মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটি

অনলাইন ডেস্কঃ

নতুন শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমের পাঠ্যবই প্রণয়নে কিছু ছবি ও পাঠ বাদ দেওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শিক্ষাক্রম প্রণয়ন কমিটি মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছে। আমাদের নির্দেশনার পরও বই ছাপানোয় সেগুলো রয়ে গেছে। বইয়ের এসব ভুল ইচ্ছাকৃত নাকি ভুলবশত যুক্ত করা হয়েছে সেগুলো খতিয়ে দেখবে তদন্ত কমিটি।’

মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে নতুন শিক্ষাবর্ষের পাঠ্যবইয়ে থাকা ভুল ও তা সংশোধন বিষয়ে করা সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তারা এ সংক্রান্ত বিষয়গুলো খতিয়ে দেখবে। এতে কারও বিরুদ্ধে গাফিলতির প্রমাণ মিললে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

তিনি বলেন, ‘পাঠ্যবইয়ের ভুল যা আছে সব সংশোধন করা হবে। আমরা দুটি কমিটি গঠন করছি। প্রথম কমিটি সংশোধন নিয়ে কাজ করবেন। দ্বিতীয় কমিটি আমাদের নিজেদের মধ্যে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কি না তা খতিয়ে দেখবে। আগামী রবিবারে মধ্যে কমিটি সম্বন্ধে বিস্তারিত জানানো হবে।’

দীপু মনি বলেন, অনেক কারণে এবার বইয়ের সমস্যা হয়েছে। কাগজের মূল্যবৃদ্ধি, লোডশেডিং ইত্যাদি কারণে এই সমস্যা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা একেবারেই খারাপ মানের বই পেলে তা ফিরিয়ে নিয়ে নতুন বই দেওয়া হবে।

বই প্রাপ্তির বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, বুধবারের মধ্যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বই পৌঁছে দেওয়া হবে। এরপরও কোনো প্রতিষ্ঠান কতটি বই পায়নি তার তথ্য চাওয়া হবে। এরপর এসব প্রতিষ্ঠান কেন বই পেল না, এটি কোন প্রেসে ছাপানোর কথা ছিল সেটিও খতিয়ে দেখা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এক বছরে এ পাঠ্যবই একেবারে সঠিক করে ফেলা এ কথা দুরূহ। এ বছর আমরা বইগুলো পরীক্ষামূলক হিসেবে দিয়েছি। সারা বছর আমরা সবার কাছ থেকে মতামত নেব। সেই পরামর্শ অনুযায়ী পরিমার্জন পরিশীলনের সুযোগ থাকবে। বইগুলো প্রণয়নের সঙ্গে যারা যুক্ত ছিলেন তাদের বইয়ের কোথাও যেন ধর্ম, বর্ণ, পেশা, লিঙ্গ বিদ্বেষ-বৈষম্য না থাকে তার জন্য সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘ভুলটা হয়তো বড়, যা আরও আগে চিহিত হওয়া দরকার ছিল, সংশোধন হওয়া দরকার ছিল। আগে না হলেও এটি নিয়ে এখন যে আলোচনা হচ্ছে এবং সে অনুযায়ী সে সংশোধন হচ্ছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, শিক্ষার তিন বিভাগের তিন সচিব, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরাদুল ইসলাম প্রমুখ।

দেশের ৫২০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ২৬ কোটি টাকার অনুদান

ডেস্ক রিপোর্ট:

শিক্ষাক্ষেত্রে স্বচ্ছতা, স্থানীয় পর্যায়ে জবাবদিহি এবং শিক্ষার্থীদের কল্যাণ নিশ্চিত করতে দেশের ৫২০টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজে পাঁচ লাখ টাকা করে অনুদান পাঠিয়েছে সরকার। ‘পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই)’ স্কিমের আওতায় এই অনুদান দেওয়া হয়েছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেট থেকে বরাদ্দ হওয়া মোট ২৬ কোটি টাকা ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংক হিসাবেও পৌঁছে গেছে। আর এই অনুদানের একটি নির্ধারিত অংশ পাবে সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরাও।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, এই অনুদান দেওয়া হয়েছে ‘স্কুল/মাদরাসা/কলেজ ব্যবস্থাপনা জবাবদিহি অনুদান’ (এসএমএজি/এমএমএজি/জিবিএজি) হিসেবে। তবে, অনুদানের টাকা যথাযথভাবে এবং নিয়ম মেনে ব্যয়ের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একাধিক নির্দেশনাও দিয়েছে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানগুলোকে সংশ্লিষ্ট স্কিম অপারেশন ম্যানুয়ালের বিধান মেনে খাতভিত্তিক ব্যয়ের পরিকল্পনা করতে হবে। এ জন্য ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় প্রকৃত চাহিদা চিহ্নিত করে রেজুলেশন নিতে হবে।

এরমধ্যে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠান অনুদানের ৫ লাখ টাকার মধ্যে ১ লাখ টাকা থেকে ২০ জন সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীকে ৫ হাজার টাকা করে নগদ সহায়তা দিতে বাধ্য থাকবে। আর টাকা দিতে হবে ব্যাংক চেকের মাধ্যমে এবং যথাযথ রেকর্ড রাখতে হবে। অবশিষ্ট চার লাখ টাকা ব্যয়ের খাত নির্ধারণ করবে প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটি। খাতভিত্তিক ব্যয়ে অগ্রাধিকার পাবে শিক্ষার্থীবান্ধব উদ্যোগ, যেমন- শিক্ষাসামগ্রী, টয়লেট ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নয়ন, ডিজিটাল ল্যাব, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ বা পাঠাগার সম্প্রসারণ।

আর সব ক্রয় এবং ব্যয় সরকারি ‘ক্রয় আইন ও বিধিমালা’, ‘অপারেশন ম্যানুয়াল’ এবং ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের আর্থিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নীতিমালা–২০২৩’ অনুসরণ করে করতে হবে। নির্ধারিত হারে ভ্যাট ও আয়কর কর্তন করে সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হবে। প্রতিটি খরচের বিপরীতে স্টক রেজিস্টার, ক্যাশবই ও বিল-ভাউচার সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টাকা ব্যয়ের পর পূর্ণাঙ্গ বিল-ভাউচার, মনিটরিং ও বাস্তবায়ন কমিটির যৌথভাবে স্বাক্ষরিত টপশিটসহ আগামী ২৮ আগস্টের মধ্যে ঢাকা শিক্ষা ভবনের স্কিম দপ্তরে জমা দিতে হবে। প্রমাণপত্রের একটি সত্যায়িত অনুলিপি সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণ করতে হবে।

এছাড়া, মাঠপর্যায়ে অনুদান ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে মাউশি ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যৌথ তত্ত্বাবধানে অন্তত ৩০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই পরিদর্শন কার্যক্রমের প্রতিবেদন আগামী তিন মাসের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান