
সবুজ বাংলাদেশ ডেস্ক:
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-এর সঙ্গে চূড়ান্ত বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে কাজ করার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শি। শনিবার পেরুতে বার্ষিক এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কোঅপারেশনের (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে বৈঠক করেন চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। বাইডেনের চার বছর মেয়াদের বিভিন্ন ‘উত্থান-পতনের’ বিষয়ে আলাপ করেন তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, বাইডেনের আমলে নানা ইস্যুতে উত্তেজনায় জড়িয়েছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। ৫ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেটদের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে পরবর্তী চার বছরের জন্য প্রেসিডেন্ট-নির্বাচিত হয়েছেন রিপাবলিকান নেতা ট্রাম্প। আগামী জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বারের মতো হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করবেন তিনি। এক্ষেত্রে বাইডেনের এই শেষ সময়ে চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এ বৈঠক বিশ্ব রাজনীতির জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিগত সময়ে বাণিজ্য এবং তাইওয়ান ইস্যুতে উত্তেজনায় জড়িয়েছে উভয় দেশ। শনিবারের বৈঠকে এসব উত্তেজনা নিরসনে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরেন শি এবং বাইডেন। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন ট্রাম্পের আমলে চীনের সঙ্গে আরও কঠিন উত্তেজনায় জড়াতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। কেননা নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট চীনা পণ্যের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন। এবার হয়তবা বিশ্ববাসী চীন এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য যুদ্ধ দেখতে পাবে। যা গোটা পৃথিবীর বাণিজ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে বলে সতর্ক করেছেন বিশ্লেষকরা।
ট্রাম্প চীনের আমদানিকৃত পণ্যের উপর ৬০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। দ্বিতীয়বার ফিরে আসা মার্কিন প্রেসিডেন্ট পররাষ্ট্র এবং প্রতিরক্ষা পদে যাদের নিয়োগ দিয়েছেন তারা চীনের ব্যাপারে কোমল নীতি অনুসরণ করবেন না বলেই ধারণা সবার। প্রথম মেয়াদে চীনের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈরী সম্পর্কের নজির গোটা পৃথিবী দেখেছে। বিশেষ করে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ার পর ট্রাম্প দাবি করেছিলেন এটি ‘চীনা ভাইরাস’। অতীত দেখে বর্তমান অনুমান করলে সহজেই বোঝা যাচ্ছে শি জিনপিং-এর সঙ্গে ট্রাম্পের সম্পর্কটা কেমন যেতে পারে।
শনিবার লিমার হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে স্থিতিশীল সম্পর্ক বজায় রাখতে বেইজিংয়ের লক্ষ্য অপরিবর্তিত থাকবে। তিনি বলেন, যোগাযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত চীন। বিশ্বের বৃহৎ দুটি শক্তির মধ্যে কৌশলগত প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বৈরিতা বাড়ানো উচিত নয় বলে মনে করেন বাইডেন। তিনি বলেন, আমাদের দুই দেশ এই প্রতিযোগিতার কোনোটিকেই সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে না। বৈরিতা এড়িয়ে চলা আমাদের দায়িত্ব এবং গত চার বছরে আমি মনে করি আমরা প্রমাণ করেছি যে, এমন সম্পর্ক থাকা সম্ভব।
সবা:স:জু-১২৮/২৪