কুমিল্লায় শিশু ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার প্রধান আসামি শাহিন আলম গ্রেপ্তার

কুমিল্লা প্রতিনিধি॥
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া থানায় দায়ের করা শিশু ধর্ষণ ও অপহরণ মামলার প্রধান আসামি মো. শাহিন আলম (২৫)কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া বস্তি এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. দেলোয়ার হোসেন জানান, সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) দেবিদ্বার সার্কেল মো. শাহিনের নির্দেশে এসআই মো. জাহাঙ্গীর সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালনা করেন। গ্রেপ্তারকৃত শাহিন আলম কসবা উপজেলার কায়েমপুর গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জানুয়ারি ২০২৫ বিকেল ৫টার দিকে কসবা থানার খাদলা এলাকায় মামলার ৭ নম্বর আসামি নিলুফা আক্তারের (৪০) বাড়িতে ১৮ বছর বয়সী এক তরুণীকে ধর্ষণ করেন শাহিন আলম। নিলুফা আক্তার, যিনি শাহিনের খালা, তার সহযোগিতায় শাহিন ভুক্তভোগী তরুণীকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে ঘরে নিয়ে যায় এবং সেখানে ঘটনাটি ঘটে।

এরপর ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে ভুক্তভোগী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ও অপহরণ আইনে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার বাদী বর্তমানে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

এএসপি দেবিদ্বার সার্কেল মো. শাহিন জানান, ঘটনার পর থেকে আসামি পলাতক ছিলেন। আজ তাকে গ্রেপ্তার করে থানায় আনা হয়েছে। মামলার পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখায় শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

ভোলা সংবাদদাতা:

সোমবার (২৮ জুলাই) রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তনুকে মৃত ঘোষণা করেন। তনু তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের শায়েস্তাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষক বিতিস চন্দ্র দাস ও গৃহিণী উজ্জ্বলা রাণী দাস দম্পতির একমাত্র মেয়ে। সে তজুমদ্দিন মহিলা কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিল এবং এবারের এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছিল।

তনুর মা উজ্জ্বলা রাণী জানান সোমবার জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র পরীক্ষা দিয়ে বাসায় ফিরে তনু অস্থির হয়ে পড়ে। সে পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লিখেছে-এমন ভাবনায় দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে সান্ত্বনা দিলেও রাত ৯টার দিকে হঠাৎ তার চিৎকার শুনে রুমে গিয়ে দেখা যায় পানের বরজে ব্যবহারের জন্য ঘরে রাখা কীটনাশক পান করেছে তনু। দ্রুত তাকে তজুমদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে সেখান থেকে ভোলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়।

ভোলা ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. জুনায়েদ হোসেন বলেন হাসপাতালে আনার আগেই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। তজুমদ্দিন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোহব্বত খান বলেন প্রাথমিকভাবে জানা গেছে পরীক্ষার খাতায় রেজিস্ট্রেশন নম্বর ভুল লেখার কারণে হতাশা থেকেই সে বিষপান করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম