তারিখ লোড হচ্ছে...

মির্জাগঞ্জে গৃহবধুকে ধর্ষনের অপরাধে ধর্ষক শিক্ষক গ্রেফতার!

মির্জাগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে ঘরে ঢুকে এক গৃহবধুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের সময় এক শিক্ষককে হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী। ১৪/২/২৩ মঙ্গলবার সকালে অভিযুক্তকে মির্জাগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সোমবার রাতে উপজেলার মির্জাগঞ্জ ইউনিয়নের মনোয়ারখালী গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। রাতেই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে দক্ষিণ মির্জাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালামকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-০৪/২৩)। নারীশিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ সংশোধনী ০৩ ধারা ৯/১ ধর্ষন করার অপরাধে মামলাটি করেন রিনা বেগম নামের ঐ নারী।
মামলার বরাত দিয়ে
মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন জানান, রাত সাড়ে ৮ টার দিকে আব্দুস সালাম নামের ওই শিক্ষক এক নারীর ঘরে প্রবেশ করে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। ওই নারীর চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হাতেনাতে সালাম মাস্টারকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় ওই নারী বাদী হয়ে থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ভুক্তভোগীকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে আর আব্দুস সালামকে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে।

প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থীকে কৃত্রিম পা দিলেন পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক

মোঃ সোহেল মোল্লা, স্বরূপকাঠি প্রতিনিধি (পিরোজপুর)ঃ

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান, বুধবার বিকেলে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনে জেলা প্রশাসকের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে প্রতিবন্ধি মানসুরা আক্তারকে কৃত্রিম পা উপহার দিলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব)আমীনুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ রব্বানী ফিরোজ, পিরোজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিউল হক মিঠু, সাধারণ সম্পাদক এস এম তানভীর আহম্মেদ।
প্রতিবন্ধি শিক্ষার্থী মানসুরা আক্তার পিরোজপুর সদর উপজেলার ওদনকাঠী গ্রামের আব্দুল মালেক সিকদারের মেয়ে।

প্রতিবন্ধি মানসুরা আক্তার জানান, তাঁর জন্মগত ভাবেই ডান পায়ের হাটুর নিচের অংশ নেই। ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্ট করে লাঠিতে ভর দিয়ে সে চলাফেরা করতো। পুরাতন একটি কৃত্রিম পা নষ্ট হয়ে গেলে তিনি পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমানের কাছে একটি পা দাবী করেন। যদিও এটি তৈরী করে দেয়া অনেকটা ব্যয়বহুল তাই তিনি পিরোজপুরের ডিসি স্যারের কাছে একটি কৃত্রিম পা এর আবদার করলে তিনি তা রাখার আশ্বাস দেন। পরে চাহিদা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান একটি কৃত্রিম পা তৈরী করে দেন। অনেক কৃতজ্ঞতা জানায় পিরোজপুরের ডিসি মহোদয়কে, জেলার সব শ্রেণির মানুষ।

 

পিরোজপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান জানান বিভিন্ন সময়ে মেয়েটি সাহায্য সহযোগীতার জন্য তার কাছে আসতেন,
হঠাৎ একদিন মেয়েটি আবদার করে বলেন আমার চলাচলের জন্য একটি কৃত্রিম পা দরকার। কান্নাজড়িত কন্ঠে একটি কৃত্রিম পায়ের আবদারকে মূল্যায়ন করে তাৎক্ষনিক তার একটি কৃত্রিম পা তৈরীর জন্য বলি এবং সেটি তাকে দেই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে পিরোজপুরের জেলা প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। এ রকম অসহায় মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাবো বলে বক্তব্য দেন জেলা প্রশাসক ।

০১৭৫৮৫৪৫৩৬৬

language Change
সংবাদ শিরোনাম