তারিখ লোড হচ্ছে...

বালুদস্যু নকীবের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে দুর্বার আন্দোলনের হুশিয়ারী সাংবাদিক নেতাদের

স্টাফ রিপোর্টার॥
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সদস্য ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশন (বিআরজেএফ)’র যুগ্ম সম্পাদক হুমায়ুন কবির ও ডিইউজে সদস্য এবং সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ভোলা সংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলন বন্ধ রাখার উচ্চ আদালতে নিষেধাজ্ঞা সত্বেও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করার খবর প্রকাশ করায় ভোলার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও বালুদস্যু এবং টেন্ডারবাজ জহুরুল ইসলাম নকীব কর্তৃক ভোলার সদর চীফ জুডিসিয়াল আদালতে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা দায়ের করায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ । রোববার দুপুর ২টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে মানববন্ধনে এই প্রতিবাদ জানান । মানববন্ধনে সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের সঞ্চালনায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ভুমিদস্যু, জলদস্যু, বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে আগামীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ও সাংবাদিক সমাজ নির্বিক সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও জিয়াউর রহমানের পাশে আছে এবং থাকবে।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জাতীয় প্রেসক্লাব এবং বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)’র সভাপতি মুরসালিন নোমানী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, বিএফইউজের সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম, বিএফইউজের প্রচার সম্পাদক মাহমুদ হাসান, বিএফইউজের সাবেক দপ্তর সম্পাদক আবু ইউসুফ, ডিইউজের সদস্য শাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, এস এম তাজুল ইসলাম, প্রদীপ কুমার পাল,মোশারফ হোসেন ভূইয়া, এইচ এম আল-আমিন, কামাল হোসেন, সাগর চৌধুরী প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ও জাতীয় প্রেসক্লাব এবং বিএফইউজের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানান। অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর ও কঠিন কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সভাপতি এম আব্দুল্লাহ বলেন, এই দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কিছু লেখা যাবে না, এই দুর্নীতিবাজদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিচ্ছে সরকার। অবিলম্বে বালুদস্যু, দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ এই মামলা প্রত্যাহার করে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে। সাংবাদিকদের শীর্ষ সংগঠন ও সাংবাদিক সমাজ নির্বিক সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও জিয়াউর রহমানের পাশে আছে।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র মহাসচিব নুরুল আমিন রোকন বলেন, অবিলম্বে মিথ্যা ও হয়রানীমূলক মামলা প্রত্যাহার করতে হবে এবং ভুমিদস্যু, জলদস্যু, বালুদস্যুদের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রশাসন ব্যবস্থা গ্রহণ না করিলে আগামীতে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
ডিইউজের সভাপতি কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সাংবাদিক হুমায়ুন কবির ও সাংবাদিক জিয়াউর রহামানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার এবং মামলাকারীর বিরুদ্ধে প্রশাসনের আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য রফিক লিটন, জেসমিন জুঁই, সাবেক নির্বাহী সদস্য শাখাওয়াত মুকুল, ডিইউজের সদস্য শাহীন গাজী, রাসেল আহমেদ, মিজানুর রহমান, মোঃ মতিউর রহমান সরদার, আবদুল্লাহ মজুমদার, আবু হানিফ প্রমুখ।

রাজধানীর চকবাজারে বাসা থেকে ব্যবসায়ীর হাত-পা বাধা মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: 

রাজধানীর চকবাজারের একটি বাসা থেকে নজরুল ইসলাম (৪৬) নামে এক ব্যবসায়ীর হাত-পা বাধা ও গলায় কাপড় প্যাঁচানো মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে চকবাজার ইসলামবাগ আরএনডি রোডের ৬৬/১ নম্বর বাসার পঞ্চম তলার একটি রুম থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠায়।

চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিল্লুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, রাতে খবর পেয়ে ইসলামবাগের বাসা থেকে ওই ব্যক্তির মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। এ সময় ওই ব্যক্তির হাত-পা, মুখ বাধা ও গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় ছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ২ ডিসেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বরের মধ্যে যে কোনো সময় কে বা কারা তাকে হত্যা করেছে। বিস্তারিত তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

নিহত নজরুল ইসলামের ছোট ভাই তৌহিদুল ইসলাম তাপস জানান, ইসলামবাগ মাদ্রাসা গলিতে তার ভাইয়ের নজরুল ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপ নামে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ ছাড়া শেয়ারে প্লাস্টিকের আরও একটি ব্যবসা রয়েছে। গত শুক্রবার স্ত্রী সুমি আক্তার, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে গ্রামের বাড়ি নরসিংদীতে বেড়াতে যান। এরপর থেকে ওই বাসায় একাই ছিলেন নজরুল। সোমবার রাত দশটার দিকে তার ওয়ার্কশপ থেকে বের হয়েছিলেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাকে ফোন করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায় এবং তার বাসায় গিয়েও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ দেখা যায়। পরে ঘটনাটি ফোনে গ্রামে থাকা তার ছেলে এবং স্ত্রীকে জানানো হয়।

তাপস আরও জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার ছেলে সুমিত ঢাকায় আসে। তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে ঘরে ঢুকে একটি রুম থেকে বাবার এনআইডি কার্ড নিয়ে চকবাজার থানায় যান নিখোঁজের জিডি করতে। তবে পুলিশ জিডি নেয়নি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করে রাত দেড়টার দিকে বাসায় ফেরেন। বাসায় ঢোকার পর অন্য একটি রুমে গিয়ে দেখতে পায় বিছানার ওপর তার বাবা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছেন। পরে খবর পেয়ে তাপসও ওই বাসায় গিয়ে দেখেন হাত-পা ও মুখ বাধা এবং পুরুষাঙ্গ কাটা অবস্থায় বিছানায় পরে আছে। পরে তারা থানায় খবর দেন।

তাপস জানান, ওই বাসার দারোয়ানকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, সোমবার রাত ১২টার দিকে নজরুল বাসায় ঢুকেছেন। মঙ্গলবার সকালেই তার গাজীপুরে যাওয়ার কথা ছিল। তবে তিনি তাকে আর পরে দেখেননি। এরপর বাসায় কে বা কারা ঢুকেছে তিনি কিছুই বলতে পারেন না।

সবা:স:জু-১৭৯/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম