মাগুরায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় কাদা ও জলাবদ্ধতা

মাগুরায় তিন কিলোমিটার রাস্তায় কাদা ও জলাবদ্ধতা

জেলা প্রতিনিধি:

মাগুরার শ্রীপুর উপজেলার ১নং গয়েশপুর ইউনিয়নের চাকদাহ গ্রামের জোড়া ব্রিজ থেকে ইছাপুর পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার বেহাল অবস্থা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটি সংস্কার না হওয়ায় খানাখন্দ, কাদা ও জলাবদ্ধতা জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও তীব্র আকার ধারণ করছে।

রোববার (১০ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, পুরো রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত ও কাদার স্তূপে যান চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, কৃষক, দিনমজুরসহ হাজারো মানুষ প্রতিদিন এই রাস্তায় চলাচল করলেও ঝুঁকি নিতে হচ্ছে ভ্যান, অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকদের। ফলে দুর্ঘটনাও ঘটছে প্রায়ই।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, শুকনো মৌসুমেও এই রাস্তায় স্বাভাবিকভাবে যাতায়াত করা যায় না। যানবাহনের গতি ব্যাহত হওয়ায় অনেক সময় বিকল্প পথে যেতে হয়, এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে।

কৃষক আকমল হোসেন বলেন, ফসল বাজারে নিতে দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়। ধান, চাল বা সবজি বিক্রি করেও লাভ থাকে না।

ভ্যানচালক আমিরুল বলেন, ভাঙা রাস্তা আর কাদার কারণে গাড়ি চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে। চালালে গাড়ির মোটর বারবার নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটা ইটের সলিং করলেও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতাম।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাস্তাটির কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে বড় ধরনের ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন তারা।

এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর (এলজিইডি) শ্রীপুর উপজেলা অফিসের উপসহকারী প্রকৌশলী মোজাম্মেল হক বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঝিনাইদহে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহণ ও উপকরণ বানিজ্যের অভিযোগ

মোঃ হাসানুজ্জামান:

এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সেই সাথে এগিয়ে চলেছে এদেশের শিক্ষা-ব্যবস্থা। নানাবিধ কারণে শিক্ষার মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তার পেছনের কারণ জানতে অনাগ্রহী অনেকেই। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিশুদের লেখাপড়া মান উন্নয়ন ও বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নের লক্ষে প্রতিবছর প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে প্রতিটি বিদ্যালয় স্লিপ, রুটিন মেরামত এবং প্রাক প্রাথমিক বাবদ দেওয়া হয় বিশেষ বরাদ্দ।

এই বরাদ্দের টাকা বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটিকে নিয়ে প্রধান শিক্ষক বিভিন্ন উপকরণ সামগ্রী ও বিদ্যালয়ের আনুষঙ্গিক কাজ করার সরকারি নীতিমালা রয়েছে।

তবে অভিযোগ উঠেছে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আসাদুজ্জামান এ-সকল উপকরণ কমদামে ক্রয় করে প্রধান শিক্ষকদের নিকট তিনগুন বেশিদামে বিক্রি করে আসছেন। কেউ নিতে না চাইলে বাধ্য করা হচ্ছে। যা নিয়ে সবার মাঝে সৃষ্টি হয়েছে তিব্র ক্ষোভ।

আসাদুজ্জামান দীর্ঘ ৬ বছর মহেশপুর উপজেলায় কর্মরত থেকে এ বানিজ্য চালিয়ে আসছেন। বিগত বছরগুলোতে এভাবে উপকরণ বানিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়েছে নানান সমালোচনা।

এছাড়া প্রতি বছর অফিস খরচ বাবদ ঘুষ হিসেবে বিদ্যালয় প্রতি নিয়েছেন ৪৫০০-৫০০০/-টাকা।তার অধিনস্ত ২টি ক্লাষ্টারে বিদ্যালয়ের সংখ্যা মোট ৪৬ টি। সকল প্রধান শিক্ষককে জিম্মি করে এি অফিসার তার এমন অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন।

বলা বাহুল্য, শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামানের পুর্বের ষ্টেশন সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনে এ ধরনের একটি মামলাও চলমান রয়েছে।

নাম-পরিচয় গোপন রাখার শর্তে মহেশপুর উপজেলার একাধিক শিক্ষক জানান, তাদের সকল উপকরণ সরবরাহ করেন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার আসাদুজ্জামান। ভুক্তভোগী শিক্ষকগন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের কার্যকরী হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম