তারিখ লোড হচ্ছে...

রাজধানীতে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত নারীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল ৭টার দিকে মগবাজার রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকাল পৌনে ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত ওই নারীর বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। তবে এখনও তার নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া চিকিৎসকের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এ বিষয়ে হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শহিদুল ইসলাম বলেন, আজ সকালের দিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই নারীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জানান তিনি আর বেঁচে নেই।

তিনি আরও বলেন, আশপাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে আমরা জানতে পারি ওই নারী অসতর্কভাবে মগবাজার রেলগেট পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় এ ঘটনাটি ঘটে।

এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনও নিহতের নাম-পরিচয় জানতে পারিনি। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় তার নাম-পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেকে হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

 

সবা:স:জু- ৭২৩/২৫

রাজধানীর গুলিস্তান থেকে মোবাইল চোরচক্রের ১১ সদস্য গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজধানীর শ্যামলী, আগারগাঁও,গুলিস্তান, মতিঝিল,খিলগাঁও, মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও ফার্মগেট এলাকায় ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকা পথচারী ও বাসের যাত্রীদের কাছ থেকে সুকৌশলে মোবাইল ফোন চুরি করতো চক্রটি। পরে সেসব চোরাই মোবাইল গুলিস্তান ভাসমান দোকানে বিক্রি করার পাশাপাশি চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতো তারা। ওই চক্রের ১১ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

গ্রেফতাররা হলেন- জসিম উদ্দিন (৩২), আব্দুর রহমান (২৫), শান্ত (২৭), আলম (৩৫), বোরহান উদ্দিন (২৯) রেজাউল (২৩), মামুন তালুকদার (২৮), মামুন মিয়া (৩২), ইসমাইল হোসেন (৩৫), সুমন পাটোয়ারী (২৬), ও সুজন (২৭)।

এসময় তাদের কাছ থেকে ৪৫টি বিভিন্ন মডেলের মোবাইল ফোন, নগদ ৩০ হাজার ৪০০ টাকা ও একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

মোবাইল চোরচক্রের ওস্তাদ শামীম ও রহমান। চক্রের সাধারণ সদস্য হয়ে কাজ করে জুয়েল ও শান্ত। ওস্তাদ শামীম সপ্তাহে একবার চট্টগ্রাম গিয়ে চোরাই মোবাইল বিক্রি করে আসে। আর রহমান গুলিস্তান ভাসমান মোবাইল বিক্রেতা বোরহানের কাছে বিক্রি করতো। পরে বোরহান নিজে গুলিস্তানে দোকান দিয়ে বিক্রি করতো। আবার ইসমাইল, মামুন, সুজন, সুমন পাটোয়ারী, রেজাউল ও মামুন তালুকদারের কাছে বিক্রি করতো। এদের সবার গুলিস্তানে ভাসমান মোবাইল বিক্রির দোকান আছে বলে জানান এসি মধুসূদন দাস।

সহকারী পুলিশ কমিশনার জানান, গোপন সংবাদ পেয়ে ডিবি (লালবাগ) সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়িচুরি প্রতিরোধ টিম শাহবাগ থানাধীন গুলিস্তানের টিএন্ডটি অফিসের বিপরীত পাশে সিটি করপোরেশন পাবলিক টয়লেটের দক্ষিণ পাশে অবস্থান করছিল। পরে পাশেই ফুটপাতের উপর ১০ থেকে ১২ জন ব্যক্তিকে চোরাই মোবাইল ক্রয়-বিক্রয় করা অবস্থায় আটক করা হয়। পরে তাদের থেকে উদ্ধার মোবাইলের কাগজপত্র বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে আটক আসামিরা জানায় মোবাইল ফোনের কোনও বৈধ কাগজপত্র তাদের কাছে নাই। এসব ফোন রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চুরি করা।

জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আসামিরা দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন স্পট থেকে কৌশলে মানুষের কাছ থেকে মোবাইল চুরি করে আসছে। পরে সেগুলো নানা উপায়ে ক্রয়-বিক্রয় করে আসছে তারা। মোবাইল চোরচক্রের সদস্যরা সারাদিন রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে চুরি করা মোবাইল নিয়ে রাতে গুলিস্তান সাকিনা মার্কেট সংলগ্ন স্থানে একত্র হয়ে নিজেদের মধ্যে সেগুলো কেনাবেচা করছিল বলে জানিয়েছে তারা।

গ্রেফতার আসামিদের প্রত্যেকের নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন থানায় মোবাইল ফোন চুরিসহ অন্যান্য অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়া এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় আরও একটি মামলা করা হয়েছে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম