গুলশানে স্পা বাণিজ্যের জোরালো সিন্ডিকেট সিটি কর্পোরেশনের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদা আদায়

নিজস্ব প্রতিবেদক :

রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশানে চলছে স্পা সেন্টারের নামে তরুণ-তরুণী দিয়ে জমজমাট মাদক সহ ব্ল্যাকমেইল রমরমা বাণিজ্য। আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতির কারণে প্রকাশ্যেই অবৈধ স্পা সেন্টারগুলো ব্যঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠছে। সেখানে নারী দিয়ে দেহ ব্যবসা আর মাদকের আখড়া গড়ে উঠছে। স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চলছে তা সকলের অজানা।

সম্প্রতি অনুসন্ধানে উঠে এসেছে ভয়ংকর এক সিন্ডেকেটের নাম। এই সিন্ডিকেটের মূলহোতা হারুন, জাফর, রাহাত ও ইভা।
জানা যায়, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তা হারুনের নাম ভাঙিয়ে গুলশানের বিভিন্ন স্পা সেন্টার থেকে চাঁদা তোলেন কথিত সাংবাদিক জাফর।
[ ] এই সিন্ডিকেটের আরও দুই হোতা স্পা সেন্টারের মালিক ইভা ও তার সহযোগী রাহাত। স্পার অন্তরালে দেহ ব্যবসা জগতের গডফাদার ইভা ও রাহাত গুলশান ১ এর রোড নং ২৪, হাউজ নং-৯৯/বি , লেভেল-১ এ অ্যাপার্টমেন্ট ভাড়া নিয়ে স্পা সেন্টারে নাম দিয়ে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এছাড়া ভুয়া ট্রেড লাইসেন্স ও বাড়ী ভাড়া নিয়ে স্পা সেন্টারের আড়ালে দেদারসে মাদক বিক্রি ও দেহপসারিনির পতিতা বৃত্তির যৌন ধান্ধার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
ঘটনায় চারজনের দৈারাত্বে স্বনামধন্য এলাকা গুলশান এখন পতিতা পল্লিতে পরিণত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে হারুনের সাথে কথা বলার চেষ্টা করলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান, প্রতিনিধিকে পরে যোগাযোগ করতে বলেন।
পরে তার সহযোগী কথিত সাংবাদিক জাফরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ছলচাতুরীর আশ্রয় নেন।
অন্যদিকে তথ্য জানতে সরজমিনে ইভার স্পা সেন্টরে গেলে তিনি প্রতিনিধির সাথে বাজে আচরণ করেন। এক পর্যায়ে সহযোগী রাহাত গায়ে হাত তুলতে উদ্যত হন।

[ ] গুলশান থানা পুলিশের ওসি জানায়, আমরা স্পা সেন্টারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। কোন নির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে যথোপযোগী ব্যবস্থা নিব।

বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘S’ কর্তৃপক্ষের হামলায় সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদের মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার:

বেসরকারি টিভি চ্যানেল ‘এস’ কর্তৃপক্ষ গত ৮ আগস্ট সন্ত্রাসী কায়দায় নির্মম ভাবে কুপিয়ে আহত করেছেন হাফিজুর রহমান শফিকসহ পেশাদার ৬ জন সংবাদকর্মীকে। উক্ত ঘটনায় সাংবাদিক শফিক ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় আদালতে মামলা করার পরেও থানা পুলিশ আসামী ধরতে অনীহা প্রকাশ করায় বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য ও ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার সোসাইটি আজ (বৃহস্পতিবার) যৌথ ভাবে মানববন্ধনের আয়োজন করেন।

ছাত্র জনতার গণহত্যায় সহায়তাকারী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নেওয়া ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থার এজেন্ট হিসাবে কাজ করার সুনির্দিষ্ট অভিযোগে ভিত্তিতে বক্তব্য জানতে চাইলে চ্যানেল কর্তৃপক্ষ সেগুনবাগিচায় অবস্থিত টিভি চ্যানেলের অফিসে শফিক, ইমন,তারেক, কামাল, রাজা ও সবুজের উপরে ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলে পড়ে।

উক্ত হামলায় আহত সাংবাদিকদের পক্ষে মানববন্ধনে
অংশ নিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের দোসর হিসেবে চিহ্নিত চ্যানেল এস’র চেয়ারম্যান ইসমত কাদের গামা, চ্যানেলের সিইও সুজিত চক্রবর্তীসহ হামলাকারী সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন, জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন চলাকালে চ্যানেল এস আওয়ামী লীগের পক্ষ নিয়ে ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে ব্যাপক প্রপাগান্ডা চালিয়েছে। গণহত্যা সহায়তা করেছে। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের অপকর্ম, লুটপাটের পক্ষে প্রচারণা চালানোর জন্যই ওই চ্যানেলটিকে উপহার হিসেবে ইসমত কাদের গামাকে দিয়েছে শেখ হাসিনা। গামার ঘনিষ্ঠ সরকারি ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা র এর এজেন্ট হিসেবে কাজ কাজ করার অভিযোগ রয়েছে সুজিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে।

৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনার দেশ ছেড়ে পালানোর পর চ্যানেল এস’র গণহত্যা সহায়তা, দেশবিরোধী গুপ্তচর ও দুর্বৃত্তপনার বিষয়ে সংবাদের অনুসন্ধান ও বক্তব্য সংগ্রহের জন্য সাংবাদিক হাফিজুর রহমান শফিকসহ কয়েকজন সাংবাদিক ওই অফিসে গেলে তাদের ওপর সুজিত চক্রবর্তী তার লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালিয়েছে।সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করলেও জামিন অযোগ্য মামলায় খাস কামড়ায় বিচারক আসামিদের জামিন দিয়েছে। হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পরেও তার দোসরদের এই ঔদ্ধত্ত ভূমিকা হতাশার। সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িত ভারতীয় র এর এজেন্ট সুজিত চক্রবর্তীসহ অবিলম্বে সকল সন্ত্রাসীদের বিচার দাবি করছি।

রক্ত মানব কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়ে মানববন্ধনে অংশ নেন অপরাধ বিচিত্রার সম্পাদক এইচএম মোরশেদ, ঢাকা মেট্রোপলিটন ক্রাইম রিপোর্টার্স সোসাইটির মহাসচিব মো. মাসুদ, বৈষম বিরোধী সাংবাদিক ঐক্য’ সভাপতি জীবন চৌধুরী, বাংলাদেশ অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ওয়াল্ড নিউজ এর সম্পাদক সাগর চৌধুরী, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ আসাদুজ্জামান আসাদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য- তদন্ত চিত্রের সম্পাদক জিয়াউর রহমান, সিনিয়র সাংবাদিক হুমায়ুন কবির সহ আরও অনেক সিনিয়র সাংবাদিকবৃন্দ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম