কমিউনিটি ক্লিনিক: দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’র বৈশ্বিক স্বীকৃতি

অিনলাইন ডেস্কঃ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে জাতিসংঘ ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। বৈশ্বিক এ স্বীকৃতির কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেছেন, এটা বাংলাদেশের সবার জন্য গর্বের।

জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক একটি রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবন ‘কমিউনিটি ক্লিনিক’কে বৈশ্বিক স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মে) জাতিসংঘে এ রেজ্যুলেশনটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রেজ্যুলেশনটির শিরোনাম ছিল- ‘কমিউনিটি ভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’।

এ উপলক্ষে বুধবার (১৭ মে, ২০২৩) বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মুখ্য সচিব। তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, একটা আনন্দের সংবাদ দিতে চাই। সবাই আনন্দিত হবেন যে, জাতিসংঘ কর্তৃক স্বাস্থ্য বিষয়ক একটি রেজ্যুলেশন হয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্ভাবনী মডেল বা উদ্ভাবনী উদ্যোগ কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণার একটা চূড়ান্ত স্বীকৃতি প্রদান হয়েছে। মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগের জাতিসংঘের স্বীকৃতি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সবাই গর্ব করতে পারি। প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবায় বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক মহলে এক অনুকরণীয় রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি পেলো এই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে।

কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ’ মডেলের একটা অনন্য উদাহরণ হিসেবে মন্তব্য করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক বাংলাদেশে পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের সবচেয়ে বড় উদাহরণ। এখানে জমি জনগণ দিচ্ছে, ভবন নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার। সেবাদানের জন্য স্বাস্থ্য সেবা কর্মী নিয়োগ সরকার দিচ্ছে। ওষুধ, যন্ত্রপাতিসহ সকল উপকরণ সরকার দিচ্ছে। জাতিসংঘের রেজ্যুলেশনে অন্য দেশগুলোকে বাংলাদেশের কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে বাস্তবায়নের পরামর্শ দেয়া হয়েছে জানিয়ে মুখ্য সচিব বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই উদ্যোগকে জাতিসংঘ স্বাস্থ্য সেবা ও পরিচর্যা প্রদানের ক্ষেত্রে অংশীদারিত্বের একটা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বলছে।

তিনি বলেন, জাতিসংঘ প্রধানমন্ত্রীর এই উদ্ভাবনী চিন্তাকে জাতিসংঘের অন্যান্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোকেও অনুসরণের আহ্বান জানিয়েছে। বলা হয়েছে, জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো যেন বাংলাদেশের এই কমিউনিটি ক্লিনিক ধারণাকে গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন করে। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতের উন্নতির পেছনে কমিউনিটি ক্লিনিকের অবদানের কথা উল্লেখ করে তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, স্বাস্থ্য সেবার উন্নতি, মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়া বা স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে নতুন নতুন সৃষ্টিশীলতার তৈরি হয়েছে; সেগুলো সবই কিন্তু কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমেই শুরু।

তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের স্বাস্থ্য সেবার মধ্যে রয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য পরিচর্যা, গর্ভবতী এবং প্রসূতির স্বাস্থ্য, নবজাতক এবং শিশুদের স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা সেবা, পুষ্টি সেবা, ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা, সংক্রামক-অসংক্রামক যাবতীয় রোগের চিকিৎসার জন্য কমিউনিটি ক্লিনিক একটা অসাধারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে পৌঁছাতে কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে মুখ্য সচিব বলেন, বাংলাদেশে যেটা বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা হবে, সে ক্ষেত্রে এই কমিউনিটি ক্লিনিক বড় মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবর্তিত কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে বাংলাদেশে মাতৃমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, শিশুমৃত্যু হ্রাস পেয়েছে, আমাদের নবজাতকের যে মৃত্যু সেটি হ্রাস পেয়েছে। সংক্রামক ও অসংক্রামক রোধ প্রতিরোধ করা হয়েছে।

দখল রাজধানীর বেশিরভাগ ফুটপাত, মানুষ হাঁটবে কোথায়?

স্টাফ রিপোর্টার॥

রাজধানীর প্রশস্ত ফুটপাতও চলে গেছে দোকানপাটের দখলে। ২-৩ স্তরের দোকানের কারণে ব্যাহত পথচারী চলাচল। কোথাও ফুটপাত ছাড়িয়ে মূল সড়কে উঠে গেছে দোকানের বহর। সংকুচিত হয়েছে ব্যস্ত রাজপথ। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলতে হচ্ছে নগরবাসীকে, বাড়ছে দুর্ঘটনা। এসব উচ্ছেদে এখনো দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেই দুই সিটি করপোরেশনের।

ছোট ছোট দোকানে ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড় দেখে বোঝার উপায় নেই, এটি আদতে ফুটপাত। পথচারীদের হাঁটা চলার জন্য থাকলেও, চলে গেছে পুরোপুরি হকারদের দখলে।

গুলিস্থান থেকে শুরু করে রাজধানীর মিরপুর ১০ নম্বর সহ অলিগলি ফুটপাতে নেই পা ফেলার জায়গাটুকুও। মূল সড়কের পাশে ৩০ ফুট চওড়া ফুটপাত। অথচ সেখানে বসছে ২-৩ স্তরে দোকানপাট। শুধু মিরপুর নয়, নগরীর অন্যান্য এলাকার ফুটপাতেরও একই দশা। নিয়ম ভেঙে কেনো ফুটপাতেই বসাতে হয় দোকান?
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভিন্ন কোনো ব্যবস্থা করা হলে ফুটপাতে বসবেন না।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পথচারীদের হাঁটার জন্য প্রশস্ত করা হয়েছিল সড়কের দু’পাশের ফুটপাত। প্রত্যাশা ছিল- এবার হয়ত পাল্টাবে অবস্থা। কিন্তু ঘটেছে উলটো।

এ প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, পরিবর্তিত সময়ে পরিস্থিতি ভিন্ন রকমের ছিল, কিন্তু এখন আমরা এই কাজগুলো করার কথা ভাবছি। আশা করি যারা অবৈধ দখলদার আছেন তারাও আমাদের সহায়তা করবে।

৫ আগস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা আকাশচুম্বী। নগরবাসীর চাওয়া, দ্রুত দখলমুক্ত করে ফিরিয়ে দেওয়া হোক তাদের হাঁটার পথ।

ভাষা পরিবর্তন করুন »
সংবাদ শিরোনাম
জুলাই যোদ্ধা স্বীকৃতি পেতে আরও দেড় হাজারের বেশি আবেদন সতর্ক মন্ত্রণালয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আপিল শুনানি শুরু প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন ইএম ২ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কায়কোবাদ সম্পদের পাহাড় জানানো যাচ্ছে অভিযোগ, থানায় বসলেই ভিডিওকলে হাজির এসপি প্রায় ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে কার্গো ভিলেজের অগ্নিকাণ্ডে অত্যন্ত হতাশাজনক : মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক দের মাঝে যে অনৈক্য কুমিরের দেখা মিলল রাজশাহীর পদ্মায় সরকার ও সেনাবাহিনী, গণতন্ত্রে উত্তরণ ও ন্যায়বিচার যেন ব্যাহত না হয় আজ থেকে আমরণ অনশন, প্রত্যাখ্যান শিক্ষকদের শিক্ষার্থীরা রোডম্যাপের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিলেন শাকসু নির্বাচনের