বরুড়ায় আলোকদিয়া গ্রামে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ

মোঃ মহিবুল্লাহ্ ভূঁইয়া, কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ 

সোমবার বরুড়ার শিলমুড়ী উত্তর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড আলোকদিয়া গ্রামে রাতের আঁধারে মুন্সী বাড়িতে হামলা ভাংচুর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বরুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ফ্যাসিস্ট সরকারের ইউপি সদস্য মাছুমা আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে শত বছরের পুরাতন রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

এ বিষয় দফায় দফায় আলোকদিয়া গ্রামে, গ্রাম্য সালিস বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় যে, রাস্তাটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার জন্য। কিন্তু মাছুমা মেম্বার আওয়ামীলীগের ছত্রছায়ায় গ্রাম্য সালিসকে তোয়াক্কা না করে দেয়াল তৈরি করে রাস্তা বন্ধ করে দেন।

‎সেই রেষ না কাটতে গত ২০শে অক্টোবর সোমবার রাত ৮টার সময় একদল সন্ত্রাসী এনে মুন্সী বাড়ীতে আবেদিন এর বাড়ির প্রায় অংশে ভেঙে তছনছ করে দেয়, সাথে সাথেই এলাকাবাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এ বিষয়ে আলোকদিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কাশেম, হাজী আব্দুল মমিন সহ এলাকাবাসী দাবী করেন, প্রায় শত-বছরের পুরোনো রাস্তাটি একই বাড়ির স্থানীয় মহিলা মেম্বার মাসুমা বেগম প্রভাব খাটিয়ে রাস্তটি বন্ধ করে দেন এবং ঐদিন রাতের ঘটনা তার ভাড়াটিয়া বাহিনী দিয়ে ঘটানো হয়েছে। এই হামলায় জড়িত মাসুমা বেগম ও তার সাথে জড়িতদের বিচার চায় এলাকা বাসী।

অভিযোগের বিষয়ে ‎মাসুমা মেম্বারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এই ভাঙচুরের ঘটনা কিছুই জানিনা, অভিযোগকারীরাই এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

নোয়াখালী সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগীদের ভোগান্তিতে রেখে ডাক্তাররা কাটলেন কেক

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাইনে থাকা রোগীদের সেবা না দিয়ে বর্ষপূর্তির কেক কাটতে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে এক ডাক্তারের বিরুদ্ধে। এতে দুই ঘণ্টা ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের। এই ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।

ঘটনাটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি নোয়াখালী জেলার সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের। অভিযুক্ত ডাক্তারের নাম মহিবুস সালাম সবুজ।

জানা গেছে, সেনবাগ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যোগ দেওয়ার এক বছর পূর্তি হয় ডা. সবুজের। এ উপলক্ষে উদযাপন করতে কেক কাটতে যান তিনি। সহকর্মীরা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

এর ফলে টিকিট কেটে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা পড়েন ভোগান্তিতে। দুপুর ১২টা থেকে ২টা, টানা দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় রোগীদের। অনেকে ডাক্তার না দেখিয়েই চলে যান।

এমন দুর্দশার কথা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভুক্তভোগী পোস্ট দিলে তা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়।

আয়েশা আক্তার (৩০) নামের এক ভুক্তভোগী অভিযোগ করে বলেন, ‘বর্ষপূতি পালনে অন্যান্য ডাক্তারসহ কর্মচারীরা ব্যস্ত ছিলেন। ফলে চিকিৎসা না নিয়েই বাসায় চলে আসি।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. মহিবুস সালাম সবুজ ‘রোগী দেখে ফোন করবেন’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নোয়াখালীর সিভিল সার্জন মাসুম ইফতেখার বলেন, ‘এই বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। রিপোর্ট এলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম