
নেত্রকোনা সংবাদদাতা:
সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরকে জড়িয়ে নেত্রকোনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অনুষ্ঠানে সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর মন্তব্যের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে বিএনপি। আজ রোববার বিকেলে জেলার মদন উপজেলা এবং পৌর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা তাৎক্ষণিক এই প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নেতা-কর্মীরা মদন পৌরসভার জাহাঙ্গীরপুর সেন্টার এলাকায় বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এসে জড়ো হন। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি বের হয়ে এনসিপি ও নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে পৌর সদরের প্রধান সড়কগুলো ঘুরে উপজেলা পরিষদ এলাকায় পাবলিক হলের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তব্য দেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি নূরুল আলম তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ, পৌর বিএনপির সভাপতি কামরুজ্জামান চন্দন, সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির প্রমুখ। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত নেতা-কর্মীরা দলীয় কার্যালয়ে বসে জরুরি সভা করছেন। নাসীরুদ্দীনের বক্তব্যের প্রতিবাদে নেত্রকোনা জেলা যুবদলের সাবেক সহসভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন খান বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছেন। সন্ধ্যা সাতটার দিকে জেলা শহরের চকপাড়া এলাকা থেকে মিছিল শুরু হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ছোট বাজার এলাকায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এনসিপি দলীয় সূত্রে জানা গেছে, আজ রোববার দুপুরে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া এলাকার পুরাতন কালেক্টরেট মাঠে দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রার অংশ হিসেবে এনসিপি অনুষ্ঠান করে। অনুষ্ঠানে সংগঠনের মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘বাংলাদেশে অসংখ্য হত্যাকাণ্ড ঘটেছে, অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে বড় একটি ঘটনা হলো ১০ ট্রাক অস্ত্রের চালান। যদি অস্ত্র হ্যান্ডলই করতে না পারেন, তবে নিয়ে আসছিলেন কেন আপনি? আমাদের দক্ষিণ এশিয়ায় এই অস্ত্রকাহিনির কারণে বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব হুমকির মধ্যে পড়েছে। অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হয়েছে।
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী আরও বলেন, ‘আমি বাবর ভাইকে (সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর) সম্মান করি, তিনি কারা নির্যাতিত নেতা। কিন্তু আপনার ওই কাজ আমি সমর্থন করি না। আপনার এই কাজের কারণে বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পারেনি। হাসিনার মতো একজন খুনি-ফ্যাসিস্ট ক্ষমতায় এসেছিলেন। গত ১৫ বছর বিএনপির নেতা-কর্মীরা নির্যাতিত হয়েছেন, আমার ভাইদের হত্যা করা হয়েছিল, গুলি চালানো হয়েছিল, এই জন্য ইতিহাসের কাঠগড়ায় আপনিও দায়ী থাকবেন। আমরা শান্তি চাই। আমরা অশান্তি চাই না বাংলাদেশে। আমরা মানুষের অধিকার চাই। মানবিক মর্যাদা চাই।