হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয় একসঙ্গে যেসব খাবার খেলে

স্টাফ রিপোর্টার:

খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সকলেরই কিছু নির্দিষ্ট পছন্দ থাকে। সেটি আপনার প্রিয় পানীয় হতে পারে অথবা এমন কোনো নির্দিষ্ট খাবার যা অন্য কোনো খাবারের সঙ্গে খেতে পছন্দ করেন। যদিও খাবারের কিছু সংমিশ্রণ বা জুটি ক্ষতিকর নয়, তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো একটি অপরটির সঙ্গে খেলে তা উপকারের চেয়ে বেশি ক্ষতি করতে পারে। খাওয়ার সময় তৃপ্তি এবং আনন্দের অনুভূতি অনুভব করলেও তা হরমোনের স্বাস্থ্যের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে। এই খাবারের সংমিশ্রণগুলো কী, তা জানতে আগ্রহী? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

দুধ + ফল

আমাদের অনেকেই সকালের নাস্তায় এক গ্লাস দুধের সঙ্গে ফল খায়। যদি আপনিও এমনটা করেন, তাহলে এখনই থামার সময়। ফলের সঙ্গে দুধ, বিশেষ করে কলা বা সাইট্রাস ফল মিশিয়ে খেলে পেট ফাঁপা হতে পারে এবং হজমের গতি কমে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, এগুলো একসঙ্গে খেলে ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি এবং অন্ত্রের প্রদাহও হতে পারে। তাই দুধ ও ফল সবসময় আলাদাভাবে খান।

চা/কফি + আয়রন সমৃদ্ধ খাবার

আয়রন সমৃদ্ধ খাবারের সঙ্গে চা বা কফির মিশ্রণ এড়িয়ে চলা উচিত। এর মধ্যে রয়েছে মসুর ডাল বা গাঢ় সবুজ শাক-সবজির মতো খাবার। এই মিশ্রণটি এত খারাপ কেন? এর কারণ চা এবং কফিতে ট্যানিন নামক একটি যৌগ থাকে। এটি আয়রনের শোষণকে ব্যাহত করতে পারে, যার ফলে শক্তি কমে যায়, ক্লান্তি আসে এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়।

দুগ্ধজাত খাবার + উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার

দুগ্ধজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত খাবারের মিশ্রণও এড়িয়ে চলা উচিত। দইয়ের বাটিতে স্ট্রবেরি বা কলা যোগ করা লোভনীয় হতে পারে, তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যের জন্য সেরা নয়। এই মিশ্রণ ইনসুলিনের মাত্রা বৃদ্ধি করতে পারে, পিসিওএস এবং বিপাকীয় সমস্যাগুলোকে আরও খারাপ করতে পারে।

গমের রুটি + চিনি

আপনার কি রুটির সঙ্গে গুড় খাওয়ার অভ্যাস আছে অথবা খাবার খাওয়ার সময় আমের কয়েকটি টুকরা খাওয়ার অভ্যাস আছে? এটা বন্ধ করুন! চিনির সঙ্গে গম মিশিয়ে খেলে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে। এর ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কমে যেতে পারে, খাবারের প্রতি আগ্রহ বেড়ে যেতে পারে এবং মেজাজের পরিবর্তন হতে পারে। তাছাড়া, এটি অপ্রয়োজনীয় চর্বি জমার কারণও হতে পারে।

দই + পরোটা/পোলাও

গরম পরোটা বা পোলাওয়ের সঙ্গে দই মিশিয়ে খেতে আমরা অনেকেই পছন্দ করি, তাই না? কিন্তু আপনি কি জানেন যে এটি আপনার হজমের গতিও কমিয়ে দিতে পারে? আমরা সবাই জানি যে দুগ্ধজাত পণ্য হজমের জন্য দুর্দান্ত, কিন্তু যখন এটি কার্বোহাইড্রেটের সঙ্গে মিশ্রিত হয় তখন একইভাবে কাজ করে না। এই দুই খাবার একসঙ্গে খেলে পেট ফাঁপা, গ্যাস এবং অন্যান্য পেট সম্পর্কিত সমস্যা হতে পারে। এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার ভারসাম্যহীনতাও সৃষ্টি করে, যা সরাসরি হরমোনের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব ফেলে।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ০৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার, বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় “ভাই ভাই গ্রুপের কব্জায় রাজউকের ১২১ প্লট” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সম্পূর্নরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অত্র এলাকায় “ভাই ভাই গ্রুপ” নামে কোনো গ্রুপের অস্তিত্ব নেই। প্রকাশিত সংবাদে আমার পিতা আলহাজ্ব মো. হাসান উদ্দিনকে জড়িয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি “দেন দরবার করে এলাকা থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন” যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার পিতা একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, এলাকার দানবীর হিসেবে পরিচিত তাছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠাতা মোতওয়াল্লী: বাইতুল হামদ জামে মসজিদ, রওজাতুল হাসান মাদ্রাসা ও এতিমখানা, মোতওয়াল্লী: বাইতুল সালাম জামে মসজিদ, সভাপতি: বাইতুর রহমান জামে মসজিদ, প্রধান উপদেষ্টা: দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি কল্যান ট্রাস্ট, গুলশান হেলথ ক্লাব এর ই.সি মেম্বার এবং আমার পিতার নামে যে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তা আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগেই রাজউকের সঠিক নিয়মে হয়েছে যা, উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালিন রাজউক চেয়ারম্যান। অন্যদিকে আমার ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারন তারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। আমি সহ আমার পরিবার সর্বদা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক ও দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ৩৭ নং ওয়ার্ডের সম্পূর্ন এলাকা জুড়ে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক ও সরকারী ভূমি দখলের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরসহ সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড টানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। উল্লেখ্য যে, আমি মসজিদে দাড়িয়ে ৩৭ নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে শপথ করেছিলাম যে, সরকারী বরাদ্দকৃত একটি দানাও আমি স্পর্শ করবো না এবং কোনো অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত হবো না।

মূলত এলাকার চিহ্নিত অপরাধী, চোরাকারবারী, ভূমিদস্যু ও স্থানীয় কিছু নেতার যোগসাজশে, মাদক কারবারী, চাঁদাবাজদের নিয়ে আমার সাথে কাউন্সিলর নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত সাবেক বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি “রিকশা এমদাদ” এর নেতৃত্বে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং এরূপ মিথ্যা সংবাদের সাহায্য নিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।
অতএব উক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত যা সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন। যা আমার ও আমার পারিবারের ঐতিহ্যের উপর আঘাত এনেছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ যদি সত্য বলে প্রতিয়মান হয় তাহলে আমি স্বেচ্ছায় দলীয় পদপদবী ও কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করবো।

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
কাউন্সিলর, ৩৭ নং ওয়ার্ড, ঢা.উ.সি.ক

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম