নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার!

নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে মরদেহ উদ্ধার!

মিজানুর রহমান, শেরপুর জেলা প্রতিনিধি:

শেরপুরে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর ডোবা থেকে আব্দুল মোতালেব ওরফে হাজী মিয়া (৬৫) নামে ১ মনোহারি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪অক্টোবর) বিকেলে শহরের সাতানীপাড়া এলাকার হরিজন পল্লীর পেছনের একটি ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত মোতালেব পার্শ্ববর্তী গোপালবাড়ী এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিনিধিকে জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে মোতালেব বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও কোনো সন্ধান না পেয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পরে শনিবার বিকেলে শহরের সাতানীপাড়ার হরিজন পল্লীর পেছনে ডোবা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে শেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জোবায়দুল আলম প্রতিনিধি কে জানান, মরদেহের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। পরবর্তী আইনগত প্রক্রিয়া প্রকৃয়াধীন রয়েছে।

গুলিস্তান বিস্ফোরণে নিহতদের প্রত্যেকের জন্য ৫০ ও আহতদের ২৫ হাজার সহায়তা

অনলাইন ডেস্কঃ

রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজারে ক্যাফে কুইন ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেকের জন্য ৫০ হাজার টাকা এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য ২৫ হাজার টাকা করে সহায়তা দেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে এই সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী হাফিজুল আমিন।

ওই বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১১টি মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বাকিগুলো পর্যায়ক্রমে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় আরও শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) দিবাগত রাত থেকে ঢাকা জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সামনে অস্থায়ী বুথ বসিয়ে পুলিশের উপস্থিতে মরদেহ করা হয়।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী হাফিজুল আমিন জানান, রাত থেকেই মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়। নিহতের স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়। এ পর্যন্ত স্বজনদের কাছে ১১টি মরদেহ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যান্য মরদেহগুলো স্বজনরা আবেদন করলেই পুলিশের উপস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ করে তাদেরও বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

বিস্ফোরণে নিহতরা হলেন- মো. সুমন (২১), ইসহাক মৃধা (৩৫), মুনসুর হোসেন (৪০), মো. ইসমাইল (৪২), আল আমিন (২৩), রাহাত (১৮), মমিনুল ইসলাম (৩৮), নদী বেগম (৩৬), মাঈন উদ্দিন (৫০), নাজমুল হোসেন (২৫), ওবায়দুল হাসান বাবুল (৫৫), আবু জাফর সিদ্দিক (৩৪), আকুতি বেগম (৭০), মো. ইদ্রিস (৬০), নুরুল ইসলাম ভুঁইয়া (৫৫), হৃদয় (২০), সম্রাট ও সিয়াম (১৮)।

মঙ্গলবার (৭ মার্চ) বিকেল পাঁচটার দিকে গুলিস্তানে বিআরটিসির বাস কাউন্টারের কাছে সিদ্দিকবাজারে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে পাশাপাশি দুটি বহুতল ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একটি ভবন সাততলা এবং আরেকটি ভবন পাঁচতলা। এর মধ্যে সাততলা ভবনের বেজমেন্ট, প্রথম ও দোতলা বিধ্বস্ত হয়েছে। আর পাঁচতলার নিচতলাও বিধ্বস্ত হয়েছে। ভবনগুলোতে উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম