১১ মাসে ৭৬৮টি অনুসন্ধান দুদকের

১১ মাসে ৭৬৮টি অনুসন্ধান দুদকের

ডেস্ক রিপোর্ট:

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত (১১ মাস) দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে ১২৮২৭টি অভিযোগের এসেছে। এ সময়ে ৭৬৮ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক। দুদকের হালনাগাদ প্রতিবেদন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

সবচেয়ে বেশি অনুসন্ধান শুরু হয় চলতি বছর। জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৫৩০টি অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু হয়। জানুয়ারি মাসে ৯৬, ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫, মার্চ মাসে ১০১, এপ্রিল মাসে ১১৮, মে ৭২ ও জুন মাসে ৪৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়।

অন্যদিকে, গতবছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮টি অনুসন্ধান শুরু হয়। আগস্ট মাসে ৩৬, সেপ্টেম্বর মাসে ১০০, অক্টোবর মাসে ৭৩, নভেম্বর মাসে ০ ও ডিসেম্বর মাসে ২৯ টি অনুসন্ধান করা হয়। এ সময়ে দুদকের জালে ফেঁসেছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন দুর্নীতিবাজ।

যারা সরাসরি অর্থ আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিভিন্ন মামলা বা চার্জশিটভুক্ত আসামি হয়েছেন, তাদের মধ্যে ১ হাজার ৪৩২ জন মামলার ও ১ হাজার ৩৫৬ জন চার্জশিটভুক্ত আসামি। আর আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২জন রাজনীতিবিদ এবং ৭১৫ জন বেসরকারি চাকরিজীবিসহ অন্যান্য পেশার ব্যক্তি মামলার আসামি। বাকিরা বিভিন্ন পেশার চার্জশিটভুক্ত আসামি।

প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, গত জানুয়ারি থেকে জুন এই ৬ মাসে দুদকে অভিযোগ জমা পড়েছে ৫ হাজার ৯২৯টি, মামলা হয় ২৫৫টি, চার্জশিট দেয় ১৭৫টি, চার্জশিটভুক্ত আসামি ৫৩৮ জন, দুদকের মামলার মোট আসামি ৯৮৩ জন, যার মধ্যে রাজনীতিবিদ রয়েছেন ৬৮, সরকারি চাকরিজীবী ২১১ জন, জনপ্রতিনিধি ১৪ জন।

দুদক থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুসারে, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গত ১১ মাসে বিভিন্ন অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষে ১২ হাজার ৮২৭টি অভিযোগ দুদকে জমা হয়েছে। এর মধ্যে ৭৬৮ অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেওয়া হয়। এ সময়ে ৩৯৯টি মামলা ও ৩২১টি মামলার চার্জশিট দেয় দুদক। মাস হিসেবে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক ৭০ ও ৫৪টি মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় আসামিদের মধ্যে ৩৪৩ জন সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, ব্যবসায়ী ১১৪, ৯২ জন রাজনীতিবিদসহ ১২৬৪ দুর্নীতিবাজ দুদকের জালে ফেঁসেছে। ওই সময়ে ২২৩ জনের বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দেয় দুদক। একই সময়ে ৯টি অভিযোগের পরিসমাপ্তি (অভিযোগ থেকে অব্যাহতি) হয়।

২০২৪ সালের আগস্ট থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ২৩৮ অনুসন্ধান, ৪ পরিসমাপ্তি, ৬২টি সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করে দুদক। আলোচ্য সময়ে ১৪৪ মামলা, ১৪৬ অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এসব মামলায় আসামির সংখ্যা ৪৪৯ জন, অভিযোগপত্রে আসামি ৮১৮ জন।

জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম গনমাধ্যমকে বলেন, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত কাজে গতি এসেছে। পরিসংখ্যান বিবেচনা করলে বিশেষ করে গত ৬ মাসে অভিযোগ, মামলা ও চার্জশিট দেওয়ার পরিমাণ বেড়েছে। বর্তমান কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর দুদকের কাজের অনেকটা অগ্রগতি হয়েছে।

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

স্টাফ রিপোর্টার:

১৯৭০ এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ করা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। উল্টো তারা বাঙালি বেসামরিক লোকদের ওপর গণহত্যা শুরু করে। তাদের এ অভিযানের মূল লক্ষ্য ছিল আওয়ামী লীগসহ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের প্রগতিশীল সব রাজনৈতিক নেতাকর্মী এবং সব সচেতন নাগরিক। তবে অভিযানে নেমে তারা রিকশাওয়ালা থেকে নিয়ে সমাজের সব শ্রেণি পেশার মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করে।
২৫ মার্চ মধ্যরাতে তথা ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেপ্তারের আগে তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার পাশাপাশি যেকোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সময় বাস্তবতা ও নিরাপত্তাজনিত কারণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার এ ঘোষণার নথি সংরক্ষণ করা সম্ভব ছিল না। পরবর্তী সময়ে সংবিধানের ষষ্ঠ তফসিলে বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার মূল্যবান দলিলটি সেখানে লিপিবদ্ধ হয়েছে এভাবে ‘ইহাই হয়ত আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছেন, যার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ ডকুমেন্টস-এ ওই ঘোষণার পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়েছিল। ঘোষণায় বলা হয়, ‘এই-ই হয়ত আপনাদের জন্য আমার শেষ বাণী হতে পারে। আজকে থেকে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। আমি আপনাদের আহ্বান জানাচ্ছি, যে যেখানেই থাকুন, যে অবস্থাতেই থাকুন এবং হাতে যার যা আছে তাই নিয়ে দখলদার পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত প্রতিরোধ গড়ে তুলুন। ততদিন পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যান-যতদিন না দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীর শেষ সৈনিকটি বাংলাদেশের মাটি থেকে বহিষ্কৃত হচ্ছে এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হচ্ছে।
তৎকালীন ইপিআর-এর ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে ঘোষণাটি সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। পরে চট্টগ্রামের স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ২৬ ও ২৭ মার্চ বেশ কয়েকজন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের