দক্ষিন খানে প্রতিবন্ধীর ব্যবসা দখল করল বিএনপি নেতা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর দক্ষিনখান থানার ট্রান্সমিটার মোড়ের বাসিন্দা নাহিদ ইসলামের পাথর সাপ্লাইয়ের কাজ দখলে নিয়েছে ৪৭ নং ওয়ার্ড বিএনপি আহবায়ক আল-আমীন সরকার ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মঈন সরকার। এর প্রতিবাদে আজ ট্রান্সমিটার মোডে ৪৭ নং ওয়ার্ড সাধারণ জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন করেছে।
শারীরিক প্রতিবন্ধী নাহিদ ইসলাম ২০১৬ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় ডান পা হারান। দরিদ্র পরিবারের সন্তান নাহিদ সংসারের বোঝা কাধে নিয়ে, ব্যাংক, সমিতি থেকে এক লাখ আশি হাজার টাকা ঋণ নিয়ে, দক্ষিনখানের একটি বিল্ডিং কনস্ট্রাকশনে পাথর সাপ্লাই এর কাজ নেয়। এ কাজ করে প্রতিবন্ধী নাহিদ তার পরিবার এবং মৃত বড় ভাইয়ের পরিবারকে ভরণ পোষনের সাপোর্ট দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু গত ৩০ এপ্রিল বিএনপির ৪৭ নং ওয়ার্ড এর আহবায়ক আল-আমীন তার লোকজন নিয়ে এসে বালু সাপল্লাইয়ে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং জীবন নাশের হুমকি দেয়। এসময় আলামিন সরকার বলেন ১৭ বছর খাই নাই এখন এগুলো আমাদের অধিকার। তুই আর এই ব্যবস্যা করতে পারবি না।
নাহিদ বলেন, আমি পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। কোন মতে ধারদেনা করে ব্যবসাটা গুছিয়ে নিয়েছি, এরই মধ্যে আমাকে আমার ব্যবসা থেকে উচ্ছেদ করে দেয়। এখন আমি কিভাবে চলবো বা পরিবার কিভাবে চালাবো সেটার উত্তর খুজে পাচ্ছি না। বিএনপি নেতাদের অনেক অনুরোধ করেছি কোন কাজ হয়নি। দক্ষিন খান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক হেলাল উদ্দিন তালুকদারকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে নাহিদ বলেন, আমি উনার কাছে যাইনি, কারণ উনারা সবই এক বা তাদের সম্মতিতেই ব্যবসা দখল হয়েছে।
মানববন্দনে জানানো হয়, ৫ আগস্টের পর এলাকায় চাঁদাবাজী দলবাজিতে অনেকটা ঘোষণা দিয়েই নেমেছে আল আমিন সরকার গং। মহানগর উত্তর বিএনপির আহবায়ক আমিনুল হকের নাম ও তার সাথে তোলা ছবি ব্যবহার করে এলাকার ময়লা ফেলার কাজ, টেম্পু স্ট্যান্ড, ঝুট ব্যবসা দখলে নিয়েছে আল-আমীন সরকার ও মঈন সরকার। আল আমিন সরকারের বিরুদ্ধে এলাকায় মাদকের ব্যবসা করার অভিযোগ রয়েছে। জানাগেছে, তার বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলাও আছে।
মানববন্ধনের বিষয়ে আল আমিন সরকারের বক্তব্য জানতে চাইলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আফতাবনগরে গ্যাস বিস্ফোরণ, একই পরিবারের দগ্ধ ৫

স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর আফতাবনগরে এক বাসায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

শুক্রবার (১৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।

দগ্ধরা হলেন- মো. তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মানসুরা আক্তার (৩৫), তাদের সন্তান তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন প্রতিবেশী মো. শরীফ।

তিনি বলেন, আফতাবনগরের দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এলাকার এক ভবনে নিচতলায় বসবাস করেন ভুক্তভোগীরা। রাতে গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।

দগ্ধ তোফাজ্জল হোসেন একজন দিনমজুর। তার বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। পরিবার নিয়ে ওই বাসায় বসবাস করতেন তিনি।

জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, আফতাবনগর থেকে শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক। দগ্ধদের মধ্যে তোফাজ্জল হোসেনের ৮০ শতাংশ, তার স্ত্রী মানসুরা ৬৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছেন। এছাড়া তাদের কন্যা তানজিলা ৬৬ শতাংশ, মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম