ফরিদপুর সংবাদদাতা:
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীর ডান তীর রক্ষা বাঁধের ৩০ মিটার অংশ ধসে পড়েছে। সোমবার (৪ আগষ্ট) ভোর থেকে গোপালপুর ও টগরবন্দ ইউনিয়নের সংযোগস্থল চর আজমপুর এলাকায় বাঁধের ব্লক খসে পড়তে শুরু করে। ধসে যাওয়া বাঁধটি এখনো পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কাছে হস্তান্তর হয়নি। মঙ্গলবার সকাল থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স লিটন মল্লিক বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলার মাধ্যমে ভাঙন রোধের কাজ শুরু করেছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সম্প্রতি নির্মাণকাজ শেষ হওয়া ৩০০ মিটার বাঁধের নির্মাণে তদারকির অভাব ও নিম্নমানের উপকরণ ব্যবহারের কারণে এই ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে নদীতীরবর্তী শতাধিক পরিবার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। চর আজমপুরের বাসিন্দা হান্নান শরীফ বলেন বাঁধের কাজ দেখে আমরা ভরসা পেয়েছিলাম। এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি, তার আগেই ধসে পড়ল। এই কাজ ভালো হয়নি বলেই এমন হচ্ছে।’ অন্য এক বাসিন্দা শেফালী বেগম জানান, ‘স্থায়ী বাঁধ দেখে ধার করে ঘর তুলেছিলাম, এখন সেটাও ভাঙনের হুমকিতে।
২০২৩ সালের জুনে একনেক সভায় অনুমোদিত মধুমতি নদী ব্যবস্থাপনা ও উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর ও মাগুরা জেলার কিছু এলাকায় মোট ৭.৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে চর আজমপুর অংশের কাজ বাস্তবায়ন করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১২ কোটি টাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে ফরিদপুর পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন আমাদের অন্য প্যাকেজগুলোর তুলনায় এই কাজটি ভালো হয়েছে। ঢালাওভাবে তদারকির অভাব বলাটা সঠিক নয়। ধসের কারণ নদীর স্রোতধারার পরিবর্তন। তিনি আরও জানান, বাঁধ ধসের খবর পেয়ে প্রতিনিধি দল পাঠানো হয়েছে এবং ঠিকাদারকে দ্রুত মেরামতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান বলেন, নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় বাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে। আপাতত জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে, পানি কমলে ব্লক বসিয়ে মেরামত করা হবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.