যে ৩ খাবার বাড়িয়ে দেয় রক্তচাপ

স্টাফ রিপোর্টার:

উচ্চ রক্তচাপ কেবল বয়স্কদের সমস্যা নয়, এখন অনেকে অল্প বয়সেও এই সমস্যার শিকার হচ্ছেন। অস্বাস্থ্যকর খাবার, অতিরিক্ত মানসিক চাপ, অলস জীবনযাপন এর নেপথ্যে কারণ হিসেবে কাজ করে। এমনিতেই সেরে যাবে মনে করে শুরুর দিকে অনেকেই এই সমস্যায় গুরুত্ব দেন না। কিন্তু সঠিক সময়ে সচেতন না হলে পরবর্তীতে ভুগতে হতে পারে লম্বা সময়।

উচ্চ রক্তচাপ থেকে দেখা দিতে পারে আরও অনেক সমস্যা। কিছু খাবার আছে যেগুলো খেলে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়। লবণের কথা তো আমরা সবাই জানি, এখন চলুন জেনে নেওয়া যাক উচ্চ রক্তচাপের জন্য দায়ী আরও কিছু খাবার সম্পর্কে-

প্রসেসড ফুড

প্রসেসড ফুড যত সহজলভ্য হোক কিংবা খেতে যতই ভালোলাগুক না কেন, এ ধরনের খাবার পুরোপুরি বাদ দিতে হবে। কারণ এটি শুধু উচ্চ রক্তচাপই নয়, বাড়ায় স্থুলতার ঝুঁকিও। নুডলস, চিপস, বিস্কুট, পাস্তা ইত্যাদি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। এ ধরনের খাবারে সোডিয়াম, ট্রান্স ফ্যাট এবং প্রিজারভেটিভ থাকে। যেগুলো রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

ডিপ ফ্রায়েড ফুড

ডুবো তেলে ভাজা খাবার কারও জন্যই উপকারী নয়। আপনার যদি উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকে তাহলে যতটা সম্ভব এ ধরনের খাবার এড়িয়ে চলুন। সিঙারা, পাকোড়া, সমুচা, পুরি জাতীয় খাবারকে না বলুন। এ ধরনের খাবারে প্রচুর ট্রান্স ফ্যাট থাকে, যা রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়।

অতিরিক্ত মিষ্টি

লবণ খেলে রক্তচাপ বাড়ে ঠিকই, সেইসঙ্গে এর পেছনে দায়ী হতে পারে অতিরিক্ত মিষ্টিও। মাঝেমাঝে অল্পস্বল্প মিষ্টি খাওয়া যেতেই পারে। কিন্তু আপনি যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত মিষ্টি খাবার ও পানীয় খেতে থাকেন, তাহলে দ্রুতই পড়বেন উচ্চ রক্তচাপের কবলে। অতিরিক্ত চিনিযুক্ত চকোলেট, কোমল পানীয়, ডেজার্ট এড়িয়ে চলুন। এগুলো খেতে যতটা সুস্বাদু, রক্তচাপ বাড়াতেও ততটাই দায়ী।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা শুরু মঙ্গলবার

স্টাফ রিপোর্টার: 

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু হবে মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) থেকে।

রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র প্রাঙ্গণে উদ্বোধন করা হয় এ আয়োজনের।

সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আয়োজিত হচ্ছে এ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এ বছর দেশের ১২৮টি জায়গায় এ ভ্রাম্যমাণ মেলায় থাকবে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের তিনটি গাড়ি। প্রতিটি গাড়িতে থাকবে ১০ হাজার করে বই। এসব বই ২৫ থেকে ৩৫ শতাংশ ছাড়ে বিক্রি করা হবে। প্রতি জায়গায় পাঁচ দিন করে বেলা ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে বইমেলা।

এদিন সকালে দেশব্যাপী ভ্রাম্যমাণ বইমেলা ও সাংস্কৃতিক উৎসবের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। নিজের ছাত্রজীবনের স্মৃতি তুলে ধরে তিনি বলেন, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মানেই স্মৃতিকাতর হওয়ার প্রসঙ্গ। গণগ্রন্থাগারের সঙ্গে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ছিল বই পড়ার অন্যতম জায়গা। বর্তমান সময়ে বই পড়ার অভ্যাস গড়ে তোলার পাশাপাশি সংস্কৃতিচর্চার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, যাতে সত্যিকারের আলোকিত মানুষ গড়ার পথ সুগম হয়।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, বই-ই পারে মানুষের হতাশা দূর করে জীবনকে আনন্দে পরিপূর্ণ করতে। তাই বইপড়া উদ্যোগের সঙ্গে সব সময় একাত্মতা পোষণ করেন তিনি। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য অনুবিভাগ) নাফরিজা শ্যামা।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের সভাপতি আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তিনি বলেন, প্রায় আড়াই কোটি পাঠককে বিনা পয়সায় বই পড়িয়েছে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র। বই সবার জন্য উন্মুক্ত করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করার লক্ষ্যে বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র কাজ করে যাচ্ছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের পরিচালক শামীম আল মামুন ও মেটলাইফ ফাউন্ডেশনের কমিউনিকেশন বিভাগের সহকারী ভাইস প্রেসিডেন্ট ফারিয়া মাহবুবসহ অন্যরা।

 

সবা:স:জু-২৫৬/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম