
চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ে স্টেশনে কর্মরত হাবিলদার কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। দায়িত্ব পালনের সময় মাদক সেবন, চাঁদাবাজি, দখলবাণিজ্য, এমনকি সরকারি কোয়ার্টারে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনার মতো অপরাধেও তিনি জড়িত বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, সরকারি অফিসে বসেই তিনি একাধিকবার প্রকাশ্যে মাদক সেবন করেছেন। দায়িত্ব পালনের সময় ইউনিফর্ম না পরা, সেন্ডল পরে চেয়ারে পা তুলে ঘুমানো তার নিত্যদিনের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। এ বিষয়ে আরএনবি ইনচার্জ বলেন—
“আমরা এ ব্যাপারে অবগত, তিনি দুস্ট চরিত্রের লোক।”গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ স্টেশন পরিদর্শনে গেলে তথ্য গোপনের অভিযোগে কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীকে ক্লোজ করা হয় এবং র্যাঙ্ক ডাউন করা হয়। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই প্রভাব খাটিয়ে তিনি আবারও হাবিলদার পদ ফিরে পান।এর আগেও আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সিআরবি এলাকার এ বাই ওয়ান বাংলো ও মূল ভবনে চুরির অভিযোগে তার নাম উঠে আসে। শৃঙ্খলাভঙ্গ ও দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে একাধিকবার ট্রেনিং সেন্টারে ক্লোজড করা হয়েছে।রেলওয়ে শ্রমিকরা তার অপসারণের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তাদের অভিযোগ— কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীর মতো অসৎ কর্মকর্তা থাকলে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।অভিযোগ রয়েছে, তার রেলওয়ে কোয়ার্টারে অবৈধভাবে ডিমের আড়ত বসানো হয়েছে। পাহাড়তলীসহ বিভিন্ন মাদক স্পট থেকে তিনি নিয়মিত মাসোহারা নেন। ফুটপাতের মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকেও নিয়মিত চাঁদাবাজি করেন তিনি।এ বিষয়ে আরএনবি চিফ কমান্ডেন্ট বলেন—
“তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় জমেছে। দায়িত্ব পালনের পরিবর্তে সে দখলবাণিজ্য, মাদক সেবন ও নানা অপরাধে জড়িত।”রেলওয়ের সাধারণ কর্মচারী থেকে শুরু করে স্থানীয় জনগণ পর্যন্ত কৃষ্ণপদ চক্রবর্তীর কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ। সবার দাবি, তাকে দ্রুত অপসারণ করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হোক।