ওয়াইটওয়াশ এড়ানোর ম্যাচে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

ডেস্ক রিপোর্ট:

আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ আগেই হাতছাড়া হয়েছে, এখন হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানোই মূল চ্যালেঞ্জ বাংলাদেশের। আবুধাবিতে আজ সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে আফগানদের মুখোমুখি হবে মেহেদী হাসান মিরাজের দল। সান্ত্বনার এক জয় দিয়ে ধবলধোলাই এড়াতে একাদশে একাধিক পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নামতে পারে টাইগাররা।

প্রথম দুই ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় সিরিজ হেরেছে বাংলাদেশ। বিশেষ করে আফগান লেগ স্পিনার রশিদ খানের ঘূর্ণি সামলাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা। দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের ৮টি উইকেট একাই নিয়েছেন রশিদ। এমন পরিস্থিতিতে আজকের ম্যাচে একাদশে আসতে পারে একাধিক পরিবর্তন।

টিম ম্যানেজমেন্ট সূত্রে জানা গেছে, টানা ব্যর্থতার কারণে ওপেনার তানজিদ হাসান তামিমের পরিবর্তে মোহাম্মদ নাঈম শেখকে সুযোগ দেওয়া হতে পারে। এছাড়া মিডল অর্ডারে জাকের আলীর জায়গায় দেখা যেতে পারে শামীম হোসেন পাটোয়ারীকে। পেস বোলিং বিভাগেও আসতে পারে পরিবর্তন; তানজিম হাসান সাকিবের জায়গায় অভিষেক হতে পারে তরুণ পেসার নাহিদ রানার।

দলের মূল দুশ্চিন্তা ব্যাটিং নিয়েই। আবুধাবির মন্থর উইকেটে বাউন্ডারি হাঁকানো কঠিন, সেখানে রশিদ খানের বিপক্ষে খেই হারিয়ে ফেলছেন ব্যাটাররা। দলের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ জানিয়েছেন, রশিদ খানের নামের ভয়ে না খেলে, তার বলের গুণাগুণ বিচার করে খেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ব্যাটারদের।

সিরিজ হার নিশ্চিত হলেও, এই ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আফগানিস্তানের কাছে ওয়ানডেতে আগে কখনও হোয়াইটওয়াশ না হওয়ার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ রাখার পাশাপাশি মূল্যবান র‍্যাঙ্কিং পয়েন্ট অর্জনের লক্ষ্যেই আজ মাঠে নামবে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সন্ধ্যা ৬টায়।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম শেখ, সাইফ হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহীদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান সোহান (উইকেটরক্ষক), শামীম হোসেন পাটোয়ারী, রিশাদ হোসেন, নাহিদ রানা, তানভীর ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।

বাংলাদেশের দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট জয়

স্টাফ রিপোর্টার: 

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল ১৫ বছর পর ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে টেস্ট জয়লাভ করেছে, যা সত্যিই একটি ঐতিহাসিক অর্জন। এই জয় বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের জন্য বিশেষ গুরুত্ব রাখে এবং দলের উন্নতির একটি বড় চিত্র প্রকাশ করে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট জয় অর্জনের সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের অদম্য আত্মবিশ্বাস এবং কার্যকরী কৌশলের পরিচয় পাওয়া যায়।

এবার হার দিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরু করেছিল বাংলাদেশ। অবশেষে তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে ১৫ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে টেস্ট ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ।

মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) জ্যামাইকার কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে বাংলাদেশ তুলে নিয়েছে ১০১ রানের ব্যবধানে বড় জয়। এতে সিরিজ শেষ করেছে ১-১ সমতায় টাইগার বাহিনী।

 

প্রথম টেস্টে বড় হারের পর ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে দ্বিতীয় ও শেষ টেস্টে টস জিতে ব্যাটিং নেন টােইগার অধিনায়ক মেহেদী মিরাজ। কিন্তু জ্যামাইকা টেস্টে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম।

 

জবাবে নাহিদ রানার ৫ উইকেট শিকারে ১৪৬ রানে গুটিয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস থেকে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই অলআউট হয়েছে টাইগাররা। দলের হয়ে একাই লড়াই করেছেন জাকের আলি।

 

তবে ৯ রানের জন্য মিস করেছেন সেঞ্চুরি। তার দৃঢ়তায় ২৬৮ রান করে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ক্যারিবিয়ানদের টার্গেট দাঁড়ায় ২৮৭ রানের। ৫ ছক্কা ও ৮ চারে ৯১ রান করেন জাকের। এছাড়া সাদমান ৪৬ ও মিরাজ ৪২ রান যোগ করেন।

 

২৮৭ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫৭ রানের মধ্যে জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের স্বপ্ন দেখান তাইজুল ও তাসকিন আহমেদ। মিকাইল লুইস ৬ ও কাসি কার্টি ১৪ রান করে আউট হন। তবে কেভাম হজ ও ক্রেইগ ব্রাফেটের ব্যাটে ঘুরে দাঁড়ায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তবে এই দুই ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান তাইজুল। ব্রাফেট ৪৩ ও হজ ৫৫ রান করে আউট হন।

 

তাদের বিদায়ের পর আর কেউ থিতু হতে পারেনি। বাঁ হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৫০ ওভারে ১৮৫ রানে অলআউট হয় ক্যারিবিয়ানরা। তাইজুল নেন ৫টি উইকেট। এছাড়া তাসকিন ও হাসান মাহমুদ নেন ২টি করে উইকেট।

 

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের সাফল‍্যকে ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ। সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজেই দুটি টেস্ট জিতেছিল টাইগার বাহিনী। এত দিন কোনো পঞ্জিকা বর্ষে এটাই ছিল সেরা সাফল‍্য। এবার জিতল তিনটি ম্যাচ। পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে দুই ম‍্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে এই বছর দেশের জয় হল তিনটি টেস্ট ম্যাচ। আইসিসি টেস্ট চ‍্যাম্পিয়নশিপের কোনো আসরে এটাই বাংলাদেশের সেরা সাফল‍্য।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

বাংলাদেশ ১ম ইনিংস: ১৬৪

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ১৪৬

বাংলাদেশ ২য় ইনিংস: ২৬৮

ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (লক্ষ‍্য ২৮৭) ৫০ ওভারে ১৮৫ (ব্র‍্যাথওয়েট ৪৩, লুই ৬, কার্টি ১৪, হজ ৫৫, আথানেজ ৫, গ্রেভস ২০, দা সিলভা ১২, আলজারি জোসেফ ৫, রোচ ৮, সিলস ১*, শামার জোসেফ ৬; হাসান ৬-০-২০-২, তাসকিন ১০-০-৪৫-২, তাইজুল ১৭-৫-৫০-৫, রানা ৯-২-৩২-১, মিরাজ ৮-০-৩১-০)।

সবা:স:জু-১৬৭/২৪

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম