দেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন

স্টাফ রিপোর্টার:

গত কয়েকদিন ধরে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলা, খুলনায় একজন সাংবাদিক হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক এসোসিয়েশন (বিআরজেএ)।
আজ মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিআরজেএ’র চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী ও সেক্রেটারি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এক যৌথ বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে তারা বলেন, আমরা গভীর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি সাম্প্রতিক সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে সাংবাদিকদের ওপর একের পর এক হামলা করা হচ্ছে। গত ৩১ আগষ্ট রবিবার খুলনায় একজন সাংবাদিককে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। হত্যাসহ এসব হামলা মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর নগ্ন আঘাত।
নেতৃবৃন্দ খুলনায় ওয়াহিদুজ্জামান বুলু হত্যাসহ বিভিন্নস্থানে সাংবাদিকদের ওপর হামলায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম বিরোধী যে কোনো অপতৎপরতা রুখতে সাংবাদিক সমাজ বদ্ধপরিকর।
তারা বলেন, অতীতেও কোনো ফ্যাসিস্ট বা স্বৈরাচার সাংবাদিকদের সত্য প্রকাশ থেকে নিবৃত করতে পারেনি। সুতরাং আগামীতেও কোনো অপশক্তির কাছে সাংবাদিকরা আত্মসমর্পণ করবে না।
নেতৃবৃন্দ সাংবাদিকদের নিরাপত্তা এবং হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলা রোধ করতে না পারলে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা মারাত্মকভাবে হুমকির মুখে পড়বে। পাশাপাশি গণতন্ত্র ও মানবাধিকারও সংকটের দিকে ধাবিত হবে।
উল্লেখ্য, গত রবিবার ৩১ আগষ্ট খুলনায় একজন সাংবাদিককে নির্মমভাবে হত্যা, এর আগে ২৭ আগস্ট জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশের নির্মম নির্যাতনে আহত হন বাংলা ভিশনের কেফায়েত শাকিল, দ্য নিউ নেশন -এর নোমান মোশাররফ ও সৈয়দ শিমুল পারভেজ, সপ্তমী মণ্ডল ঋতু এবং খোলা বাজারের রোজিনা বেগম।
এছাড়া শুক্রবার (২৯ আগস্ট) কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে গণঅধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে গুরুতর আহত হন বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাইমুর রহমান দুর্জয়। শনিবার (৩০ আগস্ট) মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের পেছনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন ডিবিসির রেদওয়ানুল হক এবং দৈনিক কালবেলার এ জেড ভূঁইয়া আনাস।

আরও ২৯ সাংবাদিকের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল

স্টাফ রিপোর্টার॥
আরও ২৯ সাংবাদিক ও ব্যক্তির অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করেছে তথ্য অধিদপ্তর (পিআইডি)। রোববার (৩ নভেম্বর) এক আদেশে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। পিআইডির প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. নিজামুল কবীরের সই করা আদেশে বলা হয়, প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন নীতিমালার আলোকে এসব সাংবাদিকের অনুকূলে তথ্য অধিদপ্তরের দেওয়া স্থায়ী ও অস্থায়ী প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড বাতিল করা হয়েছে। যেসব সাংবাদিকের কার্ড বাতিল করা হয়েছে, তারা হলেন- টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, কালের কণ্ঠের সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, নিউজ২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা, এটিএন নিউজের বার্তা প্রধান নুরুল আমিন প্রভাষ, দৈনিক ডেসটিনির উপ-সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী, ডিবিসি নিউজের প্রধান সম্পাদক মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, সময় টিভির সিইও আহমেদ জোবায়ের, দৈনিক জাগরণের সম্পাদক আবেদ খান, নিউজ২৪-এর সিনিয়র রিপোর্টার জয়দেব চন্দ্র দাস, নাগরিক টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক দীপ আজাদ, এটিএন বাংলার প্রধান নির্বাহী জ.ই. মামুন, বাসসের উপপ্রধান বার্তা সম্পাদক মো. ওমর ফারুক, চ্যানেল আইয়ের বিশেষ প্রতিনিধি হোসনে আরা মমতা ইসলাম সোমা, দৈনিক কালের কণ্ঠের বিশেষ প্রতিনিধি হায়দার আলী, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সিনিয়র নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টি, দৈনিক পূর্বকোণের ঢাকা ব্যুরো প্রধান কুদ্দুস আফ্রাদ, বৈশাখী টিভির প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, ডিবিসি নিউজের অ্যাসাইমেন্ট এডিটর নাজনীন নাহার মুন্নী, ফ্রিল্যান্সার নাদিম কাদির, বাসসের নগর সম্পাদক মধুসূদন মন্ডল, ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির প্রধান বার্তা সম্পাদক আশিষ ঘোষ সৈকত, দৈনিক বাংলার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক জাফরউল্লাহ শরাফত, দৈনিক আনন্দ বাজারের বিশেষ প্রতিনিধি কিশোর কুমার সরকার, দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, মাইটিভির চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন, আরটিভির সিইও আশিকুর রহমান, একুশে টিভির হেড অব ইনপুট অখিল কুমার পোদ্দার, গাজী টিভির এডিটর রিসার্চ অঞ্জন রায়, দৈনিক ভোরের কাগজের বার্তা সম্পাদক ইখতিয়ার উদ্দিন।

সবা:স:মা-২৪/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম