গ্যাস বিস্ফোরণ: শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ

ডেস্ক রিপোর্ট:

রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের তিনজন দগ্ধ হয়েছেন। বিকট শব্দ শুনে এগিয়ে গিয়ে তিনজনকেই আগুনে ঝলসানো অবস্থায় ঘরে পড়ে থাকতে দেখেন প্রতিবেশীরা। পরে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

বুধবার (৯ জুলাই) দিবাগত রাত পৌনে ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী শহীদ ফারুক সড়ক খাদিমুল কুরআন মহিলা মাদ্রাসা গলির একটি ছয়তলা বাড়ির নিচতলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

দগ্ধরা হলেন- রিপন (৪০), তার স্ত্রী ইতি (৩০) ও তাদের তিন বছর বয়সি মেয়ে রাফিয়া। তারা এখন ঢাকার জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।

রিপনের প্রতিবেশী তাসলিমা মনি বলেন, ‘রাত পৌনে ২টার দিকে বিকট একটি শব্দ পাই। ছুটে গিয়ে গিয়ে দেখি, ঘরের দরজা-জানালা ভেঙে গেছে। পরিবারটির তিনজনের শরীর আগুনে ঝলসানো। তাৎক্ষণিক তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

মনি আরও বলেন, ‘মশার কয়েল জ্বালানোর সময় এই বিস্ফোরণ ঘটে। মনে হচ্ছে লিকেজের কারণে গ্যাস জমে ছিল।’

বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান বলেন, ‘রিপনের শরীরের ৭০ শতাংশ, ইতির ৪৫ আর শিশুটির ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।’

কেরানীগঞ্জে বিদ্যুৎ সংযোগে দুর্নীতি: ডিজিএম রফিকুলের বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ

জাহিদ হোসেন:
ঢাকার কেরানীগঞ্জের আটিবাজারে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ভয়াবহ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়রা জানান, তার অফিসে টাকা ছাড়া কোনো কাজই হয় না। বিদ্যুৎ সংযোগের আবেদনে স্বাক্ষরের জন্যও গ্রাহকদের ঘুষ দিতে হয়, নইলে ফাইল বাতিল করে দেওয়া হয়।
অভিযোগ রয়েছে, তিনি ইলেকট্রিশিয়ানদের ‘দালাল’ আখ্যা দিয়ে কাজ বন্ধ করে নিজে অফিসার পরিচয়ে সংযোগ অনুমোদন করেন এবং পছন্দের লোক দিয়ে কাজ করিয়ে অবৈধ মুনাফা লুটে নেন। সম্প্রতি আটি মডেল টাউনের ১১ তলা ভবনে রাজউকের নিষেধাজ্ঞা ও ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র ছাড়াই বিদ্যুৎ সংযোগের ৯৫ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ সংক্রান্ত নথিতে গত ২৩ জুলাই সরাসরি স্বাক্ষর করেছেন রফিকুল ইসলাম।
তবে এটাই প্রথম নয়। মানিকগঞ্জে দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ ছিল। দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে আসা এই কর্মকর্তা বর্তমানে কোটি টাকার মালিক, কিনেছেন জমি ও বাড়ি—যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
গত ২৫ আগস্ট আটিবাজার জোনাল অফিসের ইলেকট্রিশিয়ানরা জেনারেল ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তারা জানান, প্রতিটি ধাপে ঘুষ নেওয়ার কারণে গ্রাহকদের সঙ্গে বিরোধ বাঁধছে এবং অফিসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে। অভিযোগ করার পর থেকে ইলেকট্রিশিয়ানরা হুমকিও পাচ্ছেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিজিএম রফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্ন এড়িয়ে যান এবং সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন—“আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।” তবে ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-৪ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. খালেদুর রহমান জানিয়েছেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে, প্রমাণ মিললে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের বিদেশ যেতে না পারায় মাইক ভাড়া করে এলাকাবাসিকে গালিগালাজ করলেন কিশোরগঞ্জের যুবক জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কুমিল্লায় গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার, পালিয়েছেন স্বামী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ঢাকা এলজিইডিতে দুর্নীতির একচ্ছত্র অধিপতি বাচ্চু মিয়া বিমান বন্দরের সামনে এখোনো উৎসুক জনতার ভীড় নেভেনি আগুন বাড়িভাড়া ৫০০ টাকা বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপন জারি শিক্ষকদের