স্পোর্টস ডেস্ক:
এমনিতে ঘন ঘন দল বদলের অভ্যাস নেই তাঁর। ক্যারিয়ারের লম্বা একটা সময় স্পেনের বার্সেলোনায় কাটিয়েছেন। আপন করে নিয়েছিলেন কাতালানের সেই শহরটিকেও। বছর চারেক আগে চোখের জলে সেই ঠিকানা বদল করেছিলেন লিওনেল মেসি। এরপর প্যারিসে পাড়ি দিয়েছিলেন বটে, কিন্তু দুই বছরের মধ্যে সেখান থেকে ছুটি নিয়ে নেন।
পিএসজিতে শান্তি খুঁজে পাননি এই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন তারকা। সেটি খুঁজতেই বছর দুই আগে আটলান্টিক পাড়ি দিয়ে এসেছিলেন মায়ামিতে। আড়াই বছরের চুক্তি করেছিলেন এই ভেবে যে ‘যদি ভালো না লাগে’। তবে ইন্টার মায়ামিতে শান্তি খুঁজে পেয়েছেন তিনি। হয়তো ইউরোপের মতো প্রতি সপ্তাহে স্নায়ুর লড়াই নেই, তবে এখানে ভালো খেলার সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া ছেলেদের স্কুল, যুক্তরাষ্ট্রে পরিবারের থিতু হওয়ার মতো ব্যাপারও রয়েছে। সব হিসাব মিলিয়ে অবশেষে ইন্টার মায়ামির সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি করেছেন আর্জেন্টাইন এই কিংবদন্তি।
মেসির গোলাপি রঙের ১০ নম্বর জার্সি বিক্রি, ম্যাচের টিকিট বিক্রি, বিজ্ঞাপন-মিলিয়ে বছরে তাদের আয় এখন দেড় বিলিয়ন ডলার। এমন আইকন ফুটবলারকে দিয়েই তারা তাদের নতুন স্টেডিয়াম ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্ক’ উদ্বোধন করতে চান। ২৫ হাজার দর্শকের স্টেডিয়ামের গ্যালারির এই নান্দনিক কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৬ সালের শুরুর দিকে।
সংস্কারকাজ চলতে থাকা সেই স্টেডিয়ামের মাঠেই বৃহস্পতিবার মেসিকে নিয়ে গিয়ে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করিয়েছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। ‘এখানে আসার পর থেকে আমি দারুণ খুশি। সে কারণে এখানে আরও থাকার সুযোগ পেয়ে আমি আনন্দিত। আমরা মায়ামির ফ্রিডম পার্কে খেলার জন্য উদগ্রীব। এই প্রজেক্ট চালিয়ে নিতে পেরে, মায়ামির স্বপ্নের পাশে থাকতে পেরে আমি খুশি।’ তিন বছরের চুক্তি স্বাক্ষরের পর এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন মেসি।
সম্পাদক ও প্রকাশক: মোহাম্মদ মাসুদ || বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়: ২১/১ নয়াপল্টন, ঢাকা-১০০০ || মোবাইল : ০১৫১১৯৬৩২৯৪,০১৬১১৯৬৩২৯৪ || ই- মেইল: dailysobujbangladesh@gmail.com || ওয়েব : www.dailysobujbangladesh.com
Copyright © 2025 দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ. All rights reserved.