চা বানানোর কৌশল

ফিচার ডেস্ক॥

সকালে এক কাপ গরম চায়ে চুমুক দিয়ে অনেকের দিন শুরু হয়। আবার সন্ধ্যার ক্লান্তি কাটাতেও চায়ের জুড়ি নেই। যে কোনো আড্ডা বা মুভির আসর চা ছাড়া জমে না। চায়ে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যালস, এটি হাড় শক্ত করে। চা ক্যানসার প্রতিরোধক ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। মস্তিষ্ক গঠনে সহায়তা করে।

প্রতিদিন চা বানানোর পরও অনেকেই নিজের বানানো চায়ের স্বাদ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে না। তবে চা বানানোর কিছু কৌশল অবলম্বন করলে চায়ের স্বাদ বেড়ে যাবে কয়েকগুণ। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে নিখুঁত এক কাপ চা বানাতে পারবেন-

কখনোই চিনি, চা পাতা, পানি একসঙ্গে ফুটতে দেবেন না। এতে চায়ের স্বাদ নষ্ট হবে। তবে চায়ের স্বাদ বাড়াতে চাইলে, চা পাতা ফোটানোর সময় সামান্য লবণ যোগ করতে পারেন।

চা পাতা কখনোই প্লাস্টিকের কৌটায় রাখবেন না, কাচ কিংবা স্টিলের জারে সংরক্ষণ করুন। খেয়াল রাখবেন কৌটায় সরাসরি রোদ না লাগে।

রং চা বানানোর ক্ষেত্রে, পানি আর চা পাতা কিন্তু কখনোই একসঙ্গে ফোটাবেন না। এতে গ্যাস নষ্ট, সময় নষ্ট সেই সঙ্গে চায়ের কোনো রকম স্বাদও পাওয়া যায় না। যেমনই চা পাতা হোক না কেন আগে পানি ফুটিয়ে গ্যাস বন্ধ করে তবেই চা পাতা দিন। এরপর ২ থেকে ৩ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এতে চায়ের স্বাদ আরও ভালোভাবে মিশে যায়।

ভালো রং পেতে দুধ চা আর লিকার চা বানানোর সময় দানা চা ব্যবহার করুন। এছাড়া চায়ের পানি যত গরম হবে, চা পাতা থেকে তত ভালোভাবে ক্যাফেইন আর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পানিতে মিশে ঘ্রাণ এনে দেবে।
ফ্রিজ থেকে বের করে ঠান্ডা দুধ চায়ে দেবেন না। দুধ জ্বাল দিয়ে ঠান্ডা করে তারপর চা বানাবেন। ফ্রিজের ঠান্ডা দুধ দিলে ঘি আলাদা হয়ে যাবে। এতে চায়ের স্বাদে তারতম্য ঘটে।
আদা দিয়ে চা করতে চাইলে আদা গ্রেড করে প্রথমে গরম পানির মধ্যে দিন। তাতে দু-একটা তুলসী পাতা, তিন থেকে চারটি লবঙ্গ, গোলমরিচ দিতে পারেন। এই পানি ভালোভাবে ফুটলে তারপরই গ্যাস বন্ধ করে চা পাতা দিন। অতিরিক্ত চা পাতা দিলে চায়ের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে খেতে তিতা লাগবে।

লেবু চা বা কমলালেবুর চা পছন্দ হলে আগে থেকে খোসা ছাড়িয়ে তা রোদে শুকিয়ে রাখুন। ভালো করে শুকনো হলে সেই খোসা গুঁড়া করে অল্প পরিমাণ চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে রাখুন। এতে স্বাদ বৃদ্ধি পাবে।

চা পাতা বা টি-ব্যাগ যা-ই ব্যবহার করুন না কেন, তা একবারই ব্যবহার করতে হবে। চা পাতা পুনরায় ব্যবহার করতে গেলে তাতে আর ক্যাফেইন অবশিষ্ট থাকে না। চা বানানোর সময় ছোট কাপ ব্যবহার করলে ভালো। এতে চা বেশিক্ষণ গরম থাকে।

ত্বকের সমস্যা দূর করবে যে ফেস মাস্ক

স্টাফ রিপোর্টার:

শীত অথবা গরম—ত্বকের যত্নের প্রয়োজন পড়ে সবসময়ই।

তবে শীত শুরু হলেই ত্বক রুক্ষ, শুষ্ক ও প্রাণহীন বেশি দেখা দেয়। আসলে, শুষ্ক বাতাসের কারণে, ত্বকের আর্দ্রতা কমতে শুরু করে, যার ফলে ত্বকে চুলকানি এবং আঁচড়ের সাথে সাদা খুশকি দেখা দেয়। আপনিও যদি ঠান্ডা শুরু হওয়ার সাথে সাথে শুষ্ক ত্বকের সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে অবশ্যই আপনার বিউটি রুটিনে দই ফেস মাস্ক অন্তর্ভুক্ত করুন। সুস্থ-সুন্দর দ্বাগহীন ত্বক পেতে দারুণ কাজ করে এই ম্যজিকাল ফেস মাস্ক।

দই শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, আপনার ত্বকের জন্যও অমৃতের মতো। তৈলাক্ত থেকে শুষ্ক ত্বক সব ধরনের ত্বকের জন্যই দই উপকারী, যা তৈরি করে মুখে লাগানো যায় নানাভাবে। আসুন জেনে নিই শীতের মৌসুমে মুখের আদ্রতার সাথে গোলাপি আভা বজায় রাখতে কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন এবং লাগাবেন।

দই ফেস মাস্ক তৈরির উপকরণ:

দুই টেবিল চামচ তাজা দই

এক চামচ মধু

এক চামচ নারকেল তেল

এক টেবিল চামচ ম্যাশ করা কলা

কীভাবে দই ফেস মাস্ক তৈরি করবেন:

দই ফেস মাস্ক তৈরি করতে, প্রথমে একটি পাত্রে দই এবং মধু একসাথে মিশিয়ে একটি সুন্দর নরম পেস্ট তৈরি করুন। মুখে দই লাগালে আপনার ত্বক নরম ও হাইড্রেটেড থাকবে। এবার এই পেস্টে নারকেল তেল এবং ম্যাশ করা কলা ভালো করে মেশান যতক্ষণ না মিশ্রণটি মসৃণ ও ক্রিমি হয়ে যায়। এখন, তৈরি ফেস মাস্কটি চোখ এড়িয়ে মুখে পুরু স্তরে লাগান। ২০ মিনিটের জন্য মুখে মাস্ক রাখুন। মাস্ক পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এর পর মুখে ভালো ময়েশ্চারাইজার লাগান।

মুখে দই দিয়ে তৈরি মাস্ক লাগালে উপকার পাওয়া যায়:

দই ফেস মাস্ক শুধু মুখের ময়লাই দূর করে না, ত্বকের মৃত কোষ কমাতেও সাহায্য করে এবং ব্রণ কমাতে এবং দাগ হালকা করতেও সাহায্য করে। এছাড়া এতে উপস্থিত পুষ্টিগুণ ত্বককে সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতেও সাহায্য করে।

সবা:স:জু- ১৮২/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম