ক্রেতাদের সঙ্গে টেকনোর প্রতারণা

স্টাফ রিপোর্টার:
গত ১০ এপ্রিল নতুন দুটি ফোন উন্মোচন করেছে টেকনো; ক্যামন ৪০ এবং ক্যামন ৪০ প্রো। প্রতিষ্ঠানটি ঘোষণা দেয়, ফোন দুটি প্রি-অর্ডার করলে ক্রেতারা পাবেন বাড়তি উপহার। ক্যামন ৪০ কিনলে সঙ্গে পাওয়া যাবে টেকনো ব্র্যান্ডের ব্যাকপ্যাক। আর ক্যামন ৪০ প্রো কিনলে পাওয়া যাবে টেকনো ওয়াচ ৩ মডেলের স্মার্টওয়াচ।

পর্যায়ক্রমে ক্রেতাদের কাছে ডিভাইসগুলো পৌঁছাতে শুরু করেছে টেকনো। তবে উপহার এবং ডেলিভারির সময়সীমা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রেতাদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা গেছে।

অর্ডার করেও এখন পর্যন্ত অনেক ক্রেতা কাঙ্ক্ষিত ফোনটি বুঝে পাননি। যারা ফেসবুকে টেকনো ইউজার্স গ্রুপে ফোন হাতে পেয়ে পোস্ট করছেন, তাদের পোস্টের নিচে এ ধরনের প্রচুর মন্তব্যের দেখা পাওয়া গেছে।

‘ফোনের স্টক নেই’—এমন মন্তব্যও করেছেন কেউ কেউ। উদ্বেগের বিষয় হলো—অনেক ক্রেতাই ছবি দিয়ে বলেছেন যে তারা টেকনো ওয়াচ ৩ পাননি। কেউ কেউ এর বদলে পেয়েছেন ওরাইমো ওয়াচ।

এ বিষয়ে এক ব্যবহারকারী ফেসবুক পোস্টে মন্তব্য করেছেন, ‘টেকনো প্রথম ১০০০ অর্ডারের সঙ্গে ওয়াচ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল, প্রথম দিনই অর্ডার ১০০০ পেরিয়ে যায়।

এই মন্তব্যের উত্তরে অনেকেই লিখেছেন, বিষয়টি অর্ডারের সময়ই আরো পরিষ্কাভাবে জানানো উচিত ছিল।

এ বিষয়ে টেকনোর ভাষ্য, টেকনো ওয়াচ ৩ মডেলটি স্টক সাপেক্ষে আগে এলে আগে পাবেন ভিত্তিতে ক্রেতারা পাবেন—সেটা অর্ডারের শর্তে উল্লেখ করা হয়। কাঙ্ক্ষিত মডেলের ওয়াচ না পেয়ে ফেসবুকে বেশ কিছু ক্রেতা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

তারা টেকনো ইউজার্স গ্রুপে লিখেছেন, এভাবে ইচ্ছামতো কথা পরিবর্তন করার কারণে তারা ভবিষ্যতে আর টেকনো কেনার প্রতি আগ্রহী হবেন না। কিছু ক্রেতা লিখেছেন, তারা কোনো স্মার্টওয়াচই পাননি।

টেকনোর পক্ষ থেকে এ বিষয় শুধু আশ্বাস দেওয়া হচ্ছে। তবে কেউ কেউ পরে ওরাইমো ওয়াচ বুঝে পেয়েছেন।

ওয়াচকাণ্ড ছাড়াও ব্যাকপ্যাক নিয়েও কিছু ক্রেতা পোস্ট করেছেন। বিশেষ করে, যারা কুরিয়ারে ফোন গ্রহণ করেছেন, তাদের মধ্যেই এমন পোস্ট বেশি দেখা গেছে। টেকনোর সঙ্গে যোগাযোগ করার পর ব্যাগ বুঝে পেয়েছেন কেউ কেউ। তবে একে ক্রেতা ভোগান্তি বলাই যায়।

এক ক্রেতা লিখেছেন, তিনি ক্যামন ৪০ প্রো প্রি-অর্ডার করেছেন দুটি। একটির সঙ্গে ওয়াচের বদলে পেয়েছেন ব্যাগ। এমনটা করায় তিনি টেকনোর ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন।

তিতাস গ্যাসের ডিজিএম আতিয়া বিলকিসের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি’র ডিজিএম কোম্পানি অ্যাফেয়ার্স সৈয়দা আতিয়া বিলকিস (মিতু) কোড নং-০০৭৫৬ এর বিরুদ্ধে অর্থ-আত্মসাৎসহ নানা অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতোপূর্বে নানা অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে পেট্রোবাংলায় অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি হয়।কিন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি। তার বিরুদ্ধে কথা বলতে অনেকেই ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে তিনি দাপটের সাথে অপকর্ম করে আসছেন।নিয়মিত অফিসে না আসা, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর থেকেও রাতারাতি আওয়ামী রূপ পাল্টিয়ে বিএনপি বনে যাওয়া এই কর্মকর্তার অত্যাচারে জর্জরিত তিতাস গ্যাসের কর্মকর্তারা।বিভিন্ন সময়ে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দোহাই দিয়ে অনিয়ম দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়েছেন, বাগিয়ে নিয়েছেন ৪টি পদোন্নতি ও তিনটি বৈদেশিক প্রশিক্ষণ। প্রায় দিনই দুপুরে অফিসে আসলেও তিনি দাপ্তরিক কাজ করতেন না।সোস্যাল মিডিয়ায় আবির তালুকদার নামে ফেক আইডি ব্যাবহার করে কোম্পানীর স্বার্থ বিরোধী কাজ করেন। শফিউল্লাহ ভূইয়া নামে একজন চাকরিচ্যুত কর্মচারীকে দিয়ে ফেসবুকে বর্তমান এমডিকে নিয়ে টাকার জন্য অভিযান চালায় বলে কুৎসা রটায়।গত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর কমিশনার মোজাম্মেল হক, ও পুলিশের আইজিপি জাবেদ পাটোয়ারী কে দিয়ে তিতাসের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোস্তফা কামাল কে চাপ প্রয়োগ করে তদবির করে ডিজিএম পদে পদোন্নতি লাভ করেন। তিতাস গ্যাসের ডিজিএম হয়ে বেপরো হয়ে ওঠেন আতিয়া। সেই সময় তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত তিতাস গ্যাস কর্মকর্তাদের অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদ বাগিয়ে নেন। দুদকের শীর্ষ কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক এর সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে সৎ, দক্ষ,কর্মঠ ও নিবেদিত প্রাণ তিতাস গ্যাসের অফিসারদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন অভিযোগ দিয়ে হয়রানি করেন। তিতাসের সাবেক মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মনির হোসেন খানের নামে অফিসের আশেপাশে ও পেট্রোবাংলায় পোস্টার সাঁটিয়ে হয়রানি ও মানহানি করেন। আতিয়ার ছেলে ও ছেলের স্ত্রী কানাডা গমন কালে আর্থিক সংকট দেখিয়ে তিতাসের আঞ্চলিক অফিস প্রধানদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন।
তিনি কমন সার্ভিস বিভাগের ডিজিএম থাকাকালে মিরপুরে তিতাসের অফিস ভাড়া নেওয়ার কে কেন্দ্র করে সংশ্লিষ্ট বাড়িওয়ালার নিকট হতে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিয়েছেন বলেও শোনা যায়। এবং সেখান থেকে নিয়মিত মাসোহারা গ্রহণ করতেন। ভগবতী ব্যানার্জি রোডের অফিসে থাকাকালে সর্বশেষ এক বছরের জন্য বাড়ি ভাড়ার চুক্তি নবায়ন কালে এক মাসের ভাড়া সমপরিমাণ ৬ লক্ষ টাকা বাড়ির মালিকের নিকট জোরপূর্বক হাতিয়ে নেন। তিতাসের কুড়িল অফিসে জাকির কমপ্লেক্সের মালিক জাকির হোসেন কে ৮ লক্ষ টাকা দিতে বাধ্য করেন। চাকুরী জীবনে নিজের স্বার্থ ছাড়া কোম্পানির স্বার্থে কোন কাজ করেনি। তিনি বিগত সরকারের আমলে আওয়ামী লীগ সমর্থিত অফিসার্স এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি পদে থেকে সুবিধা নিয়েছেন। তিতাস গ্যাস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন রেজিঃ নং- ঢ ০১৭২০/৮৫ এর ২০২২ সালে অভিষেক ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রকাশিত স্মরণিকায় সম্পাদক হিসেবে প্রদত্ত বিজ্ঞাপনে কোটি কোটি হাতিয়ে নেন।আবার রাজনৈতিক পদ পরিবর্তন এর পর সুকৌশলে তিতাসের বিএনপিপন্থী সিবিএর সাথে মিশে জাতীয়তাবাদী ঘরানার কর্মকর্তা বনে গেছেন। তিতাস গ্যাসের বিএনপি কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত প্রকৌশলী মোঃ হেলাল উদ্দিন তালুকদারের সাথে একত্রিত হয়ে প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা কর্মচারীর বদলি বাণিজ্য সহ ১০/১৫ বছর আগে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা কর্মচারীদের চাকরিতে পুনর্বহাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বর্তমান অন্তবর্তী কালীন সরকার ক্ষমতায় আসার পর তিনি তিতাসে ভয়ার্ত পরিবেশের সৃষ্টি করে চলেছেন। আতিয়া বিলকিসের ব্যক্তি জীবন নানা কলঙ্কে ভরপুর। তিনি একজন পরকীয়া আসক্ত নারী বলেও জানান তিতাস গ্যাসের চাকরিচ্যুত কর্মচারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিবিএ নেতা।বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজের আওয়ামী চরিত্র বদল করে রাতারাতি বিএনপি বনে যাওয়া আতিয়া বিলকিস মিতুর দাপটে তটস্থ সকলেই।সাধারণ কর্মকর্তা কর্মচারীরা আতিয়া আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে দিন পার করছেন। তারা এই ধরনের অরাজক পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সকলের সদয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম