প্রেমিকের সাথে দেখা করতে শিশু ছিনতাই অতঃপর!!

মাহফুজ বাবু ; কুমিল্লা।।
প্রেমিকের সাক্ষাৎ পেতে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে শিশু অপহরণ করেছেন এক প্রেমিকা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই প্রেমিকা উপজেলার মাইজখার গ্রাম থেকে আবু ছাহিদ নামে ১০ মাসের এক শিশুকে অপহরণ করে। ওই রাতেই থানায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ ও ডিবি যৌথ অভিযানে নামে। পরে বিভিন্ন এলাকায় খুঁজে মাওয়া ঘাট এলাকায় গিয়ে অভিযুক্ত প্রেমিকার কাছ থেকে ১০ মাসের শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় প্রেমিকের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয় প্রেমিকা সাবিনার।

পুলিশ জানায়, সাবিনা আক্তারের (২০) সঙ্গে মো. ফারুক নামে কুমিল্লার চান্দিনা উপজেলার মাইজখার গ্রামের এক যুবকের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সম্পর্ক থাকা অবস্থায় কোনও এক কারণে সাবিনা এবং ফারুকের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। দীর্ঘদিন খোঁজ না পেয়ে প্রেমিক ফারুকের সন্ধানে কুমিল্লার চান্দিনা মাইজখার গ্রামে এসে হাজির হন সাবিনা। প্রেমিকের বাড়ি মোহারআলীতে গেলেও তার দেখা মেলেনি। ফারুকের পরিবারের সদস্যরাও সাবিনাকে পাত্তা দেয়নি। পরে সাবিনা ফারুকের প্রতিবেশী মো. এরশাদুল হকের বাড়িতে আশ্রয় নেন। দুইদিন চেষ্টা করেও ফারুকের দেখা না পেয়ে এরশাদুলের ১০ মাসের শিশু সন্তান আবু সাইদ কে নিয়ে পালিয়ে যান সাবিনা। শর্ত দেন ফারুককে সঙ্গে নিয়ে গেলে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেবেন।

ডিবি কর্মকর্তা এসআই পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, সোমবার রাতে প্রেমিকের সন্ধান না পেয়ে সাবিনা শিশুটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরিবারের অভিযোগের সূত্র ধরে মোবাইলফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তার লোকেশন নিশ্চিত হয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। এসময় শর্ত অনুযায়ী প্রেমিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় প্রেমিকার।

চান্দিনা থানার ওসি আরিফুর রহমান বলেন, অপহরণের ঘটনায় রাতে শিশুর পরিবার থানায় একটি অভিযোগ করে। পরে পুলিশ ও ডিবি সদস্যরা অভিযান চালান। অহরণকারীকে আটক করা হয়েছে। আটক হওয়া ব্যক্তিসহ শিশুটিকে বরিশালের মাওয়া থেকে চান্দিনায় আনা হয়েছে।

কাফরুলে আ.লীগ নেত্রীর ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঢাকা: রাজধানীর কাফরুলের সেনপাড়ায় ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে একটি বাড়ির সংস্কার কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বনানী থানা ২০ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেত্রী রাবেয়া, তার বোন জগেন ওরফে যোগী ও তার ছেলে আপন ও ভাগিনা অপূর্ব ও তাদের লোকজন। এর আগেও এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ এবং জিডি করেও কোনো প্রতিকার পাননি ভুক্তভোগী ওই বাড়ির মালিক গোলাম কিবরিয়া।

সোমবার (১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে সেনপাড়া হোল্ডিং নং-৩৭৯/১ প্লটটিতে এই ঘটনা ঘটায় রাবেয়া ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা।

ওই বাড়ির মালিক ও প্রত্যক্ষদর্শীদের কথা বলে জানা গেছে, কাফরুলের সেনপাড়ায় ৩৭৯/১ নম্বর বাড়িটির পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সূত্রে বাড়ির মালিক হন গোলাম কিবরিয়া।

বাড়ির মালিক ভুক্তভোগী গোলাম কিবরিয়া বলেন, বাড়িটি কেনার পর থেকে দুই বোন রাবেয়া ও যোগীর যন্ত্রণায় সদা তটস্থ থাকতে হয়। এর আগেও তাদেরকে চাঁদার টাকা দিতে হয়েছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি তারা আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে।পরবর্তীতে আমি নিরুপায় হয়ে থানায় অভিযোগ ও জিডি করেছি। পরে থানা থেকে রাবেয়া ও যোগীকে আমার প্লটটির সামনে যেতে বারণ করা হয়। কিন্তু ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেত্রী রাবেয়া ও তার বোন, ছোলে-ভাগ্নে মিলে আমার কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিতে চাপ দিচ্ছে। সোমবার বেলা ১১টার দিকে আমি আমার বাড়ির সামনে গেলে রাবেয়া ও যোগীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা আবার চাঁদা দাবী করে। শেষে নিরুপায় হয়ে তখনই কাফরুল থানায় গিয়ে ওসি সাহেবকে বিষয়টি জানাই। এর কিছুক্ষণ পরই রাবেয়া-যোগীরা আমার ভাড়াটিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে বাড়িতে তালা দেওয়ার চেষ্টা করে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফারুকুল আলম বলেন,
আমি শুনেছিলাম আজ (সোমবার) সকালে বাড়ির মালিকসহ কয়েকজন সেখানে গিয়েছিল। রাবেয়া-যোগীরা তাদের বাধা দেয় ও গন্ডগোল করে। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়াদের ঘর থেকে বের করে তালা দেওয়ার কথা আমি জানতাম না।
আমি দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। ওখানে টিম পাঠাচ্ছি।

এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি কাফরুল থানায় একই বিষয়ে একটি অভিযোগ ও সাধারণ ডাইরি করেন জমির মালিক গোলাম কিবরিয়া।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত রাবেয়া আক্তারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এসব বিষয়ে বনানী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বলেন, রাবেয়া আমার থানার ২০ নং ওয়ার্ড কমিটির সদস্য। বনানী থেকে এত দূরে গিয়ে তার চাঁদাবাজির বিষয়টি দুঃখজনকই নয়, এটা রীতিমতো ধৃষ্টতা। এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম