস্যার সমাধান একরাম নিজেই দিতে পারে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গেট পার হয়ে জানালার পাশে অনেকগুলি লোক ভিতরে ফাইল দেয়া- নেয়া করছে। এরা সকলেই দালাল একরামের লোক। দালাল একরাম নিজেকে পিডব্লিউডি অফিসে মাস্টার রুলে চাকরি করেন বলে জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জানালার পাশে ফাইল দেয়া- নেয়ার সময় ক্যামেরার সামনে ধরা পড়েন দালাল একরাম। জানতে চাওয়া হল এখানে কি করেন, বলল দেখতে এসেছি। অথচ তার হাতে ফাইলের ব্যাগ যেগুলো জানালা দিয়ে ভেতরে দিচ্ছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রেসক্লাবের সামনের কয়েকজন দোকানদারের সাথে কথা বলে জানা যায়, একরামের ৪০ থেকে ৫০ জন দালাল আছে। যারা প্রতিদিন পররাষ্ট্র থেকে ফাইল আটেস্টেড করে নিয়ে আসে এমনকি ম্যাজিস্ট্রেটের অ্যাটেস্টেটসহ পররাষ্ট্র বিষয়ক যত কাজ আছে সবগুলোই সে নিজের বাসা থেকে জালিয়াতের মাধ্যমে অ্যাটেস্টেড করে নিয়ে আসেন। যে কারণে ডিভিসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কয়েকবার তাকে হাতেনাতে ধরেছিল। তারা বলেন, প্রত্যেকটা ফাইল থেকে ১৫ শত থেকে ২ হাজার টাকা অতিরিক্ত গ্রহণ করেন এবং একরাম আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন সদস্য । তারা আরো বলেন, একরাম দালালি করে ঢাকা শহরে ২ টা বাড়ি করেছে এবং গ্রামের বাড়িতে অনেক চাষের জমি কিনেছেন।
নিজস্ব দালাল সিন্ডিকেট এবং ম্যাজিস্ট্রেটের অ্যাটেস্টেড ও সিল জালিয়াতির বিষয়ে জানতে মোঃ একরামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি পিডব্লিউডি অফিসে চাকরি করি এবং মাঝেমধ্যে ২/১ ফাইল অ্যাটেস্টেড করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যায়।এছাড়াও তিনি দালাল আজিম,, তুষার, শওকত,মিরাজ, রানা, রতন,আলিম, বারেক, ওসমানসহ অনেক দালালের নাম বলেন। এমনকি শাহবাগ থানাতে ১২৮ জনের নামে মামলা আছে বলে জানায়।তিনি আরো বলেন,আমি আপনার সম্পর্কে খোঁজ নিয়েছি যে আপনি আওয়ামী লীগ পক্ষের সাংবাদিক এবং দল ক্ষমতায় নাই বিধায় আমি কাউকে কিছু বলি না।