
অনলাইন ডেস্ক:
কাজের প্রয়োজনে রাস্তায় বের হলে বা কোনো কাজের চাপে অনেকেই প্রস্রাব আটকে রাখেন। কিন্তু এটি অভ্যাসে পরিণত হলেই বড় বিপদ হতে পারে! এতে মূত্রনালিতে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। ফলে দেখা দিতে পারে নানা সমস্যা।
মানবদেহের মূত্রথলির ধারণক্ষমতা খুবই কম জানিয়ে চিকিৎসকেরা বলছেন, একজন সুস্থ পূর্ণবয়স্ক মানুষের ক্ষেত্রে মূত্রাশয়ে ২০০ মিলিলিটার পরিমাণ প্রস্রাব জমা হলেই ত্যাগ করার প্রয়োজন অনুভূত হয়। সুস্থ অবস্থায় মূত্রাশয় ৩৫০ থেকে ৫৫০ মিলিলিটার প্রস্রাব ধরে রাখতে সক্ষম। তবে মূত্রাশয় অধিক পরিমাণ প্রস্রাব ধরে রাখতে সক্ষম হলেও দীর্ঘ সময় তা ধরে রাখা শরীরের পক্ষে মোটেও ভালো নয়।
ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দ বাজারের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রস্রাব ধরে রাখার অভ্যাস করলে মূত্রাশয়ের পেশি ক্রমশ দুর্বল হয়ে পড়ে। দেখা দিতে পারে আরও নানা সমস্যা।
দীর্ঘদিন ধরে এই অভ্যাস থেকে গেলে, সেখান থেকে ৩টি জটিল স্বাস্থ্য সমস্যা হতে পারে। কী ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে জেনে রাখুন-
মূত্রনালি এবং থলির সংক্রমণ
দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রনালি এবং মূত্রথলিতে সংক্রমণ হতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রথলির মধ্যে ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যায় দ্বিগুণ গতিতে বাড়তে থাকে। এরপর মূত্রথলি, মূত্রনালি হয়ে সংক্রমণ কিডনি পর্যন্ত ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগে না।
মূত্রথলির পেশি শিথিল হয়ে পড়ে
মূত্রাশয় অনেকটা বেলুনের মতো। সেখানে প্রস্রাব জমতে শুরু করলে তা আকারে বড় হয়ে ফুলতে শুরু করে। প্রস্রাব করলে সেটি আবার সঙ্কুচিত হয়ে যায়। ক্রমাগত প্রস্রাব আটকে রাখলে মূত্রাশয় এমন পর্যায়ে পৌঁছোয়, তা আর স্বাভাবিক আকারে ফিরতে পারে না। সহজভাবে বললে পেশির সংকোচন এবং প্রসারণ ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে প্রস্রাব ধরে রাখতে সমস্যা হয়। হাঁচি, কাশি বা ঝাঁকুনির কারণে মূত্রাশয়ে চাপ পড়লে প্রস্রাব বেরিয়ে আসতে পারে।
কিডনিতে পাথর জমতে পারে
প্রস্রাব আটকে রাখলেই সেখান থেকে বাড়ে কিডনিতে পাথর হওয়ার আশঙ্কা। দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব না করলে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের হতে পারে না, দেহের ভেতরেই জমতে শুরু করে। আর কিডনির ভেতরে বর্জ্য পদার্থ জমে কঠিন হয়ে যায়। কিডনিতে পাথর তৈরি হলে তা থেকে ব্যথা, সংক্রমণ কিংবা রক্তপাতের মতো গুরুতর সমস্যা শুরু হয়। পাথরগুলো খুব বড় হয়ে গেলে অপসারণের জন্য অস্ত্রোপচারও করাতে হতে পারে।