বিআইডবিøউটিএ’র কর্মচারি নূর আলম একই অফিসে ১৬ বছর

স্টাফ রিপোটারঃ

দীর্ঘ ১৬ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই কর্মস্থলে অফিস করছেন সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন (বিআইডবিøউটিএ) এক কর্মচারি। অভিযোগ রয়েছে, খন্দকার নূরে আলম নামে এই কর্মচারি বিগত ২০০৬ সালের ১১ জুলাই বিআইডবিøউটিএ’তে নিম্মমান সহকারী হিসেব ক্রয় ও সংরক্ষণ বিভাগে যোগদান করেন। সেই থেকে তিনি প্রতিষ্ঠানটির মতিঝিলের প্রধান কার্যালয় অফিস করছেন। পরে অবশ্য পদ পরিবর্তন হয়ে টাইপিষ্ট কাম কম্পিউটার পদে পদোন্নতি পান। দীর্ঘ বছর একই কর্মস্থলে থাকায় তিনি কাউকে পরোয়া করছেন না। বলে বেড়াচ্ছেন, এখানে চেয়ারম্যান বদল হয়, কর্মকর্তা বদল হয় কিন্তু নূরে আলম থেকেই যায়। তার একচ্ছত্র দাপটে কর্মকর্তাও অনেক ক্ষেত্রে অসহায়। কর্মচারি হবার কারনে তিনি ইউনিয়নের সঙ্গেও সম্পৃক্ত। ইউনিয়ন নেতারাও তাকে কদর করে চলেন অজানা আতঙ্কে।
নূরে আলমের গ্রামের বাড়ী টাইঙ্গাল জেলার নাগরপুর উপজেলায়। একেবারেই নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। অথচ অফিসের ফাইল গায়েব, তথ্য পাচার, কর্মচারিদের হুমকি দিয়ে সুবিধা আদায় সর্বপরি চাকরির আড়ালে ঠিকাদারি ব্যবসাসহ পেশায় অনৈতিক পন্থায় তিনি আজ অঢেল সম্পদের মালিক। সরকারি চাকুরির বিধান মতে, কোন কর্মচারি একই স্থানে টানা ৩ বছরের বেশি চাকুরি করার সুযোগ নেই। কিন্তু নূরে আলম কোন এক অজানা রহস্যে একই অফিসে কর্মজীবনের অধিকাংশ সময় পার করে চলেছেন।
অভিযোগ রয়েছে, ইউনিয়নের প্রভাব দেখিয়ে কাগজপত্র ঠিক নাই এমন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে তিনি তালিকাভুক্তি করিয়ে থাকেন মোটা অঙ্কের সুবিধা নিয়ে। অফিসের একাধিক কর্মকর্তাকেও তিনি অবৈধ সুবিধা পাইয়ে দিতে সহযোগিতা করেন। যে কারনে ওইসব অসাধু কর্মকর্তারাও অনৈতিক সুবিধা পেয়ে নূরে আলমকে প্রত্যক্ষ ও পরাক্ষভাবে সাপোর্ট করে যাচ্ছেন। নূরে আলমের গ্রামের এক ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠান আছে। যেটার স্বত্তাধিকারি একজন নারী। অফিস সময় শেষে ওই নারীকে নিয়ে নিজের দপ্তরে ডেকে একান্তে সময় কাটান বলে অভিযোগ করেছেন বিআইডবিøউটিএ’র একাধিক স্টাফ। তারা বলেন, অনেক সময় আপত্তিকর কিছু চোখে পড়লেও প্রতিবাদের কোনো সুযোগ নেই। কারন নূরে আলমের এতটাই দাপট কেউ প্রতিবাদ করলে উল্টো অভিযোগকারিকেই হেনস্তা হতে হবে। ওই নারীকে নিয়ে নূরে আলম বিভিন্ন দপ্তরে কাজের জন্য তদবির করে বেড়ান। কাজের টাকা দু’জনেই ভাগাভাগি করে নেন। এসব অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে নূরে আলম বলেন, একাধারে ১৬ বছর ধরে একই কর্মস্থলে কাজ করছি বিষয়টা ঠিক এমন নয়। মাঝে দু’একবার এদিকে সেদিক যেতে হয়েছে। নারী প্রসঙ্গ, ঠিকাদারি কাজসহ অন্য অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এসব শুনে আপনার কি লাভ হবে। উপরে অভিযোগ দিয়েও কিছু হবেনা। তার চেয়ে বরং আসুন আমরা একটা চা চক্রে মিলিত হই।
তবে এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বিআইডবিøউটিএর’ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেককে একাধিকবার ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া য়ায়নি।

কে হচ্ছে প্রধানমন্ত্রী?

স্টাফ রিপোর্টার॥
পাকিস্তানে জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি কোনো দল। ফলে নতুন সরকার গড়তে জোটের বিকল্প নেই। এ অবস্থায় সম্ভাব্য জোট শরিক পিপিপি থেকে বিলওয়াল ভুট্টো জারদারিকে দেশটির পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করার দাবি উঠেছে। আলোচনায় রয়েছে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিষয়টিও।

পিএমএল-এন সূত্র বলছে, তাদের সুপ্রিম নেতা নওয়াজ শরিফ আবারও প্রধানমন্ত্রী হতে চান। গড়তে চান চতুর্থবার সরকারপ্রধান হওয়ার রেকর্ড।

মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) পিএমএল-এনের অভ্যন্তরীণ সূত্রের বরাতে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, জাতীয় ও পাঞ্জাবের বিধানসভায় ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে গত সোমবার দলের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন এবং তার নাম অনুমোদনের জন্য পিপিপির কাছে প্রস্তাব পাঠানোর বিষয়েও কথা হয়েছে সেখানে।

সূত্রটি বলেছে, নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার চিন্তা এখন পর্যন্ত বাদ দেওয়া হয়নি। যেহেতু পিএমএল-এনকে কেন্দ্রীয় জোটের নেতৃত্ব দিতে হবে, তাই মরিয়ম নওয়াজ শিবিরের অনেকে মনে করছেন, চালকের আসনে নওয়াজ শরিফেরই বসা উচিত।

জানা যায়, নির্বাচনের আগেই চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগ্রহপ্রকাশ করেছিলেন নওয়াজ। কিন্তু গত ৮ ফেব্রুয়ারির ভোটে অপ্রত্যাশিত ফলাফল তাকে ভিন্ন চিন্তা করতে বাধ্য করেছে। এখন লোভনীয় পদটির জন্য তার ছোটভাই শাহবাজ শরিফের নাম ‘জনপ্রিয়’ হিসেবে উঠে আসছে।

সম্প্রতি পিএমএল-এন নেতা খাজা আসিফ স্থানীয় একটি টিভি চ্যানেলকে বলেছিলেন, বড় ভাই নওয়াজ নন, শাহবাজই প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হতে পারেন।

আসিফের ওই মন্তব্যের বিষয়ে দলের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব বলেছেন, পিএমএল-এন এখন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেনি। সোমবার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে তিনি বলেন, জোটের শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে এবং তাদের পরামর্শ নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এসময় পিপিপির সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন পিএমএল-এন মুখপাত্র। তিনি বলেছেন, একসঙ্গে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দুই দলের মধ্যে নীতিগত একটি চুক্তি হয়েছে মাত্র।

বিভেদের শঙ্কা?
পিএমএল-এন আগে বলেছিল, কেন্দ্রে সহজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলে নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী করা হবে।

কিন্তু গত বৃহস্পতিবারের নির্বাচনে দলটি মাত্র ৭৯টি আসন পেতে সক্ষম হয়েছে, যেখানে পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর জিতেছেন ৯২টি আসনে। এই পটভূমিতে পিএমএল-এন আগের অবস্থান পর্যালোচনা করেছে এবং জোট সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়েছে।

সূত্র জানিয়েছে, দলটির একাংশ মনে করে, নওয়াজ শরিফকে প্রধানমন্ত্রী এবং শাহবাজ শরিফকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করা উচিত। এভাবে কেন্দ্র এবং বৃহত্তম প্রদেশ উভয়কে ভালোভাবে পরিচালনা করা যাবে।

পিপিপি যেন কোনো আপত্তি বা ‘অগ্রহণযোগ্য দাবি’ উত্থাপন না করে, তার জন্য প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী কে হবেন সে বিষয়ে পিএমএল-এনের শিগগির সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে মনে করছেন দলটির নেতারা।

সূত্র বলেছে, আসিফ আলি জারদারি এবং বিলাওয়াল ভুট্টো-জারদারির সঙ্গে শাহবাজ শরিফের বৈঠকের সময় ক্ষমতা ভাগাভাগির ফর্মুলা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী স্লটের নাম নিয়ে নয়।

সূত্র আরও জানায়, নওয়াজ শিবির প্রধানমন্ত্রিত্বের বিনিময়ে বেশ কয়েকটি লোভনীয় পদ— যেমন- প্রেসিডেন্ট, জাতীয় পরিষদের স্পিকার এবং সিনেট চেয়ারম্যানের কার্যালয়— পিপিপি’র হাতে ছেড়ে দিতে রাজি হতে পারে।

এমন প্রেক্ষাপটে পিএমএল-এন এবং পিপিপির মধ্যে দুটি কারণে অচলাবস্থা দেখা দিতে পারে; প্রথমত, পিপিপি যদি বিলাওয়ালের জন্য প্রধানমন্ত্রীর স্লট চায় এবং দ্বিতীয়ত, তারা যদি প্রধানমন্ত্রী পদে নওয়াজের নাম নিয়ে একমত না হয়।

সূত্র বলেছে, নওয়াজকে যদি প্রধানমন্ত্রী করা না হয়, তবে তার মেয়ে মরিয়মকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী করার জোরালো দাবি উঠতে পারে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম