পবিত্র শবে বরাত ৭ মার্চ

দেশে আগামী ৭ মার্চ দিনগত রাতে পবিত্র শবে বরাত পালিত হবে।মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সভায় সভাপতিত্ব করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মহা. বশিরুল আলম।

সভায় বশিরুল আলম জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৪ হিজরির শাবান মাসের চাঁদ দেখা গেছে।

শাবান মাসের ১৫তম রাতে (১৪ শাবান দিনগত রাত) লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত পালিত হয়। সেই হিসাবে আগামী ৭ মার্চ (মঙ্গলবার) দিনগত রাতই শবে বরাতের রাত। শবে বরাতের পরের দিন বাংলাদেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি। এবার এ ছুটি পড়েছে ৮ মার্চ (বুধবার)।

সভায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব মো. নজরুল ইসলাম, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মো. আবদুল জলিল, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপ-সচিব মো. সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক কাজী হাফিজুল আমিন, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি মোহাম্মদ রুহুল আমিন, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের উপ-পরিচালক (প্রশাসন) মো. সিরাজুল হক ভুঞা, সহকারী- ওয়াকফ প্রশাসক মোঃ শাহরিয়ার হক, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদ্রাসা-ই-আলিয়ার অধ্যক্ষ মুহাম্মাদ আবদুর রশীদ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

শবে বরাতের রাতে মুসলমানরা নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াতসহ ইবাদত বন্দেগির মাধ্যমে কাটিয়ে থাকেন। শাবান মাস শেষেই মুসলমানদের সবেচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের আনন্দ বারতা নিয়ে শুরু হয় সিয়াম সাধনার মাস রমজান।

অবিশ্বাসীদের সম্পর্কে জান্নাতিরা নিজেদের মধ্যে যে আলাপ করবে

অবিশ্বাসীদের সম্পর্কে জান্নাতিরা নিজেদের মধ্যে যে আলাপ করবে

ডেস্ক ধর্ম রিপোর্ট:

বিশ্বাসীরা মানুষকে আল্লাহর ওপর ঈমান এবং সঠিক পথে চলার আহ্বান জানান। অবিশ্বাসীরা মানুষকে সঠিক পথ থেকে বিচ্যুত করার চেষ্টা করেন। অদৃশ্যের প্রতি মানুষের বিশ্বাস-অবিশ্বাসের ভিত্তিতেই পরকালে জান্নাত ও জাহান্নাম মিলবে।

জাহান্নামে যাওয়ার পর অবিশ্বাসীরা অবর্ণনীয় শাস্তি ভোগ করবে। সেখান থেকে মুক্তির কোনো উপায় থাকবে না তাদের। বিপরীতে বিশ্বাসীরা থাকবে চিরস্থায়ী সুখ ও স্বাচ্ছন্দ্যে। তারা ঘুরে বেড়াবেন জান্নাতে। জান্নাতে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পরস্পরের মাঝে খোশগল্প, আলাপ আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করবে। আল্লাহর ওপর বিশ্বাস রাখার কারণে অবিশ্বাসীরা তাদের যে ঠাট্টাবিদ্রূপ করতো নিয়েও তারা কথা বলবে।

জান্নাতীরা পরস্পদরের মাঝে বলবে— আমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপনের কারণে অবিশ্বাসীরা আমাদের নিয়ে ঠাট্টা করতো এবং মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত হওয়ার বিষয়টিকে অসম্ভব মনে করে তারা বলতো, আমরা হাড়ে পরিণত হওয়ার পরও কীভাবে আবার জীবিত হবো? এটাও কি সম্ভব? তোমরা কত বোকা!

জান্নাত ও জাহান্নাম দেখার পর মানুষের যে অনুভূতি হবে
জান্নাত-জাহান্নাম কোথায় অবস্থিত? হাদিসে যা বলা হয়েছে
সূরা কারিয়াতে কিয়ামত, জান্নাত-জাহান্নামের যে বর্ণনা করা হয়েছে
তখন জান্নাতিরা পরস্পরকে বলবো, চলো জাহান্নামে গিয়ে পৃথিবীর সেই অবিশ্বাসীদের অবস্থা উঁকি দিয়ে দেখি। এরপর তারা তাকে দেখতে যাবে এবং দেখবে, সে জাহান্নামের মধ্যস্থলে শাস্তি ভোগ করছে। তখন তারা তাকে বলবে—

তুমি আমাদেরকে পৃথিবীতে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলে, কিন্তু আল্লাহ তায়ালার অনুগ্রহে আমরা সঠিক পথে অবিচল ছিলাম। এখন আমরা চিরস্থায়ীভাবে

উঁকি দিতেই তারা ঐ ব্যক্তিকে জাহান্নামের মাঝে দেখতে পাবে এবং তাকে ঐ জান্নাতী ব্যক্তি বলবে, তুমি আমাকেও পথভ্রষ্ট করে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিতে চেয়েছিলে, আমাদের প্রতি আল্লাহর অনুগ্রহ ছিলাম, তা না হলে আজ আমারাও তোমার সাথে জাহান্নামবাসী হতাম। এটা আমাদের ওপর আল্লাহর বিশেষ অনুগ্রহ ও আমাদের জন্য মহা সাফল্য। (সুরা সাফফাত, আয়াত : ৫০-৬০)

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম