ছাত্রাবাসের টর্চার সেল থেকে উদ্ধার পাঁচ ব্যবসায়ী

স্টাফ রিপোর্টার:

মাগুরা পৌর এলাকার সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছাত্রাবাসের টর্চারসেল থেকে পাঁচ ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করেছেন সেনাসদস্যরা। মুক্তিপণ আদায়ের জন্যে তাদের সেখানে আটকে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত নামে এক যুবককে আটক করা হয়েছে।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাগুরা ক্যাম্পের দায়িত্বরত সেনাসদস্যরা বুধবার (২৮ মে) রাত ১০টার দিকে সাজিয়াড়া গ্রামের এসএম ছাত্রাবাস থেকে ওই ব্যবসায়ীদের উদ্ধার করেন।

পাঁচ ব্যবসায়ী হলেন— রাজীব সরদার, হৃদয় সরদার, বাবু শেখ, ওসমান শেখ এবং রিয়াদ ইসলাম। তাদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বড়ফা গ্রামে।

আটক ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত এক নম্বর ওয়ার্ডের সাজিয়াড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

সেনা ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীরা নানা ধরনের ইলেকট্রনিক পণ্য ফেরি করে বিক্রির উদ্দেশ্যে গত ২১ মে মাগুরা আসেন। এরপর ইসতিয়াক আহমেদ শান্তর খপ্পরে পড়েন তারা।

গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাঁচ ব্যবসায়ীকে কৌশলে সাজিয়াড়া গ্রামের ওই ছাত্রাবাসে নিয়ে যান শান্ত। তাদের সেখানে আটকে রেখে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় তাদের ওপর নির্যাতন চালায় শান্তর লোকজন।

মাগুরার মহম্মদপুরে বাড়ি মহসিন নামে এক প্রবাসী ওই ছাত্রাবাসটির মালিক বলে জানায় এলাকাবাসী। হুরাইরা নামে সাজিয়াড়া গ্রামের একটি ছেলের মাধ্যমে তিনি ছাত্রাবাসটি পরিচালনা করে আসছিলেন।

কিন্তু ৫ আগস্টের পর ইসতিয়াক আহমেদ শান্ত ছাত্রাবাসে বসবাসরত ভাড়াটিয়াদের উচ্ছেদ করে সেটির বিভিন্ন কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দখলে দেয়। এরপর সেখানে টর্চার সেল গড়ে তোলে।

মাগুরা সদর থানার ভাররাপ্ত কর্মকর্তা মো. আইয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানা গেছে। তাদেরও আটকের চেষ্টা চলছে।

 

র‍্যাব’র যৌথ অভিযানে নানা অনিয়মে জরিমানা-২৫লক্ষ

বিশেষ প্রতিনিধিঃ

আসন্ন পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগরীর মোগলটুলী,পশ্চিম মাদারবাড়ি এবং জিইসি মোড় ও মুরাদপুর এলাকায় বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে র‌্যাব-৭,এর বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ১০টি ভিন্ন ভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৪লক্ষ ৭০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

আজ ১৪ ও গত ১২মার্চ এই দুদিনের অভিযানে র‌্যাব-৭, এর বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত কর্তৃক মোট ১০টি প্রতিষ্ঠানকে সর্বমোট ২৪ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে সরকারি কোষাগারে জমা করা হয়েছে।

বিএসটিআই ও নিরাপদ খাদ্য অধিদপ্তরের সমন্বয়ে র‌্যাব-৭, চট্টগ্রাম এর আভিযানিক দল বর্ণিত এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে। র‍্যাব সূত্রে জানা যায়,স্বাস্থ্যকর খাবার জনসাধারনের মাঝে পরিবেশনের জন্য মোগলটুলী, পশ্চিম মাদারবাড়ি এবং জিইসি মোড় ও মুরাদপুর এলাকায় বিশেষ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় গত বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক প্রকাশ্যে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে খাবার উৎপাদন, পচাঁ, দুর্গন্ধ, বাসী খাদ্য, ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ খাবারে মিশানো,অনেকদিন ধরে খাবার ফ্রিজে সংরক্ষণ করে এবং বিএসটিআই এর অনুমোদন ব্যতিরেকে তা সাধারণ জনগণের নিকট বিক্রয়পূর্বক প্রতারণা করার অপরাধে মোগলটুলী ও পশ্চিম মাদারবাড়ি এলাকার বিউটিফুল বেকারী’কে ৪ লক্ষ টাকা, মাহফুজ বেকারী ও কনফেকশনারি’কে ৪ লক্ষ টাকা, প্রগতি ফুডস’কে ৫ লক্ষ টাকা, চট্টলা বেকারী’কে ২ লক্ষ টাকা এবং তামান্না বেকারী’কে দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা অর্থদন্ডসহ সর্বমোট ০৫টি প্রতিষ্ঠানকে ১৭ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অর্থদন্ডের অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়। এছাড়া অদ্য ১৪ মার্চ ২০২২ ইং তারিখ মঙ্গলবার জিইসি মোড় ও মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত কাচ্চি ডাইন’কে ১,২০,০০০ টাকা, এশিয়ান কাবাব ও বিরিয়ানি হাউজ’কে ১,০০,০০০ টাকা, মক্কা হোটেল’কে ১,৫০,০০০ টাকা, বাগদাদ হোটেল ও বিরানী হাইজ’কে ২,০০,০০০ টাকা এবং খাবার মেলা রেস্তোরাঁ’কে ও বিরানী হাউজকে ১,৫০,০০০টাকাসহ সর্বমোট ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৭ লক্ষ ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড এবং অর্থদন্ডের অনাদায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম