তারিখ লোড হচ্ছে...

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত নীল মসজিদ

ডেস্ক রিপোর্টঃ

আফগানিস্তানের মাজার-ই-শরীফ বা নীল মসজিদটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সোমবার রাত প্রায় ১টার দিকে ৬ দশমিক ৩ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে অঞ্চল। নীল মসজিদ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে স্থানীয় প্রশাসন। যা দেশটির অন্যতম সুন্দর মসজিদের একটি। এখানে খলিফা হযরত আলী (রাঃ)-এর কবর রয়েছে বলে দাবি করা হয়। যদিও  ঐতিহাসিক দলিল বলে হযরত আলীকে ইরাকের নাজাফে কবরস্থ করা হয়েছে। আততায়ীর তলোয়ারের আঘাতে ইরাকের কুফায় মৃত্যু হওয়ার পর তাকে নাজাফে নিয়ে কবর দেওয়া হয়।

 

তবে আফগানিস্তানের স্থানীয়রা দাবি করে থাকেন, শত্রুর হাত থেকে হযরত আলীর মরদেহকে রক্ষায় গোপনে সেটি খোরাসানে (আফগানিস্তান) আনা হয় এবং বর্তমান মাজার ই-শরীফ নামে পরিচিত স্থানটিতে সমাহিত করা হয়। যদিও এই দাবির পক্ষে শক্তিশালী কোনো প্রমাণ নেই। এদিকে নতুন এ ভূমিকম্পে দেশটিতে অন্তত ১০ জন নিহত ও দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখন ব্যাপক উদ্ধার অভিযান চালানো হচ্ছে।

 

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা গেছে, ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এক মেয়ে শিশুকে টেনে বের করা হচ্ছে। জীবিত থাকলেও শিশুটি মারাত্মক আহত হয়েছে। মাজার ই-শরীফের রাহিমা নামে এক নারী সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ভূমিকম্প আঘাত হানার পর আমার পরিবার ভয়ার্ত অবস্থায় ঘুম থেকে জেগে ওঠে। আমার মেয়ে চিৎকার করতে করতে নিচে নামে। আমার জীবনে আমি এমন শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভব করিনি। আমার বাড়ি কংক্রিটের, তাই কিছু হয়নি। কিন্তু যাদের বাড়ি মাটির, সেগুলো অক্ষত আছে কি না আমি জানি না।

তুরস্কে ফের ৭ দশমিক ৫ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প

অনলাইন ডেস্কঃ

সহস্রাধিক মানুষের প্রাণ কেড়ে নেওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে আবারও শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। সোমবার স্থানীয় সময় দুপুরের দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ৫ মাত্রার দ্বিতীয় ভূমিকম্প আঘাত হানে।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস বলছে, সোমবার স্থানীয় সময় বেলা ১টা ২৪ মিনিটে দ্বিতীয় দফায় কেঁপে উঠেছে তুরস্ক। দ্বিতীয় দফায় আঘাত হানা এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৫।

অগভীর এই ভূমিকম্প তুরস্কের একিনোজু শহরের চার কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পূর্বে আঘাত হেনেছে।

এর আগে, সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে আঘাত হানা প্রথম ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত তুরস্ক ও সিরিয়ায় প্রাণহানির সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ জন ছাড়িয়ে গেছে।

দুই দেশের কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ দৈনিক দ্য গার্ডিয়ান বলছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় সোমবার ভোররাতে আঘাত হানা ৭ দমমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছেন।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ৯১২ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৮৩ জন আহত হয়েছেন। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত থাকায় মৃতের সংখ্যা কতটা বাড়তে পারে সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষ ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ভয়াবহ এই বিপর্যয়ে এখন পর্যন্ত বিশ্বের ৪৫টি দেশ সহায়তার প্রস্তাব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন এরদোয়ান।

সোমবার স্থানীয় সময় ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে সিরিয়ার সীমান্ত লাগোয়া তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের গজিয়ানতেপ শহরে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। এই ভূমিকম্প অনুভূত হয় প্রতিবেশী সিরিয়া, লেবানন, সাইপ্রাস ও ইসরায়েলেও।

সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৫৯২ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দেশটির সরকারি সংবাদমাধ্যমের খবরে জানানো হয়েছে। তাদের মধ্যে ৩৭১ জনই আলেপ্পো, হামা, লাতকিয়া ও তার্তুসের বাসিন্দা। এছাড়া এই ভূমিকম্পে আহত হয়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।

ভূমিকম্পে তুরস্কে প্রাণহানি ১০ হাজার ছাড়াতে পারে : ইউএসজিএস

তুরস্কে গত ৮ দশকের বেশি সময় পর রেকর্ড সর্বোচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে আজ। প্রতিবেশী সিরিয়াতেও প্রচণ্ড কম্পন অনুভূত হয়েছে। দুই দেশ মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৩শ।

কেবল তুরস্কেই প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে ধারণা করছে মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস।

সংস্থাটি বলেছে, শক্তিশালী এ ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে এবং এটি এক লাখে পৌঁছারও কিছুটা আশঙ্কা আছে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম