চামুশা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশ-ইন

চামুশা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশ-ইন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি:

জেলার ভোলাহাট উপজেলার চামুশা সীমান্ত দিয়ে ১৩ জনকে পুশ-ইন করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে তাদের বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হয়।

পরে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা তাদের আটক করে। জানা যায়, উপজেলার ভোলাহাট ইউনিয়নের চামুচা বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকার সীমান্ত পিলার ১৯৬/২-এস কাছাকাছি এলাকা দিয়ে ১৩ জনকে পুশ-ইন করেন বিএসএফের ১১৯ ব্যাটালিয়ন ক্যাম্পের সদস্যরা।

তারা হলেন, মো. বিল্লাল হোসেন (৩২), বিষ্ণু বর্মণ (৩৪), মো. রবিউল ইসলাম (৩০), পিন্টু শেখ (৩০), মো. আনোয়ার হোসেন (৩৬), টিটু প্রামাণিক (৩০),  মো. মেহেদী হাসান মুন্না (২৯), মো. সেলিম (২৯),  মো. রুলাস (৩২), মেহের আলী (৩২), মো. রহমত (৪০), তহিল উদ্দিন সিকদার (৪০) ও মো. মোশারফ আলী (২১)।
বিজিবির ৫৯ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম কিবরিয়া জানান, ভোর ৫টার দিকে চামুশা সীমান্ত দিয়ে পুশ-ইনের খবর পাওয়া যায়। খবর পেয়ে চাঁনশিকারী বিওপির টহলদল তাদের আন্তর্জাতিক সীমারেখার ৮০০ গজ দূরত্বে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা সবাই বাংলাদেশি।

জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কাজের সন্ধানে ভারতে প্রবেশ করেন। তাদের সেখানে ভারতীয় পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পরে সাজা ভোগ শেষে পুলিশ তাদের বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিএসএফের কাঞ্চান্টার ক্যাম্পের সদস্যরা তাদের সীমান্ত পিলার ১৯৬/২-এসের কাছ দিয়ে বাংলাদেশে পুশ-ইন করে। আটকদের ভোলাহাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। ভোলাহাট ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আক্তারুল ইসলাম ও ভোলাহাট থানার ওসি মো শহিদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

একই উপজেলা দিয়ে তিন মাস আগে সাতজনকে পুশ-ইন করেছিল বিএসএফ।

ফোন না ধরায় স্ত্রীকে হত্যা

জেলা প্রতিনিধি:

মাগুরার শালিখা উপজেলায় এক গৃহবধূকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। আজ শনিবার সকাল সাতটার দিকে উপজেলার হরিশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত গৃহবধূর নাম সোনালী খাতুন (৩৮)। তিনি উপজেলার ছান্দড়া গ্রামের মজিদ মণ্ডলের মেয়ে এবং হরিশপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের স্ত্রী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মিজানুর রহমান এক বছর আগে বিদেশ থেকে ফিরে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাজমিস্ত্রির কাজ করছিলেন। শনিবার ভোরে তিনি চট্টগ্রাম থেকে নিজ গ্রামের বাড়িতে আসেন। তখন বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও ১০ বছর বয়সী মেয়ে ছিল। বাড়িতে এসে স্ত্রীকে ফোন করলে তিনি সাড়া দেননি। এরপর মিজানুর শাবল দিয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকেন এবং স্ত্রীকে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই সোনালীর মৃত্যু হয়।

নিহতের মেয়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মিজানুর শাবল দিয়ে স্ত্রীর মাথায় একবার আঘাত করেন। ঘটনার পর তিনি পালিয়ে যান।

শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওলি মিয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। নিহত নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মাগুরার ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা শাবল জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে ধরতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম