কুমিল্লায় হত্যার পর নারীর লাশ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে রেখে গেল দুর্বৃত্তরা

ডেস্ক রির্পেোর :

কুমিল্লা নগরীতে মিলন বিবি (৫৫) নামের এক নারীকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। হত্যার পর মরদেহ বেডশিট দিয়ে মুড়িয়ে খাটের নিচে ফেলে রাখা হয়। খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে নগরীর রেইসকোর্স কাঠেরপুল এলাকার মজুমদার বাড়ির ২য় তলার ভাড়া বাসা থেকে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মিলন বিবি জেলার বুড়িচং উপজেলার শিকারপুর গ্রামের প্রয়াত গোলাম মোস্তফার স্ত্রী।

ওই নারীকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম।

নিহতের মেয়ে তানজিনা আক্তার জানান, মাকে বাসায় রেখে তারা নোয়াখালী বেড়াতে যান। শুক্রবার  বিকালে ফোনে প্রতিবেশিরা তাকে জানান, তাদের বাসার দরজা খোলা, আসবাবপত্র উল্টে রাখা হয়েছে। পরে খাটের নিচে বেডশিট জড়ানো তার মায়ের গলাকাটা মরদেহ পাওয়া যায়।

নিহতের মেয়ে আরো জানান, কিছু স্বজনের সঙ্গে তাদের টাকা নিয়ে বিরোধ চলছে। বাসায় তাকে একা পেয়ে তার মাকে হত্যা করেছে বলে তিনি ধারণা করছেন।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীর মরদেহ উদ্ধার করে। দুর্বৃত্তরা ছুরিকাঘাতে তাকে হত্যা করেছে। ঘরের মালামাল লুট করতে এ হত্যা নাকি পূর্ব বিরোধ নিয়ে ঘটনা এ নিয়ে তদন্ত চলছে। শনিবার মরদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।

মেঘনায় নৌ-পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ২

স্টাফ রিপোর্টার:

কুমিল্লার মেঘনা উপজেলায় নদী পথে বিশেষ অভিযান চালিয়ে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে চালিভাঙ্গা ফাঁড়ির নৌ-পুলিশ। জব্দ করেছে প্রায় পাঁচশত মিটার নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও একটি কাঠের নৌকা। গ্রেফতারকৃতরা হলেন নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার নুনেরটেক গ্রামের মতব আলীর ছেলে নবী হোসেন (৩০) ও একই এলাকার মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে হোসেন আলী (৪০)।

মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর, ২০২৩) সন্ধ্যা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম এর নেতৃত্বে এএসআই ফকরুল হাসান’ সঙ্গীয় ফোর্স সহ এ অভিযান পরিচালনা করেন। ওই সময় উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের মৈশারচর গ্রামের উত্তর পাশে মেঘনা নদীতে তারা সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল দিয়ে নদীতে মাছ ধরতে থাকে। পথিমধ্যে তাদেরকে গ্রেফতার করে নো-পুলিশ।

এ ব্যাপারে চালিভাঙ্গ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ছাইফুল ইসলাম দৈনিক সবুজ বাংলাদেশকে বলেন, ‘কারেন্ট জালগুলো ইলিশ মাছ ধরার জন্য নদীতে পাততে দেখে আমি তাদের ২ জনকে গ্রেফতার করি। জব্দ করি নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল ও একটি কাঠের নৌকা। আসামিদের মৎস আইনে মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন। তবে জব্দকৃত নৌকা ও জালের ব্যাপারে আদালতের সিদ্ধান্তের পর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম