সোনারগাঁওয়ে ইউটিউব সাংবাদিক শাহারুখ আহম্মেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

মিথ্যা তথ্য দিয়ে হয়রানী ও মান-সম্মান খুন্ন করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের বিতর্কিত অবৈধ ইউটিউবধারী কথিত সাংবাদিক নামধারী শাহারুখ আহম্মেদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে মামলা হিসেবে রুজু আবেদন করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর গ্রামের মোহাম্মদ উল্লাহ’র ছেলে কথিত শাহারুখ আহম্মেদ সাংবাদিক পরিচয়ে তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক আইডিতে গত (১৩ মে, ২০২৩) শনিবার পারিবারিক জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লা ও তার ছেলে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র সাব এডিটর এম এম সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্যের ভিত্তিতে অপপ্রচার ও মানহানী করতে আপত্তিকর তথ্যচিত্রের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও ইউটিউবে পোস্ট করে। মিথ্যা ও অপপ্রচার করায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লা ও তাহার পরিবারের মানহানী ও সামাজিকভাবে মান সম্মান খুন্ন হয়েছে বলে বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জামাল মোল্লার ছেলে সোনারগাঁও প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাহ উদ্দিন বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সোনারগাঁও মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এর আগে কথিত ও বিতর্কিত শাহারুখ আহম্মেদ সাংবাদিক পরিচয়ে সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জের স্থানীয় পত্রিকায় ২৯ এপ্রিল দৈনিক ইয়াদ ও ২ এপ্রিলে দৈনিক সচেতন পত্রিকয় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির সংবাদ প্রকাশিত হয়। এছাড়াও বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালেও শাহারুখ আহম্মেদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে চাঁদাবাজি করার সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

সোনারগাঁওয়ের স্থানীয় এক সাংবাদিক সম্প্রতি শাহারুখ আহম্মেদ এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি সংবাদ প্রকাশিত করায় সে মুঠো ফোনে অশ্লীল ভাষায় গালাগালি ও প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করে। তারপর স্থানীয় ঐ সাংবাদিক বাদী হয়ে সোনারগাঁও মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। শাহারুখ আহম্মেদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকতার নামে মানুষকে হয়রানি ও চাদাঁবাজির অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।

সোনারগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহাবুব আলম (সুমন) জানান, এব্যাপারে সোনারগাঁও থানা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। সঠিক তথ্য ও তদন্তের মাধ্যমে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে (১৪ মে,২০২৩) সোনারগাঁও প্রেসক্লাব এক জরুরি সভায় ক্লাবের সভাপতি এম এম সালাউদ্দিন ও তার পিতার বিরুদ্ধে অপপ্রচারকারি কথিত সাংবাদিক নামধারী তথ্য সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ শাহারুখ আহমেদকে অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানান। এবং এ ঘটনায় নেপথ্য, ষড়যন্ত্রকারি গডফাদারদের খুঁজে বের করার দাবি জানানো হয়। সভায় এসব নামধারী সাংবাদিক চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে সোনারগাঁও প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে মামলা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

পলাতক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ব্যবসায়িক অংশিদার নিশাদ দস্তগীর ধরাছোঁয়ার বাইরে

নিজস্ব প্রতিবেদক :

পলাতক সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সহোচর ও ব্যবসায়িক পার্টনার ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন। যেখানে হাছান মাহমুদসহ আওয়ামী লীগের নেতারা গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্যে বনে বাদারে ঘুরে বেড়াচ্ছে সেখানে নিশাদ দস্তগীর বঙ্গভবনে উপদেষ্টা পরিষদের শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকছেন।আবার রাজকীয় নৈশ ভোজে অংশ নিয়েছেন। বিষয়টি রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

নিশাদ দস্তগীর হচ্ছেন সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ঘনিষ্ঠ সহোচর ও ব্যবসায়িক পার্টনার। তার মাধ্যমেই হাছান মাহমুদ তার অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিদেশে পাচার করেছে বলে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র দাবি করেছে। এমনকি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন পৈশাচিক কায়দায় দমনে নিশাদ দস্তগীরের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছে।

৫ই আগষ্ট ক্ষমতার পালাবদলের সাথে সাথে রঙ বদলে ফেলেছেন অনেক পরিচিত মূখ। এরা সুবিধাভোগী, যুগে যুগে ক্ষমতার পাদপিঠে থাকার জন্যই এরা বার বার রঙ বদলায়। এই ধরনের একটি চরিত্র গোলাম দস্তগীর নিশাদ। দুর্ভাগ্যজনকভাবে সত্য এই ধরনের অসংখ্য বর্ণচোরার অবৈধ কার্যকলাপ আর অবাধ লুণ্ঠনের কারনেই ৭৫ বছরের ঐতিহ্যবাহী একটি দল আওয়ামী লীগ আজ ইতিহাসের সবচেয়ে বিপর্যয়কর অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।

পতিত সরকারের উচ্চ মহলে পরিচিত মূখ, হাইব্রিড আওয়ামী লীগার নিশাদ দস্তগীর একই সাথে একটি বিদেশী বিশেষ সংস্থার এজেন্ট হিসেবেও কাজ করেন। উনি বাংলাদেশী বংশোদভ’ত একজন বৃটিশ পাসপোর্টধারী । বাংলাদেশ বা যুক্তরাজ্যে এই ভদ্রলোকের কোন বৈধ ব্যবসা নাই।আবার দৃশ্যত: কোন চাকরিও নেই। তিনি নিজেকে কখনো মিডিয়া ব্যক্তিত্ব, কখনো রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর ভাগিনা, কখনো সাবেক পররাস্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের বল্যবন্ধু পরিচয় দিয়ে নানা ধরনের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। গত ৬ মাস ধরে হোটেল ইন্টার কন্টিনেণ্টালের ৩২৬ নম্বর রুম, প্রেসিডেন্টসিয়াল স্যুইটে অবস্থান করেছেন এই নিশাদ দস্তগীর। যতটুকু জানাযায় এই রুমের ভাড়া দেয় সেই বিশেষ বিদেশী সংস্থাটি।

এর আগেও নিশাদ দস্তগীর ঢাকার হোটেল সোনারগাঁ এবং রিডিসন ব্লো হোটেলে সেই সংস্থাটির টাকায় মাসের পর মাস অবস্থান করেছেন এবং নানা অপকর্ম চালিয়েছেন। এই হোটেল রুমগুলো হচ্ছে রাষ্ট্র এবং সমাজের উচ্চ মহলের বিশেষ বিশেষ ব্যক্তির মনোরঞ্জন ও গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহের আস্থানা। ঢাকাই সিনেমার বিভিন্ন নায়িকা ও সুন্দরী মহিলাদের এই বিশেষ হোটেল রুমগুলোতে ছিল নিরপদ বিচরণ। গত ছয় মাসে ইন্টার কন্টিনেণ্টালের ৩২৬ নম্বর স্যুইটে যার নিয়মিত যাতায়ত করেছেন তাদের মধ্যে হাছান মাহমুদ, ওবায়দুল কাদেরসহ অনেকের চেহারা হোটেলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখলেই পাওয়া যাবে।

 

এ্কটি বিদেশী রাষ্ট্রের পেইড এজেন্ট হবার পরও বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আবাসস্থল বঙ্গভবনে রয়েছে নিশাদ দস্তগীরের অবাধ বিচরণ। অতিসম্প্রতি অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ও ১৩ উপদেষ্টার শপথ গ্রহন অনুষ্ঠানে বঙ্গভবনে দেখা গেছে নিশাদ দস্তগীরকে। বঙ্গভবনে বসেই সে বিদেশী গোয়েন্দাদেরকে তথ্য দিয়েছে। কোন যোগ্যতায় সে সেখানে উপস্থিত ছিল তদন্ত করলেই বেরিয়ে যাবে থলের বিড়াল।

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ এই নিশাদ দস্তগীর ও ব্যবসায়ী আমিন হেলালীকে সামনে রেখে তাদের নামে গ্রীন টিভি নামে একটি বেসরকারী টেলিভিশনের লাইসেন্স নেন। পরবর্তীতে সাবেক আইজিপি বেনজির আহমেদ ও ব্যবসায়ী রংধনু গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের কাছে চ্যানেলটির শেয়ার বিক্রি করে হাছান মাহমুদ ও নিশাদ অন্তত: ৪০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেন।

ঢাক বা লন্ডনে নিশাদ দস্তগীরের কোন বৈধ ব্যবসা নাই। অথচ বিলাস বহুল জীবন যাপন করেন নিশাদ দস্তগীর। এর পিছনে রয়েছে পতিত সরকারের উপর তলার রাজনৈতিক নেতা এবং অসৎ ব্যবসায়ীদের মনোরঞ্জন, অর্থ পাচার, বিদেশী সংস্থার এজেন্ডা বাস্তবায়নের কুকর্ম। বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অবিলম্বে বিষয়টি নজরে না নিলে এই সংকট সময়ে রাষ্ট্রের অনেক ক্ষতি করে ফেলতে পারে নিশাদ দস্তগীরের মত হাইব্রিড বর্ণচোরারা বলে সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছেন।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম