বাকৃবির শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাকৃবির শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাকৃবি সংবাদদাতা:

গত বছরের ৪ আগস্ট শেখ হাসিনাতেই আস্থা নামে শান্তি মিছিলে যোগদান এবং গণঅভ্যুত্থান চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরীহ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের ওপর জুলুম ও নির্যাতনের অভিযোগে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ৫৭ জন শিক্ষক ২৪ জন কর্মকর্তা, ২১ জন কর্মচারী এবং ৩১ জন শিক্ষার্থীর (ছাত্রলীগের নেতাকর্মী) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এছাড়া ২০২২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশরাফুল হক হলে চার শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের ৩২৮তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার (৪ আগস্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো হেলাল উদ্দীন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষকদের মধ্যে ৬ জনকে বরখাস্ত, ১২ জনকে অপসারণ, ৮ জনকে নিম্নপদে অবনমন এবং ৩১ জনকে তিরস্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মধ্যে ৮ জনকে বরখাস্ত, ৮ জনকে অপসারণ, ৭ জনকে তিরস্কার এবং ১ জনকে ৫ লাখ টাকা অর্থদন্ড প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কর্মচারীদের মধ্যে ২ জনকে বরখাস্ত এবং ১৯ জনকে তিরস্কারের করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৭ জনকে আজীবন বহিষ্কার এবং ২৪ জনের সনদপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ট্যাগ দিয়ে নির্যাতনের ঘটনায় ২১ জনকে শাস্তি

এ ঘটনার পাশাপাশি ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর আশরাফুল হক হলে বিকেল ৫টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত চারজন শিক্ষার্থীকে ছাত্রদল ও শিবির ট্যাগ দিয়ে শারীরিক নির্যাতনের ঘটনায় আরও ২১ জনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিয়েছে প্রশাসন। এর মধ্যে ১৮ জন শিক্ষার্থী (১৫ জনের সনদপত্র বাতিল এবং ৩ জনকে আজীবন বহিষ্কার) ২ জন শিক্ষক (একজনকে নিম্নপদে অবনমন এবং অন্যজনের পদোন্নতি-বেতনবৃদ্ধি স্থগিত) ও ১ জন কর্মকর্তাকে চাকরি থেকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন তদন্ত কমিটি বিভিন্ন আলোচনা সাক্ষাৎকার তথ্যের ভিত্তিতে শাস্তি সুপারিশ করেছে এবং সেগুলোকে যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত ১৮ মে সিন্ডিকেট সভায় এই শাস্তি প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং পরবর্তী সভায় পরিসমর্থন হয়েছে। ৩ জন শিক্ষক এর মধ্যে হাইকোর্টে রিট করেছিলেন যে তদন্ত কমিটি বৈধ নয়। সেগুলো রিট গতকাল খারিজ হয়েছে। আজকে থেকে তাদের শাস্তি সংক্রান্ত কাগজ বিলি হচ্ছে।

জবির ২৯৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা, বেড়েছে ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি

জবির ২৯৮ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা, বেড়েছে ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি

ডেস্ক রিপোর্টঃ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ২৯৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যা গত অর্থবছরের তুলনায় ৪৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বেশি।

সোমবার (৩০ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০২তম সিন্ডিকেট সভায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেট উত্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন।

প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ১৮৭ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দিয়ে ১১০ কোটি টাকা ঘাটতি বাজেট দেখানো হয়েছে। এ ঘাটতি বাজেট থেকে ৬০ কোটি টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পূরক বৃত্তি ও অস্থায়ী আবাসনের জন্য বরাদ্দ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইউজিসি। এছাড়া বাকি ৫০ কোটি টাকা ৩১টি খাতে ঘাটতি দেখানোর কথা বলেছে বাজেট সংশ্লিষ্টরা।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছরের বাজেট ৪৮ শতাংশ বেড়েছে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য যে সম্পূরক বৃত্তির কথা বাজেটে উত্থাপন করা হয়েছে তা পেতে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। যখনই পাই না কেন শিক্ষার্থীদের এ সম্পূরক বৃত্তি জুলাই থেকেই কার্যকর হবে। একই সঙ্গে অন্যান্য খাতেও আমাদের বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট ৪৮ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এই বাজেট বৃদ্ধির মাধ্যমে আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূরক বৃত্তি, অস্থায়ী আবাসন, গবেষণা, তথ্যপ্রযুক্তি, স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতি ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় এটি বড় ধরনের সহায়ক হবে। আমি এই বাজেট অনুমোদনের ক্ষেত্রে সহযোগিতা ও দিকনির্দেশনার জন্য ইউজিসি চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। পাশাপাশি আমাদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা এই বাজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে গুণগত শিক্ষায় আরও একধাপ এগিয়ে যেতে পারবো বলে আমি আশাবাদী।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম