রাজশাহীতে মদ্যপানে ৪ জনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টারঃ

রাজশাহীতে মদ্যপানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও চারজন।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) মোহনপুর উপজেলায় দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। অসুস্থ চারজনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

নিহতরা হলেন, মোহনপুর উপজেলার জাহানাবাদ ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামের সোলেমান আলীর ছেলে মন্তাজ আলী, ময়েজ মন্ডলের ছেলে টুটুল, মোংলার ছেলে একদিল ও করিষা গ্রামের তুজাম্মেলের ছেলে জুয়েল।

রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, দুর্গাপুর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে পিন্টু, মৃত জাহান আলীর ছেলে আকবর, সাঈদ আলীর ছেলে মোনা ও আফসার আলীর ছেলে ফিরোজ হোসেন।

রামেক হাসপাতালের মুখপাত্র সংকর কে বিশ্বাস বলেন, ‘তার সবাই মদ্যপান করে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে এসেছিলেন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে দুজন মারা যান। আর হাসপাতালে পৌঁছার আগে দুজন মারা যান।’

জাহানাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ বলেন, ‘উপজেলা ধোরর্সা গ্রামের হান্নান দেশীয় মদ পটেনসি (কট) ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে মদ কিনে মন্তাজের বাড়িতে বসে মদ্যপান করে তারা।’

‘এরপর তারা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রামেকে পাঠানো হয়। যাদের মধ্যে দুজন হাসপাতালে পৌছার আগে ও দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশের অনুমতিতে চারজনের লাশ দাফন করা হয়েছে।’

রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলেনা আকতার বলেন, এ ঘটনায় নিহত মন্তাজের ছেলে মাসুম রানা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেন। এর পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। এরা হলেন, উপজেলার মতিহার গ্রামের মহিরের ছেলে মুকুল ও ধোপাঘাটা গ্রামের গফুরের ছেলে জনি। জড়িতদের খুঁজে বের করতে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

 

সবা:স:জু-৭২৭/২৫

দেবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক যুগ ধরে নষ্ট এক্স-রে মেশিন, বিপাকে সেবা নিতে আসা রোগীরা

এনামুল, পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় ধরে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(রেডিওগ্রাফি) পদে কেউ না থাকায় ব্যবহার হয়নি এক্স-রে মেশিন। দীর্ঘদিন যাবত অব্যবহৃত থাকায় নষ্ট হয়ে গেছে এক্স-রে করার যন্ত্রটি। ফলে বিপাকে পড়েছেন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীরা।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ১৯৯০ সালে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে Medicor Hunjan ব্রান্ডের এনালগ এক্স-রে মেশিনটি বসানো হয়। তখন থেকে সরকারি ফি দিয়ে এক্স-রে’র সুবিধা পেয়েছিল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা। কিন্তু গত ১২ বছরের অধিক সময় ধরে মেশিনটি নষ্ট হয়ে থাকলেও নতুন কোন মেশিন স্থাপন করা হয়নি কিংবা চেষ্টা করেও পুরোনোটি মেরামত করা যায়নি।

সূত্রটি আরো জানায়, গত ৭ই নভেম্বর একজন টেকনোলজিস্টকে (রেডিওগ্রাফি) দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সংযুক্ত করেন জেলা সিভিল সার্জন। কিন্তু তিনি এখানে এসে এক্স-রে মেশিনটি চালুর চেষ্টা করেও পারেননি। পরে নিজ কর্মস্থলে ফিরে গেছেন তিনি। তিনি জানিয়েছেন মেশিনটি অকেজো হয়ে গেছে। মূলত দীর্ঘদিন থেকে রেডিওগ্রাফির কোন মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে মেশিনটি নষ্ট হয়ে গেছে। যন্ত্রটির নিয়মিত ব্যবহার হলে এমনটি হতোনা।

এদিকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন যাবৎ নষ্ট থাকায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের বাইরের বেসরকারি ক্লিনিক কিংবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্স-রে করে তারপর সেটি ডাক্তারকে দেখিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হচ্ছে। এছাড়া সরকারি এক্স-রে ফি ১১০ টাকা হলেও বাহিরে সেটা নেয়া হচ্ছে ৪শো থেকে ৫ শো টাকা। এতে করে বিড়ম্বনা বেড়েছে চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের।

পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার পাগলা বাজার এলাকার আল-আমিন ইজিবাইক দূর্ঘটনায় আহত হয়ে ভর্তি আছেন দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তিনি জানান,”গত ৪ দিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় হাতে মারাত্মকভাবে আঘাত পাই। ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে এক্স-রে করে আনতে বলে।
হাসপাতালে এক্সরে মেশিন নষ্ট থাকায় প্রচন্ড হাত ব্যথা নিয়ে বাহিরের ক্লিনিক থেকে এক্সরে করে এনে ডাক্তার দেখাই।

এদিকে রোগীদের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাসিনুর রহমান জানান,”হাসপাতালে আগত যক্ষা রোগী ও দূর্ঘটনায় আহত রোগীদের জন্য এক্স-রে একটি অত্যাবশকীয় যন্ত্র। এটি না থাকায় সাধারণ রোগীরা ভোগান্তির শিকার হচ্ছ।হাসপাতালের এক্স-রে মেশিন দীর্ঘদিন থেকে নষ্ট তাছাড়া মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট(রেডিওগ্রাফি) নেই। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বারবার চিঠি লিখলেও কোন সুরাহা হয়নি। সর্বশেষ গত ২০শে নভেম্বর একটি ডিজিটাল এক্স-রে মেশিনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে সদর দপ্তরে পূণরায় চিঠি দেয়া হয়েছে।

এদিকে পঞ্চগড় জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তফা জামান চৌধুরী বলেন, “এবিষয়ে আমি অবগত আছি। পুরনো মেশিনটি মেরামত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে একজন রেডিওগ্ৰাফি নিয়োগ করা হয়েছিল। তবে এখনো কিছু ত্রুটি থাকায় যারা মেরামতকারী আছে তাদের সাপোর্ট নিয়ে এক্স-রে মেশিন মেরামত করার চেষ্টা করা হবে।

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নতুন এক্স-রে মেশিন প্রতিস্থাপন করা হচ্ছে না কেন জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, নতুন মেশিনের বিষয়টি হচ্ছে, পুরনো মেশিনটি আগে পুরোপুরি ইনভ্যালিড করার প্রসেসে যেতে হবে। একটি মেশিন পুরোপুরি নষ্ট না হলে নতুন মেশিনের কথা বলা হলে তাহলে বিষয়টা পুরোপুরি হ্যাঙ্গ হয়ে যাবে। আমরা পুরনো মেশিনটি মেরামতের বিষয়টি দেখতেছি, যদি মেরামত অযোগ্য হয়ে পড়ে তাহলে নতুনের বিষয়টা নিশ্চিত করা যাবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ড মামলার পথেই হাঁটছে বকশীগঞ্জের সাংবাদিক নাদিম হত্যা মামলা রাজউকের ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান ৭ বছরেই শত কোটি টাকার মালিক শাহজালাল বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল বন্ধ নতুন ইতিহাস গড়লেন দীপিকা পাড়ুকোন বাংলাদেশকে রাজস্ব ও আর্থিক খাত সংস্কার অব্যাহত রাখতে হবে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৬১৯ ৩০ কোটি বছর আগে মহাকাশ থেকে ছুটে এসেছিল একটি বিশাল পাথর কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা দীর্ঘদিন পর গাজায় একসঙ্গে জুমার নামাজ আদায় করলেন হাজারো ফিলিস্তিনি