
স্টাফ রিপোর্টার॥
জামানত বাবদ ঠিকাদারদের জমা করা পে-অর্ডার অবৈধভাবে ক্যাশ করার অভিযোগ প্রমাণিত হলেও কোনো শাস্তি পাননি গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (রিজার্ভ) মুহাম্মদ সারওয়ার জাহান। তিনি গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী থাকার সময় এই অনিয়ম করেন।
সম্প্রতি সারওয়ার জাহানকে কোনো শাস্তি ছাড়াই বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় থেকে অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।
মুহাম্মদ সারওয়ার জাহান গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত অবস্থায় গাজীপুর গণপূর্ত বিভাগের অধীন কাশিমপুর কারাগার-২ এর এইচটি ক্যাবল ফল্ট লোকেটর মেশিন সরবরাহের অনুকূলে ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডার ঠিকাদারের কাছ থেকে জামানত হিসেবে নেন। পে অর্ডার ক্যাশ করার কারণে চট্টগ্রামের ইউনিভার্সেল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সত্ত্বাধিকারী মো. আবুল হাশেম অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গণপূর্ত অধিদপ্তর থেকে ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
ওই কমিটি তদন্ত করে কাশিমপুর কারাগার-২ এর এইচটি ক্যাবল ফল্ট লোকেটর মেশিন সরবরাহের অনুকূলে জামানত বাবদ ঠিকাদারদের জমা করা ১০ লাখ টাকার পে-অর্ডারটি অবৈধভাবে ক্যাশ করার সত্যতা রয়েছে বলে মতামত দেয়। ওই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মুহাম্মদ সারওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮ অনুযায়ী অসদাচারণের অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নজরুল ইসলামের সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, সারওয়ার জাহান গত ১৭ মার্চ লিখিত জবাব দেন এবং ২২ মে তার ব্যক্তিগত শুনানি নেওয়া হয়। উভয়পক্ষের শুনানি এবং বিভাগীয় মামলার নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার চাকরি জীবনের প্রথম অপরাধ বিবেচনায় ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং সর্তকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন বলে অঙ্গীকার করেন।
সারওয়ার জাহানকে ভবিষ্যতে সতর্কতার সঙ্গে বিধি-বিধানের আলোকে কাজ করার নির্দেশনাসহ বিভাগীয় মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো বলে অফিস আদেশে জানানো হয়।