উত্তরা বিডিআর বাজার: সমবায়ের নামে জামাত চক্রের লুটপাট!

হাফসা আক্তারঃ
রাজধানীর উত্তরা ৬ নং সেক্টর বিডিআর কাচাবাজা লুটপাটের জন্য সমাবয়ের নামে একটি জামাতী চক্র পায়তারা করছে। স্থানীয় প্রশাসনসহ কিছু সুবিধাভোগী রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গকে ম্যানেজ করে এ লুটপাটের আয়োজন চলছে বলে জানাগেছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সমবায় বাজারকে জামাত একটি ইউনিট হিসেবে ঘোষণা করে, সেই থেকে বাজার কেন্দ্রিক গোপন কমিটি করে সংগঠন চালাচ্ছে সমবায়ের কিছু নেতা। প্রতিমাসে এ বাজার থেকে নিদ্রিষ্ট পরিমান অর্থও দেওয়া হয় জামাতের ফান্ডে।

জানাগেছে, রাজউকের তিন বিঘা জমির উপর প্রতিষ্ঠিত বাজারকে কেন্দ্র করে জামাত নেতা, কামরুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও খালেক সরকারের নেতৃত্বে একটি সমবায় সমিতি গঠন করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ সমিতির সভাপতি পদে আছেন কামরুল ইসলাম, সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন এবং যুগ্ম সম্পাদক পদে খালেক সরকার। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এরাই এই সমিতির হর্তা কর্তা। ৫ বছর আগে বাজার লিজ নিবে এমন লোভ দেখিয়ে ২৫ হাজার টাকা করে প্রায় ১৩৫০টি শেয়ার বিক্রি করে। নিয়ম অনুযায়ী সকল শেয়ার ভোটারদের নিয়ে প্রতি তিন বছর পর পর নির্বাচন করার কথা থাকলেও কাগুজে নির্বাচন করে উল্লেখিত চক্রটিই নেতা হয়ে বসে আছেন। আগের নেওয়া টাকার কোন হদিস না থাকলেও নতুন করে শত কোটি টাকা লুটপাটের আয়োজন করছে চক্রটি। মাসোহারার বিনিময়ে সমবায় কর্মকর্তারাও তাদের এ অবৈধ কাজে সহযোগিতা করছে বলে জানাগেছে।
সম্প্রতি রাজউক তার জায়গাটি লিজে তুলে নিলামে বিক্রির জন্য। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাজারটি কিনে নেওয়ার কথা বলে জামাত চক্রটি শেয়ার প্রতি ১০ লক্ষ টাকা এবং দোকান নিতে হলে আরো ২০ লক্ষ টাকা করে নেওয়ার চক্রান্ত করছে বলে শোনা যাচ্ছে। সমবায় সমিতির সদস্য নয় এমন একজন ব্যবসায়ী প্রতিবেদককে বলেন, সমিতির নেতা খালেক সরকার আমাদেরকে বলছেন, দোকানের স্থায়ী মালিক হতে হলে জমি কিনতে হবে। আর আপনার পজিশনমতো জায়গার জন্য বিশ লক্ষ টাকা দিতে হবে। আমরা বিশ লক্ষ্য টাকা দিয়ে জমি কেনার সামর্থ রাখি না। আমরা ব্যবসায়ীরা রাজউক থেকে জমি কেনার জন্য রাজি আছি কিন্তু সমবায়ের নামে যারা জমি নেওয়ার কথা বলে টাকার জন্য বলছে তাদের আমরা বিশ^াস করি না। তারা টাকা তুলে এখান থেকে পালিয়ে যাবে। জাতাত শিবিরকে ফান্ড দিবে। এটা হতে দেওয়া যায় না। বাজার লিজ নিতে হলে স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক গন্যমান্য ব্যক্তির তত্বাবধানে হলে আমরা রাজি আছি টাকা দিতে। কারন লিজের কথা বলে এরই মধ্যে আমাদের থেকে টাকা নেওয়া হয়েছে সেগুলোর কোন খবর নাই।
জানাগেছে, সমিতির সভাপতি কামরুল ইসলামকে সরিয়ে খালেক সরকার যুগ্ম সম্পাদক থেকে এখন ভারপ্রাপ্ত সভাপতির পরিচয় দিচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী সভাপতি দায়িত্ব পালন অপারগ হলে সহ সভাপতি ভারপ্রাপ্তের দায়িত্ব পালন করতে পারেন। কিন্তু যুগ্ম সম্পাদক সভাপতি হতে পারেন না। এতেই সমিতির নেতাদের স্বেচ্চাচারিতা প্রমান হয় বলে জানিয়েছেন সমিতির একজন শেয়ার হোল্ডার।
এ দিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী নামে সমিতি নামে আরো একটি বৈধ সংস্থা বাজারটির রক্ষনাবেক্ষনের দায়িত্ব পালন করছে গত ৭ বছর থেকে। স্থানীয় হন্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে গঠিত এ সমিতিও বাজারটির জমি কেনার চেষ্টা করছে বলে জানাগেছে।
নিউজের বিষয়ে বক্তব্য জানতে সমিতির নেতাদেও সাথে যোগাযোগ করেও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এখনও কেন এই জালিমরা ক্ষমতায়: শামসুজ্জামান দুদু

জুয়েল রানা:

বর্তমান সরকারকে জালিম আখ্যায়িত করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘ক্ষমতার মসনদ থেকে এদের নামাতে না পারলে এই দেশ বিশ্ব দরবারে উপহাসের পাত্রে পরিণত হবে। নির্বাচন হবে না এবং নির্বাচন হওয়ার কোনো কারণও নেই। যুক্তরাষ্ট্র কি আসছে আমাদের আন্দোলন দেখতে! বিত্তবান ভদ্রলোক থেকে শুরু করে রিকশাচালকও খোঁজ নেয়, এই সরকার বিদায় নিচ্ছে কবে। তাই এদের (বর্তমান সরকার) বিদায় করা ছাড়া আর কোনো পথ নেই’।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে নয়া পল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এই মন্তব্য করেন।

দুদু বলেন, ‘আমাদের নেত্রীকে (বেগম খালেদা জিয়া) এই রাষ্ট্রকে বাঁচাতে হলে বর্তমান সরকার প্রধানকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে।’

তিনি এ সময় বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সাবেক প্রধানমন্ত্রী সম্বন্ধে যে মন্তব্য করেছেন, সভ্য ভব্য দেশ হলে তিনি পদত্যাগ করতেন। কিন্তু এটা তো সভ্য দেশ নয়। একটা অসভ্য জাতি হিসেবে সারাবিশ্বে অসভ্য প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন। তার বিরুদ্ধে শুধু কথা বললেই মামলা ঠুকে দেওয়া হয়। অথচ যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মৃত্যু কামনা করেছেন তার বিরুদ্ধে কোনো জায়গায়ই মামলা করা সম্ভব নয়।’

দলটির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘যেভাবে উঠে দাঁড়ানোর দরকার ছিল, যেভাবে প্রতিবাদ করার দরকার ছিল, যেভাবে আঘাত করার দরকার ছিল, ছাত্র, তরুণ, শ্রমিক, একটা মানুষও আমরা সেভাবে উঠে দাঁড়াতে পারি নাই।’

দুদু বলেন, ‘মিছিল করেছি, রোডমার্চ করেছি, সমাবেশ করেছি। কিন্তু আঘাত করার দরকার ছিল এই ব্যর্থ শাসকদের বিরুদ্ধে।’

ছাত্রদলের সাবেক এই নেতা বলেন, ‘আর কত অপেক্ষা করব! কার নির্দেশনা চাইবো! এখনও কেন এই জালিমরা ক্ষমতায়! দানবরা ক্ষমতায়! লজ্জায় মনে হয়, পঞ্চাশ বছরের রাজনীতি আমাদের বৃথা গেল।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের জুলাই সনদে স্বাক্ষর করল গণফোরাম অন্যদেরও সই করার আহ্বান কমিশনের সূচক সাড়ে ৩ মাস আগের অবস্থানে লেনদেন ৪ মাসে সর্বনিম্ন আওয়ামীলীগ ফিরলে হাসিনার পা ধরেও মাফ পাবেন না: রাশেদ খান বিমানবন্দর অগ্নিকান্ডে পুড়েছে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম