তারিখ লোড হচ্ছে...

ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু ও সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ

 

শাহাবুদ্দিন মোড়ল ঝিকরগাছা যশোর :

যশোরের ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন ও পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) বেলা ১২টার সময় ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের আয়োজনে স্থানীয় অরাজনৈতিক সংগঠন সেবা অফিসে ঝিকরগাছা রিপোর্টার্স ক্লাবের কমিটি গঠন ও পরিচিতি সভায় ৪সদস্যের উপদেষ্টা কমিটি ও ৩১ সদস্যের একটি নব নির্বাচিত কমিটির ঘোষনা করা হয়। নব নির্বাচিত কমিটির সভাপতি আশরাফুজ্জামান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আফজাল হোসেন চাঁদ। উক্ত কমিটির উপদেষ্টা শাহাদৎ হোসেন কাবিল, ইলিয়াজ উদ্দিন, ইসমাইল হোসেন, আব্দুল জলিল। এছাড়াও সিনিয়র সহ সভাপতি মহাসিন আলম, সহ সভাপতি তারিক মোহাম্মদ, বিএম সাগর হোসাইন, রায়হান সোবাহান, যুগ্ম সম্পাদক হাসান খান, শাহাবুদ্দিন মোড়ল, এএসএম জাফর ইকবাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জীবন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক সুজন মাহমুদ, সহ প্রচার সম্পাদক মিঠুন সরকার, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক মাসুম বিল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক আজাদ হোসেন, সহ দপ্তর সম্পাদক সুমন হোসেন, তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, সহ তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদক রাজিব হোসেন, কার্যনির্বাহী সদস্য নজরুল ইসলাম, আবিদুর রহমান, সেলিম হোসেন রনি, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল জব্বার (পারবাজার), আব্দুল্লাহ আল মামুন ( নির্বাসখোলা), নাহিদ হাসান উজ্জল, সম্রাট টিপু সুলতান, শাওন হোসেন, নয়ন হোসেন।

গাজীপুরে সাংবাদিককে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা

নিজস্ব সংবাদদাতা ॥

গাজীপুর মহানগরীর ব্যস্ততম চান্দনা চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে (৩৮)। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে মসজিদ মার্কেটের সামনে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। তিনি ছিলেন ‘দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ’-এর স্টাফ রিপোর্টার।

তুহিন ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানার ভাটিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বাবা হাসান জামাল। পেশাগত কারণে পরিবার নিয়ে তিনি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বসবাস করতেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার বিকেলে চান্দনা চৌরাস্তার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজির বিষয়ে লাইভ করেন তুহিন। পরে রাত ৮টার দিকে তিনি নিজ ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে লেখেন ‘যেমন খুশি তেমন রাস্তা পার হওয়ার দৃশ্য। গাজীপুর চৌরাস্তা।’

সেই সময় মসজিদ মার্কেটের সামনে একটি চায়ের দোকানে বসে ছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন মুখোশধারী সন্ত্রাসী তার ওপর হামলা চালায়। ধারালো অস্ত্র দিয়ে লোকজনের সামনেই কুপিয়ে ও গলা কেটে নির্মমভাবে হত্যা করে পালিয়ে যায় হামলাকারীরা। ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান সাহসী এই সংবাদকর্মী।

ঘটনার খবর পেয়ে বাসন থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওসি শাহীন খান। তিনি জানান, কী কারণে এ হত্যাকাণ্ড—তা জানার চেষ্টা চলছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

এদিকে এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডে সাংবাদিক সমাজ, সহকর্মী ও সর্বস্তরের মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

পত্রিকাটির সম্পাদক মোঃ খায়রুল আলম রফিক এক শোকবার্তায় বলেন, “আমাদের প্রাণপ্রিয় সহকর্মী, সত্য ও নির্ভীক সংবাদযোদ্ধা আসাদুজ্জামান তুহিনের নির্মম হত্যাকাণ্ডে আমি গভীর শোক প্রকাশ করছি। তুহিন শুধু আমাদের সহকর্মী ছিলেন না, ছিলেন পরিবারের একজন বলিষ্ঠ সদস্য। সত্যের পক্ষে তার অবস্থান ছিল অবিচল। এই হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, সমাজে সৎ সাংবাদিকতা কতটা হুমকির মুখে। আমি প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে খুনিদের শনাক্ত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হোক।”

এ ছাড়াও পত্রিকাটির সাংবাদিকরা জানান, তুহিন ছিলেন কর্মঠ, সাহসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সরব কণ্ঠ। তার মৃত্যুতে তারা যেন একজন যোদ্ধাকে হারালেন।

সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ফুসে উঠেছে গাজীপুর। বিভিন্ন গণমাধ্যম, সামাজিক সংগঠন, মানবাধিকার সংগঠন এবং সাধারণ মানুষ হত্যার দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

শুক্রবার সকালে গাজীপুর প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন স্থানে সাংবাদিকরা বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছেন।

এ হত্যাকাণ্ড প্রমাণ করে, সাংবাদিকরা আজও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। স্বাধীন ও নিরাপদ সাংবাদিকতার স্বার্থে এই হত্যাকাণ্ডের বিচার এখন সময়ের দাবি।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম