সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসককে মারধর, সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে ভিডিও

সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় চিকিৎসককে মারধর, সাহায্য চেয়ে ফেসবুকে ভিডিও

চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:

চট্টগ্রামের বাকলিয়ায় সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেওয়ায় এক চিকিৎসককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ইকবাল হোসেন নামের ওই চিকিৎসকের সাহায্য চাওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। ওই সময় তাঁর মুখে রক্ত দেখা যায়।

৩৬ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে চিকিৎসককে বলতে শোনা যায়, ‘আমি ডাক্তার ইকবাল। বাকলিয়ায় পুরাতন চারতলায় আছি। আমাকে…বিএনপির হারুন; ওদেরকে সন্ত্রাসীদেরকে টাকা দিই নাই বলে আমাকে মারছে, আমাকে মারার জন্য খুঁজতেছে।

আমি লুকাই আছি একটা ঘরের মধ্যে। ৯৯৯-এ ফোন দিয়েছি। ২০-৩০ মিনিট হয়ে গেছে ওরা আসতেছে না। আমার ভাগনে-ভাগনিকে নিয়ে গেছে। আমাকে বাঁচান ভাই।’
পুলিশ সূত্র জানায়, ভিডিওতে থাকা ওই ব্যক্তি চট্টগ্রাম নগরের ইবনে সিনা হাসপাতালের চিকিৎসক ইকবাল হোসেন (৩৮)। ঘটনাটি আজ সন্ধ্যায় নগরের বাকলিয়া এলাকার পুরাতন চারতলা এলাকার। বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ নুরুল আলম বলেন, বাকলিয়া থানার নুর বেগম জামে মসজিদের পাশে চিকিৎসক ইকবাল হোসেন একটি বাড়ির নির্মাণকাজ শুরু করেন। দীর্ঘদিন ধরে একটি চক্র তাঁর কাছে চাঁদা দাবি করেন বলে জানা যায়। চাঁদা না দেওয়ায় স্থানীয় প্রভাবশালীরা তাঁকে মারধর করেন।

চিকিৎসক ইকবাল হোসেন দাবি করেন, স্থানীয় বিএনপি নেতা হারুনের নেতৃত্বে আজকের হামলা হয়েছে। তাঁকে পুলিশ এসে উদ্ধার করেন।

জানতে চাইলে বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএনপির নেতা জড়িত থাকার কিছু আমরা পাইনি। নিয়মবহির্ভূত ভবন নির্মাণ নিয়ে বৈঠকে অপর পক্ষের সঙ্গে হাতাহাতি হয়েছে। তিনি (চিকিৎসক) বর্তমানে চিকিৎসাধীন আছেন।’

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী!

নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে ঠিকাদারদের মানববন্ধনে শাস্তি ও অপসারণ দাবী!

চট্রগ্রাম ব্যুরোঃ সরকারি নীতিমালার তোয়াক্কা না করে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ উঠেছে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের দলগত ঠিকাদারদের সিন্ডিকেটকে পৃষ্ঠপোষকতা করা এবং সাধারণ ঠিকাদারদের কাজ না দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছেন একদল ঠিকাদার।

এক গোপন নথিতে দেখা গেছে, প্রকল্প অনুমোদনের আগে স্টিমেট এমাউন্ট ও কাজের কোড লিখে রেখেছেন তিনি যা সরাসরি পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০০৮-এর লঙ্ঘন। উক্ত বিধিতে উল্লেখ আছে যে, যদি টেন্ডার আহ্বানের আগেই প্রকল্পের আর্থিক বিবরণী চূড়ান্ত করা হয় তবে তা হবে ৩২ ও ৬২ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ১১: টেন্ডার ছাড়া কোনো কাজ নিষিদ্ধ ৩২: স্টিমেট বা কোড ফাঁস শাস্তিযোগ্য অপরাধ ৬২: প্রতিটি প্রকল্পের ওপেন টেন্ডার বাধ্যতামূলক।

একাধিক ঠিকাদার দাবি করেছেন, নিয়মবহির্ভূতভাবে কাজ বিতরণ করা হচ্ছে কিন্তু ভয়ে তারা প্রকাশ্যে কিছু বলতে পারছেন না। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার জানান, প্রকৌশলী জহির রায়হান নিজেই ঠিকাদার ঠিক করেন। আমরা অনেকেই বারবার আবেদন করেও কাজ পাই না।

এই প্রকৌশলীর অপসারণ ও তার অনিয়ম দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে গত ১১ মে ২০২৫ রহমতগঞ্জ গণপূর্ত ভবনের সামনে মানববন্ধন করেন সাধারণ ঠিকাদাররা। তাঁদের অভিযোগ, নিয়ম ভাঙা, স্বজনপ্রীতি ও অর্থ লেনদেনে যুক্ত প্রকৌশলী জহির রায়হান। এই খবর গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। প্রশ্ন উঠেছে উচ্চ পর্যায়ের এই নীরবতা কি প্রশাসনিক উদাসীনতা, নাকি প্রভাবশালীদের ছত্রছায়া? অনিয়ম,দুর্নীতির সাক্ষ্য প্রমাণ থাকার পরও যদি জবাবদিহিতার ব্যবস্থা না করা হয় তবে শুধু গণপূর্ত নয়, আস্থা হারাবে অন্তর্বতীকালীন সরকার।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম রহমতগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী জহির রায়হান বলেন, কাজ দিতে না পারলে ঠিকাদাররা এ ধরনের অভিযোগ তুলে থাকেন। তবে তাদের সাথে বিষয়টি মিমাংশা হয়েগেছে। প্রধান প্রকৌশলী মো: শামীম আখতারের বক্তব্য চেয়ে তার সেল ফোনে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন মতামত দেন নি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম