ডেস্ক রিপোর্ট:
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলা গার্ডেন সিটি, চন্দ্রিমা মডেল টাউন, ঢাকা উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় ফের বেড়েছে ছিনতাই। তরবারি, চাপাতি হাতে দিনদুপুরে ছিনিয়ে নিচ্ছে সর্বস্ব। সম্প্রতি ছিনতাইয়ের শিকার হন পাঠাও ও সিঙ্গার শোরুমের দুই কর্মী। সেই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর এসব এলাকার নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এলাকাবাসী বলছেন, ছিনতাই আতঙ্কে সন্ধ্যার পর বাসা থেকেই বের হচ্ছেন না তারা।
সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) বিকেল ৪টা ৯ মিনিটে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় কুরিয়ার ডেলিভারি দিয়ে বের হতেই পাঠাওকর্মীর গতিরোধ করেস ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার তিন আরোহী। কিছু বুঝে উঠার আগেই তরবারি ও চাপাতি ধরে ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ফোন ও কুরিয়ারের কালেকশনের ৪১ হাজার টাকা।
এর একদিন আগে পাশের চন্দ্রিমা মডেল টাউনের সড়ক দিয়ে যাচ্ছিলেন সিঙ্গার শোরুমের এক কর্মী। আগে থেকেই ওত পেতে থাকা তিন ছিনতাইকারী তার গতিরোধ করে ছিনিয়ে নেয় দেড় লাখ টাকা। একটু দূরেই চন্দ্রিমা মডেল টাউন ও বসিলা গার্ডেন সিটির সংযোগস্থল। এখানেও প্রকাশ্যে চলে ছিনতাই।
ছিনতাই আতঙ্কে এসব এলাকার মানুষ এখন সন্ধ্যার পর বাইরে বের হতে যেমন ভয় পান, তেমনি অন্য এলাকা থেকেও আসতে আতঙ্ক কাজ করে নগরবাসীর মধ্যে।
তবে ভিডিও ভাইরালের পর মাঠে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। চন্দ্রিমা মডেল টাউন থেকে পাঠাওকর্মীর ছিনতাইয়ে জড়িত এক আসামিকে শনিবার (৯ আগস্ট) গ্রেফতার করে র্যাব।
পুলিশ বলছে, নিয়মিত টহল ও অভিযান চালিয়ে একের পর এক আসামি গ্রেফতারের পরও থামছে না ছিনতাই। মোহাম্মদপুরের চন্দ্রিমা মডেল টাউন, ঢাকা উদ্যান ও আশপাশের এলাকায় বেশিরভাগ ছিনতাইয়ে কব্জি কাটা আনোয়ার গ্যাংয়ের সদস্যরা জড়িত।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার মো. ইবনে মিজান বলেন, রাতে টহল জোরদার করা হলে দেখা যায় যে তখন দিনে ছিনতাই সংগঠিত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। সব মিলিয়ে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই বিষয়টি আমরা নজরে রাখছি। স্থিতিশীল অবস্থায় নিয়ে আসতে পেরেছি। দুয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ত ঘটছে। তবে আশা করি, আগামী দিনে আমাদের তৎপরতা জোরদার রাখলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.