দাম্পত্য জীবন সুন্দর রাখার সহজ উপায়

স্টাফ রিপোর্টার:

ব্যস্ত জীবনে ক্রমাগত নানা কাজের চাপ এখন স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে, যার প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। স্বামী এবং স্ত্রী- একের জন্য অন্যের সময় খুব বেশি থাকে না। একই বাড়িতে থেকেও খুব বেশি কথা হয় না। বড় কোনো দ্বন্দ্ব ছাড়াই একে অন্যের সঙ্গ অপছন্দ করতে শুরু করে। এগুলো ধীরে ধীরে ঘটে বলে পরিবর্তনটা সহজে চোখে পড়ে না। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক সুন্দর রাখার জন্য চেষ্টা থাকতে হবে দুইজনেরই।

রাতে কিছুটা সময় কথা বলুন

রাতের খাবারের পর নিজেদের মধ্যে অন্তত মিনিট দশেক কথা বলুন। আপনার দিনটি কেমন গেল, আগামীকাল কী করতে যাচ্ছেন- এ ধরনের সাধারণ কথাবার্তা। এই ছোট ছোট কথোপকথন সত্যিই বিশ্বাস এবং ঘনিষ্ঠতা তৈরি করতে সাহায্য করতে পারে।

সুন্দর সকাল

প্রতিটি সকাল সুন্দর করার চেষ্টা করুন। সেজন্য আপনাকে খুব বেশি কিছু করতে হবে না। খুব ভোরে উঠে তার জন্য এককাপ চা তৈরি করতে পারেন। পাশাপাশি বসে সকালের নাস্তা খেতে পারেন। তার কাজ, অ্যাপয়েন্টমেন্ট, বা কারও সঙ্গে পরিকল্পনা আছে কি না তা জেনে নিতে পারেন। মনে রাখবেন, আপনার সঙ্গী আপনারই জীবনের অংশ। তাই তার সঙ্গে সংযুক্ত থাকা জরুরি।

‌‘শুভ সকাল’ এবং ‘গুড বাই’ এড়িয়ে যাবেন না

‘শুভ সকাল’ বা একটি উষ্ণ ‘বাই, টেক কেয়ার’ ছোট মনে হতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্য নিয়ে বলা হলে এগুলো অনেক অর্থ বহন করে। এই সহজ শুভেচ্ছাগুলো আপনার সম্পর্কের মধ্যে আরও বেশি ভালোবাসা যোগ করবে, আপনার উভয়কেই মনে করিয়ে দেবে যে আপনি মূল্যবান- এমনকী ব্যস্ত দিনগুলোতেও।

প্রতিদিন একটি ইতিবাচক মুহূর্ত ভাগ করে নিন

পরস্পরের মধ্যে দিনের একটি ভাল জিনিস ভাগ করে নেওয়ার অভ্যাস করুন। এটা ছোট কিছু হতে পারে- এক কাপ চা, একটি সুন্দর কথা অথবা কোনো কাজ শেষ করা। এটি সংযুক্ত থাকার এবং একসঙ্গে ইতিবাচকভাবে দিনটি শেষ করার একটি সহজ উপায়।

প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

গত ০৫ ফেব্রুয়ারি সোমবার, বহুল প্রচারিত জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকায় “ভাই ভাই গ্রুপের কব্জায় রাজউকের ১২১ প্লট” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। যা সম্পূর্নরূপে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। অত্র এলাকায় “ভাই ভাই গ্রুপ” নামে কোনো গ্রুপের অস্তিত্ব নেই। প্রকাশিত সংবাদে আমার পিতা আলহাজ্ব মো. হাসান উদ্দিনকে জড়িয়ে উল্লেখ করা হয়েছে যে, তিনি “দেন দরবার করে এলাকা থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেন” যা সম্পূর্ন মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। আমার পিতা একজন সর্বজন শ্রদ্ধেয়, এলাকার দানবীর হিসেবে পরিচিত তাছাড়াও তিনি প্রতিষ্ঠাতা মোতওয়াল্লী: বাইতুল হামদ জামে মসজিদ, রওজাতুল হাসান মাদ্রাসা ও এতিমখানা, মোতওয়াল্লী: বাইতুল সালাম জামে মসজিদ, সভাপতি: বাইতুর রহমান জামে মসজিদ, প্রধান উপদেষ্টা: দক্ষিণ বারিধারা সোসাইটি কল্যান ট্রাস্ট, গুলশান হেলথ ক্লাব এর ই.সি মেম্বার এবং আমার পিতার নামে যে রাস্তার নামকরণ করা হয়েছে তা আমি কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার আগেই রাজউকের সঠিক নিয়মে হয়েছে যা, উদ্বোধন করেছিলেন তৎকালিন রাজউক চেয়ারম্যান। অন্যদিকে আমার ছোট ভাই ও ভগ্নিপতিকে নিয়ে জমি দখল ও চাঁদাবাজির অভিযোগ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। কারন তারা স্ব-স্ব ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য ব্যবসায়ী। আমি সহ আমার পরিবার সর্বদা চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক ও দখলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছি। ৩৭ নং ওয়ার্ডের সম্পূর্ন এলাকা জুড়ে চাঁদাবাজ, সন্ত্রাস, মাদক ও সরকারী ভূমি দখলের বিরুদ্ধে আমার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরসহ সতর্কীকরণ সাইন বোর্ড টানিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি। উল্লেখ্য যে, আমি মসজিদে দাড়িয়ে ৩৭ নং ওয়ার্ডবাসীর কাছে শপথ করেছিলাম যে, সরকারী বরাদ্দকৃত একটি দানাও আমি স্পর্শ করবো না এবং কোনো অনৈতিক কাজের সাথে জড়িত হবো না।

মূলত এলাকার চিহ্নিত অপরাধী, চোরাকারবারী, ভূমিদস্যু ও স্থানীয় কিছু নেতার যোগসাজশে, মাদক কারবারী, চাঁদাবাজদের নিয়ে আমার সাথে কাউন্সিলর নির্বাচনে বিপুল ভোটে পরাজিত সাবেক বাড্ডা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি “রিকশা এমদাদ” এর নেতৃত্বে এই অপপ্রচার চালানো হয়েছে এবং এরূপ মিথ্যা সংবাদের সাহায্য নিয়ে স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে।
অতএব উক্ত দৈনিক পত্রিকার প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত সকল অভিযোগ সম্পূর্ন ভিত্তিহীন, বানোয়াট, ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত যা সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন। যা আমার ও আমার পারিবারের ঐতিহ্যের উপর আঘাত এনেছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সমূহ যদি সত্য বলে প্রতিয়মান হয় তাহলে আমি স্বেচ্ছায় দলীয় পদপদবী ও কাউন্সিলর পদ থেকে পদত্যাগ করবো।

মোঃ জাহাঙ্গীর আলম
কাউন্সিলর, ৩৭ নং ওয়ার্ড, ঢা.উ.সি.ক

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম