বুড়িচং উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

মারুফ হোসেন:

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলা দলিল লেখক সমিতির ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বুড়িচং সদরের পানসী রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতি, বুড়িচং উপজেলা শাখার উদ্যোগে এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে সমিতির সভাপতি মো. নুরুল হক মাস্টার এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মো. ছিদ্দিকুর রহমান এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বুড়িচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেন।

প্রধান বক্তা ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবু ইউছুফ তুহিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু নাসের মুন্সি, সদর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন মেম্বার, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক মো. জাবেদ কাউছার সবুজসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

সম্মেলনের শেষে জেলা দলিল লেখক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব এম.এ এইচ. মন্জু ও সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. সোহাগ পারভেজ এর স্বাক্ষরিত ২৫ সদস্য বিশিষ্ট নতুন কমিটি ঘোষণা করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. কবির হোসেন।

নবগঠিত কমিটিতে সভাপতি পদে আবু হেনা মোস্তফা কামাল, সাধারণ সম্পাদক পদে মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মো. নুরুজ্জামান নির্বাচিত হন।

নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন, “আমরা দলিল লেখকদের পেশাগত উন্নয়ন ও সংগঠনের ঐক্য রক্ষায় কাজ করে যাব।”

নাঙ্গলকোটে যুদ্ধাপরাধীর নাতি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলে ডিস ব্যবসায়ীকে মেরে আহত

কুমিল্লা প্রতিনিধিঃ

নাঙ্গলকোটে যুদ্ধাপরাধীর নাতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালুর ছেলে মহিন উদ্দিন ডিস ব্যবসায়ী কবিরকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায় শামসুদ্দিন কালুর ছেলে মহিন উদ্দিন ও কবির হোসেন দীর্ঘদিন যাবৎ নাঙ্গলকোটে ডিস ব্যবসা করে আসছে। কয়েকদিন থেকে দু’জনের মধ্যে ডিস বিল পরিশোধিত টাকাপয়সা নিয়ে বিরোধ লেগে আছে।
গতকাল(৬অক্টোবর) নাঙ্গলকোট উত্তর পাড়া দোকানের সামনে মহিন উদ্দিন কবিরকে ডেকে এনে কথা কাটাকাটির মধ্যে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি লাথি মারতে থাকে। একপর্যায়ে কবির মাটিতে নুড়ে পড়লেও মারতে থামেনি মহিন।
কবিরের ডাক চিৎকারে আসপাশের লোকজন আসলে মহিন পালিয়ে যায়।
আহত অবস্থায় কবিরকে স্থানীয় লোকজন নাঙ্গলকোট পাটোয়ারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন- কবির ও মহিন দাঁড়িয়ে কথা বলতেছে। তৎক্ষনাৎ কবিরের উপর মহিন আক্রমনাত্মক হয়ে উঠে। আমরা সবাই মিলে দৌড়ে আসলে কবিরকে মেরে আহত করে মহিন চলে যায়। তবে- কি জন্য মেরেছে তা জানি না।

হামলার বিষয়ে কবিরের পরিবারের পক্ষ থেকে জানান- কয়েকদিন থেকেই মহিন কবিরকে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে এবং তা বাস্তব চিত্র হামলার শিকার হয়ে আহত হয়ে কবির হাসপাতালের।

হামলার বিষয়ে নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ ফারুক আহম্মেদ জানান- হামলার অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে বিষয়টি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবো।

অতঃপর শামসুদ্দিন কালু ও তার ছেলে মহিন, কবিরসহ তার পরিবারের লোকজনকে হুমকি ধমকি দেখিয়ে সমঝোতা করতে বাধ্য করেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম